বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে : হামিদুর রহমান আযাদ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৩
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, ‘বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে সর্বক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত মহেশখালী উপজেলার শিক্ষার্থীদের সাথে এক প্রাণবন্ত শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ব্যাংকার এ এম শহিদুল এমরান। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসার দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘সমাজে যখন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন প্রতিটি মানুষ তার অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার সুযোগ পায়। শোষণ, দারিদ্র্য ও বৈষম্যের মূল কারণ হলো দুর্নীতি, বিচারহীনতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সামাজিক বৈষম্য। তাই সমাজের প্রতিটি স্তরে সৎ নেতৃত্ব ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। মহেশখালী বর্তমানে একটি অবহেলিত দ্বীপ। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে মহেশখালীকে আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘আগামীতে জনগণ আমাকে তাদের সেবা করার দায়িত্ব দিলে বদরখালী দিয়ে যেমন মহেশখালীর সংযোগ সেতু রয়েছে তেমনি নতুন সেতু নির্মাণ করে কক্সবাজারের সাথেও গোরাকঘাটাকে সংযোগ করার ব্যবস্থা করা হবে, ইনশাআল্লাহ। সেই সাথে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার মানুষের জীবিকার অন্যতম মাধ্যম লবণ, পান, চিংড়ি শুটকি ও গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা হবে। পরিবেশ সংরক্ষণে পাহাড় ও প্যারাবন কাটার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি মহেশখালীর কোনো সন্তান যাতে পড়াশোনা শেষ করে কর্মহীন না থাকে সে দিকে আমার বিশেষ নজর থাকবে।’
এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন এবং শিক্ষা, ক্যারিয়ার ও সমাজ উন্নয়ন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় অগ্রগতি, স্থানীয় সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ, তাই তাদের শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি মানবিক মর্যাদা ও সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন আল-শাহরিয়ার নূরশেদ।
এতে আবু হেনা মোহাম্মদ সাফা সানজিদের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসাম) সভাপতি আরিফুল ইসমাল বিজয় ও সাধারণ সম্পাদক এমরান খান, উইংসের সভাপতি এস্তাফিজুর রহমান খোরশেদ, ঢাবি শিক্ষার্থী রিমন শর্মা, শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন।
তাদের বক্তব্যে মহেশখালী বিভিন্ন সমস্যার কথা, মতামত ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং রাতের খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে আয়োজনটি সমাপ্ত হয়। এ ধরনের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও আগ্রহ প্রশংসনীয় ছিল। আয়োজক এ এম শহীদুল এমরান ভবিষ্যতে এ ধরনের মতবিনিময় সভা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা