ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে বিএনপি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ জুন ২০১৯, ১১:০৫
নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে সব ধরণের নির্বাচনে অংশগ্রহণের চিন্তা করছে বিএনপি। তারই অংশ হিসেবে আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রার্থি দিবে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তও সঠিক ছিল না। কারণ গণহারে বহিষ্কারের পরেও অনেক তৃণমূল নেতাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে আনা যায়নি। যেহেতু সংগঠনকে শক্তিশালী করে জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায়ে আন্দোলনে যেতে হবে, সেহেতু নির্বাচন বর্জন করে সংগঠনকে দুর্বল করার সিদ্ধান্ত আর বিএনপি নিতে চায় না।
আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা মনে করেন, নির্বাচনে অংশ নিয়ে দলের সাংগঠনিক শক্তিকে সত্যিকারার্থে আরো শক্তিশালী করার সুযোগ পাওয়া যাবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা ভোটারদের কাছে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। তাদের মধ্যে একটা চাঙ্গাভাব ফিরে আসবে। অনিয়ম চ্যালেঞ্জ করে শেষ পর্যন্ত এসব নির্বাচনে জয় পেলে নেতাকর্মীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অন্য দিকে সরকারের দখলদারি মানসিকতারও উন্মোচন হবে।
বিএনপির নেতারা বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর সব কিছুই তাদের নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে। হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়া নেতাকর্মীদের ফের সক্রিয় করার চেষ্টা চলছে। মামলা-হামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে সেই প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। পুরো দলকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। জেলাপর্যায়ে নতুন নেতৃত্ব আসছে। অঙ্গসংগঠনগুলোতে নতুন কমিটি দেয়া হচ্ছে। এ বছরই হবে দলের সপ্তম কাউন্সিল। যার মধ্য দিয়ে ফের পুরো উদ্যমে জেগে উঠবে বিএনপি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আপাতত বড় কোনো কর্মসূচিতে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই বিএনপির। দল গোছানো শেষ হলে নতুন নির্বাচনের দাবিতে দলটি ধীরে ধীরে মাঠের কর্মসূচিতে নজর দেবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচন বলতে যা বুঝায় তা গত ৩০ ডিসেম্বর হয়নি। অনিয়মের সেই নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি। তাই মধ্যবর্তী নয় যত দ্রুত সম্ভব আরেকটি জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তনে বিশ্বাস করে জাতীয়তাবাদী এই দলটি।