১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩ মাঘ ১৪৩১, ১৬ রজব ১৪৪৬
`

সমর্থন দিন, স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়ব ইনশাআল্লাহ : ডা. শফিকুর রহমান

মাগুরার কর্মী সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। - ছবি : নয়া দিগন্ত।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান মাগুরাবাসীর সমর্থন চেয়ে বলেছেন, আমাদের সমর্থন দিন। আমরা আপনাদের সাথে হাতে হাত ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়ব।

তিনি অঙ্গীকার করে বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহীদদের আত্মা এবং আহতদের কথা দিচ্ছি, ক্ষমতায় গেলে নিজেরা চাঁদাবাজি করব না, কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেব না। নিজেরা দখলবাজি করব না, কাউকে দখলবাজি করতে দেব না। আপনাদের সাথে নিয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ব ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন মাগুরা জেলা আমির এম বি বাকের।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আজ থেকে এক বছর আগে এমন একটি কর্মী সম্মেলনের স্বপ্নও দেখিনি আমরা। কারণ সেই সময় এমন একটি সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছিল, মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছিল। মানুষ কষ্ট পেলে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে পারতো না। ভাল লাগলে হাসতেও পারতো না। একটা ভয়ের সংস্কৃতি বিগত সরকার চালু করেছিল। কেউ তাদের মন্দ কাজের সমালোচনা করলে আস্তে করে জেলে ঢুকিয়ে দিতো।

তিনি বলেন, ‘আজকে শুনি একজন আওয়ামী লীগের নেতা বলেছেন যে এখন চালের দাম এতো কেন? তারা তো ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবেন। তারা কী সাড়ে ১৫ বছর খাওয়াতে পেরেছেন?’ মাঠ থেকে উত্তর আসে- না, না। ‘আপানারা দেখেছেন আপনাদের এলাকার এমপি-মন্ত্রী-সচিব হওয়ার আগে তাদের সহায়-সম্পত্তি কেমন ছিল। ১৫ বছরে খেয়ে দেয়ে তারা কেমন মোটাতাজা হয়েছেন তাও আপনারা দেখেছেন। এই চিত্র শুধু মাগুরাতে নয়। এ চিত্র ছিল সারা বাংলাদেশের। কেউ কেউ বলেছেন আমি আমার পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। আমার পাওয়ার কিছু নাই। এখন কেবল দেয়ার পালা। হ্যাঁ, তারা দিয়েছেন ছোপ ছোপ রক্ত আর সারি সারি লাশ। এমন কোনো জনপদ বাংলাদেশে নেই যে তারা নির্দয়ভাবে হত্যাকাণ্ড চালায়নি। এমনকি ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত কাজটি চালিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত তারা পালিয়ে গেছেন।

দেশ যদি আপনার হয়ে থাকে, দেশকে ও মাটিকে ভালবেসে থাকেন, তাহলে পালালেন কেন? প্রশ্ন রাখেন ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি ব্রুনাই সফরের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, ব্রুনাই সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষের দেশ এবং পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ। সেখানে রাজতন্ত্র হলেও রাজা তার জনগণকে তার অন্তরে ধারণ করেন। এজন্য রাজার কোনো নিরাপত্তা লাগে না। সেখানে নাগরিকদের অধিকার চাইতে হয় না। কিন্তু আমাদের দেশে তো অধিকারের জন্য প্রতিদিন মিটিং মিছিল করতে হয়। কিন্তু সেখানে না চাইতেই অধিকার পেয়ে যায় নাগরিকরা। আপনারা কি সেরকম দেশ চান?

মাঠ থেকে জবাব আসে- ‘চাই’। ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন একটি সুন্দর মানবিক দেশ গঠনের জন্য লড়াই করছে।’ তিনি বলেন, বিচার বিভাগ কোরআনের দ্বারা পরিচালিত হয় বলে ব্রুনাইতে রাজার বাড়িতে নিরাপত্তা কর্মী লাগে না। বছরে একটি খুনও হয় না।

তিনি বলেন, আমাদের দু’জন দায়িত্বাশীল মন্ত্রী ছিলেন। কেউ বলতে পারবে না যে তারা দুই টাকার দুর্নীতি করেছেন। তারা সবার অধিকার সবার হাতে তুলে দিয়েছেন। আমরা যদি আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত হই, আগামীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সকল ইসলামী দল, দেশপ্রেমিক দল ও মানবিক দলকে সাথে নিয়ে সরকার পরিচালনার সুযোগ পাই, ইনশাআল্লাহ একটি মানবিক দেশ উপহার দেয়ার চেষ্টা করব। সেই দেশটা ইনশা আল্লাহ এমন হবে, এই দেশে একজন মা তিনি ঘরের ভেতর থাকবেন নিরাপদ, রাস্তায় বের হলে তিনি হবেন সম্মানিত, কাজের ময়দানে তিনি হবে মর্যাদাপ্রাপ্ত।

তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, আমাদের মায়েরা রাসূলে করিম সা:-এর সাথে থেকে যুদ্ধ করেছেন, তারা মহান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা ব্যবসা করেছেন এবং সমাজ পরিচালনায় ভূমিকা রেখেছেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কোনো দল নয়, ধর্ম নয়, দেশ আমাদের সবার। এই নীতিকে ভিত্তি করে যার যার অধিকার তা তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে। সবাইকে নিয়ে আমরা দেশ গড়ব। সবার অধিকার সমান থাকবে।

তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমরা এমন এক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলব, যেন কাউকে বেকার থাকতে না হয়। স্কুল কলেজ মাদরাসা থেকে বের হয়ে একটা চাকরির জন্য এ ঘরে ওই ঘরে ঘুরতে না হয়। আমরা এমন একটা দেশ চাই, যেখানে সবার ন্যায্য স্বাধীনতা থাকবে। আমরা সীমাহীন অন্যায্য স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নই। যে স্বাধীনতা অপরের চরিত্র হনন করে। মিথ্যা গুজব ছড়ায়। একজনের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ায়। আমরা এরকম অধিকার দিতেও চাই না, দেখতেও চাই না।

আমিরে জামায়াত বলেন, আমরা এমন একটা দেশ চাই যেখনে সাংবাদিকরা নির্ভয়ে বলবে তুমি কালো, তুমি সাদা। আমরা সেই স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই। বিচাররের অঙ্গনে আজকে মানুষ বিচার পায় না। ঘুষের রমরমা বাণিজ্য হয়। বিচারপতিরা ঘুষ খায়। বলবেন তার কোনো প্রমাণ আছে? হাজার প্রমাণ আছে। সবশেষ প্রমাণ হচ্ছে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। আমরা এমন বিচার নিশ্চিত করতে চাই, যেখানে কোনো বিচারক রাষ্ট্রের কোনো কর্মকর্তা, কোনো কর্মচারি ঘুষের জন্য হাত বাড়ানোর দুঃসাহস দেখাবে না। যদি কেউ হাত বাড়ায় তাহলে তার সেই হাত ভেঙে দেয়া হবে। ডা. শফিকুর রহমান ঘুষ আর দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনের কথা জানিয়ে বলেন, ঘুষ ও দুর্নীতি দু’টিই সমাজের ক্যান্সার। এই ক্যান্সার দূর করতে না পারলে স্বপ্নের বাংলাদেশ কেউ গড়তে পারবে না।

বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের অঙ্গীকার করে জামায়াতের আমির বলেন, ২০০৯ সালে যে খুন গুম আর ধর্ষণের রাজনীতির শুরু হয়েছিল সেই রাজনীতির কবর আমরা রচনা করব ইনশাআল্লাহ। কারণ আমাদের সন্তানেরা রাজপথে স্লোগান দিয়েছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। আমরা বৈষম্য চাই না, ন্যায় বিচার চাই। আমরা শহীদদের আত্মাকে কথা দিচ্ছি, আল্লাহকে কথা দিচ্ছি, শহীদদের বেঁচে থাকা আপনজনদের কথা দিচ্ছি, আহত পঙ্গু ভাইবোনদের কথা দিচ্ছি, তাদের স্বপ্নের সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এজন্য যদি অপেক্ষা করতে হয় তাতে রাজি আছি। কিন্তু লড়াই ছেড়ে দেব না। এই লড়াই আমাদের অব্যাহত থাকবেই। এই লড়াইয়ে এবার আমরা জনগণকে পাশে পাবো। ইতোমধ্যে জনগণ জানান দিয়েছে যে আমরা চাঁদাবাজমুক্ত, দখলদারমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায় এবং সাম্যের একটি বাংলাদেশ চাই।

তিনি বলেন, এমন বাংলাদেশ গঠনের লড়াই শেষ হয়নি। সামনে আরো লড়াই করতে হবে। এজন্য মাগুরাবাসীকে পাশে পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, স্লোগান তোলেন “আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ”। মাঠ থেকে তার সঙ্গে সুর মিলান লাখো কণ্ঠ।

তিনি বলেন, আমরা আপনাদের জানাচ্ছি যে অতীতে আমরা কখনো চাঁদাবাজি করিনি। এখন করছি না। ভবিষতেও আমরা করব না। যদি আল্লাহ আমাদের দেশ পরিচালনার সুযোগ দেন কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেব না। আমরা দখলবাজি চালাই না, ভবিষতে কাউকে দখলবাজি চালাতে দেয়া হবে না। আমরা মানুষকে ভিন্ন চোখে দেখি না।

এ সময় তিনি মাগুরার বৃদ্ধা কিরণবালা এবং কক্সবাজারের বৌদ্ধ ধর্মের নিঃস্ব ব্যক্তিকে নীরবে সহায়তা করার উদাহরণ দেন। ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেয়ার কথাও তুলে ধরেন আমিরে জামায়াত।

জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সাঈদ আহমদ বাচ্চুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মো: মোবারক হোসেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আবদুল মতিন, ড. আলমগীর বিশ্বাস, মাওলানা আজিজুর রহমান ও শহীদ মিঠু বিশ্বাস মারুফের বাবা মো: শাহজাহান।

মোবারক হোসেন বলেন, এখন কাজ একটাই, যা আমিরে জামায়াত শুনিয়েছেন। ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করা জামায়াতের পক্ষেই সম্ভব। দেশের মানুষ ডান বাম সব দেখেছে। তারা এখন কোরআনের আইন দেখতে চায়।

তিনি উল্লেখ করেন, এখন এক ধরণের বাহানা চলছে। আমাদের ব্যাপারে ব্লেম গেইম চলছে। আমরা নির্বাচন চাই, কিন্তু যেনতেন নির্বাচন চাই না। আনুপাতিকহারে নির্বাচন হলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মাওলানা আজীজুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী চায় দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যয্যতা প্রতিষ্ঠিত হোক। তিনি উল্লেখ করে, ২০২৪ সালে সারাদেশে ১,৬৫০ ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছেন। এর মধ্যে মাগুরায় রাব্বি, মাহদিসহ ১০ জন জীবন দিয়েছে। তাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা সুন্দর শান্তির বাতাস পেয়েছি। কেউ যেন ষড়যন্ত্র না করতে পারে সেদিন সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

শহীদ মিঠু বিশ্বাস মারুফের বাবা মো: শাহজাহান বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলের কী দোষ ছিল! তিনি বলেন, রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়। তিনি শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়াকে তিরষ্কার করে বলেন, সাহস থাকলে সামনে আসো। চট করে ঢুকতে চাও কেন?

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা বদরুদ্দীন, ঝিনাইদাহ জেলা আমির অধ্যাপক আলী আজম, কৃষিবিদ গ্রুপের এমডি ড. আলী আফজাল, সাবেক ছাত্র নেতা অ্যাডভোকেট আজমত হোসেন, আলমগীর হোসনে রাজু, জেলা গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি বরকত উল্লাহ, সাবেক ছাত্র নেতা মো: আনিসুর রহমান, শ্রমিক নেতা অধ্যাপক মাওলানা মো: মশিউর রহমান, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো: ইব্রাহীম বিশ্বাস, জেলা জামায়াতের তথ্য ও গবেষণা সেক্রেটারি মাওলানা কবির হুসাইন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর যুব ও ক্রীড়া বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক মো: রবিউল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি মো: আমিন উদ্দিন আশিক, পৌর জামায়াতের আমির অধ্যাপক আশরাফুল আলম, মহম্মদপুর উপজেলা আমির নূর আহম্মদ, শালিখা উপজেলা আমির অধ্যাপক আফসার উদ্দিন, সদর উপজেলা আমির অধ্যাপক ফারুক হোসাইন, শ্রীপুর উপজেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা ফখরুদ্দীন মিজান ও শালিখা উপজেলার সাবেক আমির আলমগীর হোসেন।

মাগুরা জেলার অমুসলীম নেতা উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে মদিনার সনদ অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হবে। তাতে হিন্দুরাই উপকৃত হবে। আমরা আর ঘসেটি বেগম কিংবা ও লেন্দুপ দর্জির দেশ চাই না। দেশ আমাদের। আমরাই দেশ গড়ব। তিনি উল্লেখ করেন, ন্যায় এবং সাম্যের দেশ কেবল জামায়াতে ইসলামী-ই প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।

মাগুরা জেলা অমুসলীম শাখার প্রচার সেক্রেটারি প্রনয় কুমার বিশ্বাস বলেন, হিন্দুরা দেশের ১৮ কোটি মানুষের বাইরে না। তাদের যেমন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি করার অধিকার আছে, তেমনি জামায়াতে ইসলামী করার অধিকারও রয়েছে। তিনি দেশের সকল অমুসলীমদের সৎ মানুষের সাথে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামী আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে না। তারা আমাদের ইজ্জতে আঘাত করে না। ৫৩ বছর আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে। হিন্দুদের জান-মাল-ইজ্জত রক্ষায় জামায়াতের রাজনীতি করার আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধনী বক্তব্যে মাগুরা জেলা আমির এম বি বাকের বলেন, জামায়াতে ইসলামী কারো বাপ-দাদার কিংবা কোনো ব্যক্তির আইন দিয়ে দেশ পরিচালনা করবে না। আমরা আল্লাহর আইন দ্বারা দেশ চালাতে চাই। আমরা মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।

এ দিন দুপুরে শহরের দরি মাগুরাস্থ আল আমীন কমপ্লেক্সে মহিলা রুকন সম্মেলন ও অমুসলীম নেতাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আমিরে জামায়াত। বিকেলে জেলার এলজিইডি সম্মেলন কক্ষে পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় করেন ডা. শফিকুর রহমান।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল