২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অবসরে যাওয়া বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত

অবসরে যাওয়া বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত - সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চনার শিকার ৭৬৪ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাকে উচ্চতর পদে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

মঙ্গলবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপদেষ্টা পরিষদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে প্রত্যেক কর্মকর্তার জন্য প্রযোজ্য তারিখ থেকে উচ্চতর পদে পদোন্নতির আদেশ জারি করা যেতে পারে।'

প্রেস সচিব জানান, ১১৯ জনকে সচিব, ৪১ জনকে গ্রেড-১ (সচিবের সমান বেতন গ্রেড), ৫২৮ জনকে অতিরিক্ত সচিব, ৭২ জনকে যুগ্ম সচিব এবং ৪ জনকে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। তাদের বেতনভাতা খাতে সরকারের ব্যয় হবে ৪২ কোটি টাকা এবং অবসরভাতা বাবদ ১৩ কোটি টাকা।

এক প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল আলম বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আন্দোলনের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এ বিষয়টি জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব দেখভাল করছেন। সরকার নিবিড়ভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা কোনো সরকারি চাকরিজীবীকে বঞ্চিত করতে চাই না। সবার প্রতি সুবিচার করতে চাই।

শফিকুল আলম বলেন, সংস্কার কমিশনের বিষয়গুলো স্বচ্ছতার সাথে সবাইকে জানানো হচ্ছে। ফলে অনেকে এটা নিয়ে কথা বলছেন। এর মানে এই নয় যে এটা নিয়ে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। বিশৃঙ্খলার বিষয়টি আমি মানতে চাচ্ছি না। গত চার মাসে আমাদের প্রশাসন যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। অর্থনীতিও ঘুরে দাড়াঁচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্থিতিশীল হয়ে গেছে। ফলে আমি মনে করি পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

প্রেস সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমে যে সব তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে, তার সঠিক ব্যাখা দেয়া উচিত। বিশেষ করে মামলার যেসব পরিসংখ্যান ছাপা হচ্ছে, তার অধিকাংশই জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হওয়া হত্যাকাণ্ডের মামলা। এ ব্যাপারে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে একটি টেলিভিশনে কয়েকজনকে চাকুরিচ্যুতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল আলম বলেন, সরকার কাউকে চাকরিচ্যুত করতে বলেনি। সরকারের বাইরের কেউ করলে এর দায় সরকার নেবে না। অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের উপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না বলে তিনি দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির বিষয়ে প্রেস সচিব জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সরকার একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিতে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের বিকল্প বড় বাজার তৈরি হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রপ্তানি উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপ কেন্দ্রিক। তাই বিকল্প বাজার হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এছাড়াও চীনের কয়েকটি কোম্পানি বাংলাদেশের সৌর বিদ্যুতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
সরকার জনগণকে সাথে নিয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে : পরিবেশ উপদেষ্টা জাতীয় প্রবৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার ভারত থেকে অনুপ্রবেশের সময় শার্শা সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ১৬ ‘আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে তারেক রহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী’ টাকা কম পেলেও রহমতগঞ্জে এসে ভালোই হয়েছে : জীবন মধ্য প্রাচ্যের প্রতিপক্ষ খুঁজছে বাফুফে বিএসএফের ধরে নিয়ে যাওয়া ১৪ বাংলাদেশী ভারতের কারাগারে মারা গেছেন পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের মেজো ছেলে গাড়িকাণ্ড : তিন নেতার সদস্যপদ ফিরিয়ে দিলো বিএনপি ‘অবহেলিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সবাই এগিয়ে আসতে হবে’ চুয়াডাঙ্গায় ১৪টি স্বর্ণের বারসহ ৩ চোরাকারবারি আটক

সকল