২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদমুক্ত দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’

লক্ষ্মীপুরে বশিকপুর ইউনিয়ন জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলন - সংগৃহীত

শহীদ ডা. ফয়েজসহ সকল শহীদের রক্তস্নাত পথ ধরে ‘আওয়ামী-বাকশালীদের রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় ও মাফিয়াতান্ত্রিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলায়’ দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

তিনি বলেছেন, ‘স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদমুক্ত দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ৭ নম্বর বশিকপুর ইউনিয়ন জামায়াত আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের প্রায় চার মাস হলেও পতিত স্বৈরাচারের প্রতিভূদের বিচারের ক্ষেত্রে আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো অগ্রগতি নেই। বরং তারা অর্জিত বিজয়কে নস্যাৎ ও বিতর্কিত করার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তারা কখনো আনসারের ছদ্মবেশে, কখনো সংখ্যালঘুর ছদ্মাবরণে, আবার কখনো পরীক্ষার অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করার ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়েছে। সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নতুন করে ভিন্ন আঙ্গিকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাই এসব মানবতাবিরোধীদের অপরাধীদের বিচারের জন্য কোনোভাবেই কালক্ষেপণের সুযোগ নেই।’

তিনি স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলকে রাজপথে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মূল উদ্দেশ্যই ছিল দেশে সকল প্রকার বৈষম্যের অবসান। কিন্তু আগস্ট বিপ্লবের পরও দেশের সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য বিরাজমান। মূলত মানবরচিত মতবাদের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ ও মুক্তি কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’

জামায়াতের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জামায়াত দীর্ঘদিন ধরে দেশের মানুষের মাঝে যে আদর্শ প্রচার করেছে সময়ের ব্যবধানে তার অপরিহার্যতা প্রমাণ হয়েছে। জামায়াত নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকারের প্রয়োজনের কথা অনুভব করলেও অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো তা মোটেই আমলে নেয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে তা সকলের কাছেই জিকিরে পরিণত হয়েছিল। বিগত ৫৩ বছর ধরে জামায়াত দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে ক্ষুধা, দরিদ্র ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসান হবে, প্রতিষ্ঠিত হবে সুশাসন।

তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আগামী নির্বাচনে জামায়াতকে সমর্থন দিতে লক্ষ্মীপুরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

ইউনিয়ম আমির মাওলানা গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় সম্মেলনের বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার আমির এস ইউ এম রুহুল আমীর ভূঁইয়া।

এতে বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ফারুক হোসাইন মু. ইুরনবী, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মনিনুল হক, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আমির মাওলানা হুমায়ন কবির, নায়েবে আমির মো: আলমগীর হোসেন, সেক্রেটারি ফয়েজ আহমদ, সহকারী সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারি ও শূরা সদস্য মাওলানা মোরশেদ আলম প্রমুখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement