বিশ্ব গণমাধ্যম ধানমন্ডি ৩২ ভাঙা নিয়ে যা বলছে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০৪
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19690512_159.jpg)
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে, পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে এবং এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করছে তারা।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
এদিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙার খবর প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
যুক্তরাজ্যের বিবিসি, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান; তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি ও টিআরটি ওয়ার্ল্ড; সৌদি আরবের আরব নিউজ; যুক্তরাষ্ট্রের সিএনএন, এবিসি নিউজ; ভারতের বাংলা সংবাদপত্র ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’, ‘এই সময়’, ‘বর্তমান’ থেকে শুরু করে ইংরেজি সংবাদপত্র ‘দ্য টেলিগ্রাফ’, ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’সহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও বার্তা সংস্থাগুলোয় উঠে এসেছে ৩২ নম্বর রোডের বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেয়ার খবর।
বিবিসি শিরোনাম করেছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক বাড়িতে প্রতিবাদকারীদের আগুন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের শিরোনাম ছিল, বাংলাদেশের বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবার বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শেখ মুজিবের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি শিরোনাম করেছে, বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের হাসিনার বাবার বাড়ি ভাঙার চেষ্টা। এতে বলা হয়, বাংলাদেশী আন্দোলনকারীরা ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বাবার বাড়ির সামনে অবস্থান করছে। তারা ভবনটি ধ্বংসের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এপি তাদের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশী বিক্ষোভকারীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে’। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘প্রতিবেশী ভারতে নির্বাসিত থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে হাসিনার একটি বক্তৃতা দিয়ে হামলার সূত্রপাত হয়। ১৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন একটি তীব্র বিদ্রোহের সময় গত বছর ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।’
আনাদোলু এজেন্সি তাদের প্রতিবেদনের শিরোনামে লিখেছে, ‘ভারত থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লাইভ ভাষণ বাংলাদেশে প্রতিবাদের সূত্রপাত করেছে’।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ঠিক ছয় মাস আগে আগস্টের ৫ তারিখ সন্ধ্যায় আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল ঢাকায় ৩২ নম্বর রোডে শেখ মুজিবুর রহমানের বসতবাড়িটি। টিকেছিল কংক্রিটের কাঠামোটুকু।’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঘটনা নিয়ে ভারতের বাংলা সংবাদপত্র বর্তমানের প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তার শিরোনাম, 'নতুন বাংলাদেশ! গুঁড়িয়ে দেয়া হলো বঙ্গবন্ধুর বাড়ি'।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে...', মধ্যরাতে স্লোগান তুলল 'নতুন' বাংলাদেশ। 'বুলডোজার মিছিল' করে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ৩২, ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন। শেখ হাসিনা তখন দিল্লিতে বসে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্তা দিচ্ছেন সমর্থকদের।’
'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-এর ১২ পাতায়, 'প্রোটেস্টার্স টর্চ হোম অফ মুজিবুর ডিউরিং হাসিনাস অনলাইন স্পিচ' প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দল বুধবার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের ঢাকাস্থিত বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয় যে সময় তার কন্যা, পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন।’
‘দ্য টেলিগ্রাফ’ সংবাদপত্রের দ্বিতীয় পাতায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম, 'মুজিব হোম অ্যাটাকড’ যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, 'মুজিবের বাড়িতে হামলা'।
প্রতিবেদনের শুরুতেই বুধবার রাতের ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশী গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, কিছু হামলাকারী যাদের মধ্যে বেশিভাগই যুবক ছিলেন, ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক ও ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে বিবেচিত ওই ভবনের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে, পুরো বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার আগে ভবনে থাকা একটি স্মৃতিসৌধ ভাঙচুর করে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা