হাসিনা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিরুদ্দেশ করে দিয়েছিল : রিজভী
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:২৪
শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিরুদ্দেশ করে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
অন্তর্বতী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক দলগুলো ৫৩ বছরেও কোনো সংস্কার করেনি- এমন অহংকার দেখালে কিন্তু মানুষ আপনাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। মনে করবে, আপনারা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছেন। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিরুদ্দেশ করে দিয়েছিল হাসিনা। আপনারা সেই ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে দিতে কাজ করুন।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে কৃষকদল মহানগর উত্তরের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে দেয়া বক্তব্য রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে পারছে না। অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবের মধ্যে গঠিত হয়েছে। সরকারকে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। সেই প্রত্যাশা পূরণে ঘাটতি থাকলে, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের চিন্তা অনুযায়ী কথা বলবে।
রিজভী বলেন, রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজদের ধরুন। অনেক সময় পুলিশ খাদ্য পণ্যের গাড়ি থেমে চাঁদা আদায় করছে। এগুলো বন্ধ করলেই দাম কমে আসবে। আমরা এটা বলি না যে সরকারের কোনো লোক এটা করছে। কিন্তু শক্তিশালী প্রশাসনিক নির্দেশনা থাকলে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজি হতো না। মানুষকে এই পরিস্থিতি যদি আগের আমলের চেয়ে স্বস্তি দিতে না পারে, তাহলে মানুষ হতাশ হবে।
অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করবে। কেউ হুমকিতে থাকবে না। কিন্তু আপনারা যদি প্রশাসনে শেখ হাসিনার দোসরদের লালনপালন করেন, নারায়ণগঞ্জের এসপি, যিনি যুবদলের শাওন হত্যায় জড়িত- সেই এসপিকে যদি ডিসি হেডকোয়ার্টার বানান, তাহলে আপনি সমাজ থেকে কিভাবে চাঁদাবাজি বন্ধ করবেন? কিভাবে খুনাখুনি বন্ধ করবেন, কিভাবে হানাহানি বন্ধ করবেন?’
তিনি বলেন, আপনারা (অন্তর্বতী সরকার) যদি প্রকৃত সংস্কার করেন। তাহলে নির্বাচন, গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশগুলো, আইনের শাসন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করা এত বিলম্ব হওয়ার কথা না। এতদিনে আপনারা প্রশাসন, বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতে পারতেন। অগ্রগতি একেবারে হয়নি, তা কিন্তু নয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা