উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৮, আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৬
অন্তর্বর্তী সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
শুক্রবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
জানা গেছে, ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন হাসান আরিফ। তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতা থেকে তার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবনে তিনি ১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।
হাসান আরিফ বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি অক্টোবর ২০০১ থেকে এপ্রিল ২০০৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি জানুয়ারি ২০০৮ থেকে জানুয়ারি ২০০৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ এফ হাসান আরিফ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ, নির্মাণ সালিশ, বাণিজ্যিক সালিস, অর্থ, ব্যাংকিং এবং সিকিউরিটিজ বিষয়, করপোরেট, বাণিজ্যিক ও ট্যাক্সেশন বিষয়, সাংবিধানিক আইন বিষয়, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের অন্যান্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন।
হাসান আরিফের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতির শোক
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এ.এফ. হাসান আরিফের অকাল মৃত্যুতে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
জাতীয় আইনজীবী সমিতির শোক : বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মো: খসরুজ্জামান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ.এফ. হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, হাসান আরিফ সরকারের উপদেষ্টা, অ্যাটর্নি জেনারেল ছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতা ছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুতে দেশের আইনের জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন হলো।