২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ শাবান ১৪৪৬
`

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারো গাফিলতি পেলে ছাড় দেয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

- সংগৃহীত ছবি

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো বাহিনীর কারো গাফিলতি পেলে ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে গতরাত থেকে শুরু হয়েছে যৌথ অভিযান। এ অভিযান সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অভিযান পরিচালনায় আমরা কোনো বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে যদি কোনো ধরনের গাফিলতি পাই তাহলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ অভিযান যেভাবে সাজিয়েছি, যদি কোনো জায়গায় আমার কোনো কর্মচারী বা আমার কোনো বাহিনীর সদস্যের মধ্যে গাফিলতি থাকে, আমি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখানে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, সে পুলিশ হোক, বিজিবি হোক, র‌্যাব হোক, আনসার বা কারা অধিদফতর হোক।’

সারাদেশে সার্বিক পরিস্থিতি, গতরাত থেকে শুরু হওয়া অভিযান ও এর সফলতা কতটুকু? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সফলতা ব্যর্থতা আপনারা (সাংবাদিক) মূল্যায়ন করবেন। এই অভিযান যেভাবে সাজিয়েছি, যদি আমার কোনো কর্মচারী বা বাহিনীর সদস্যের মধ্যে গাফিলতি থাকে, আমি তাদের আওতায় নিয়ে আসব।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পর সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিন বাহিনী সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা।

এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বিজিবির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, পিলখানায় শহীদ সেনা সদস্যদের পরিবারের দাবি ছিল জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ঘোষণার। সেটি আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, ‘পিলখানার ঘটনায়, হত্যা মামলার রায় হয়ে গেছে। সেই মামলায় যারা খালাস পেয়েছেন তাদের অনেকে বিস্ফোরক মামলার আসামি। হত্যা মামলা এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন।’

উল্লেখ্য, পিলখানা ট্র্যাজেডির আজ ১৬ বছর পূর্ণ হলো। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) ঢাকার পিলখানা সদর দফতরে বিদ্রোহের নামে তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ নিহত হন।

প্রথমবারের মতো জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবটি পালন হচ্ছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে সরকার প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়।


আরো সংবাদ



premium cement
মৃত ব্যক্তির এনআইডি সংশোধনের ক্ষমতা পেলেন ডিজি মালদ্বীপের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে : ড. ইউনূস ফুলবাড়ীতে ২২ বছর পর ট্রাফিক ব্যবস্থা পুনরায় চালু ১৭তম সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাবির ২৮ জন শৈলকুপায় ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় আটক ২ ইউক্রেন নিয়ে ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা বুঝতে পারছে না রাশিয়া জনপ্রশাসনের ২ সচিবকে বদলি শিক্ষকদের প্রতিবাদে ভিসি ভবনে তালা দেননি কুয়েট শিক্ষার্থীরা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস সীতাকুণ্ডে পুলিশ কর্মকর্তা ও সাবেক এমপিসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রেকর্ড লেনদেন পুঁজিবাজারে, সাড়ে তিন মাসে সর্বোচ্চ

সকল