২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

‘বাংলাদেশ বির্নিমাণে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে কাজ করবে গণঅধিকার পরিষদ’

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ, আহত ও নিহতদের স্মরণ সভায় নুরুল হক নুর - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কারের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ বির্নিমাণে গণঅধিকার পরিষদ ছাত্র-জনতাকে নিয়ে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, এ সরকার ব্যর্থ হলে দেশ আরেকটা সংকট ও বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। নানা চাপের মধ্যেও সরকারকে সঠিক লাইনে থেকে রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে।

আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় উত্তরা আজমপুর আমির কমপ্লেক্সের সামনে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ, আহত ও নিহতদের স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা এ সরকারকে ক্ষমতায় বসালেও আড়াই মাসেও এখনো পর্যন্ত আহতদের সুচিকিৎসা ও শহীদ পরিবারকে সেভাবে সহযোগিতা করতে পারে নাই। অথচ এটিই হওয়া দরকার ছিল এ সরকারের প্রথম কাজ। দুঃখ হয়, কষ্ট লাগে সরকারের প্রতি ক্ষোভ হয়। সরকারকে স্পষ্ট বলতে চাই, আগামী এক মাসের মধ্যে নিহত পরিবারকে এক কোটি ও আহত পরিবারকে অর্ধকোটি টাকা সহযোগিতা করতে হবে। প্রয়োজনে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠাতে হবে। জানি না কেন মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধকে জুলাই ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। শুনছি কতিপয় ছাত্রনেতার প্রভাবে সরকার-উপদেষ্টারা কাজ করতে পারছে না।’

তিনি বলেন, ‘কোন দলকে ক্ষমতায় বসাতে বা কাউকে নেতা বানাতে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেননি। ১৫ থেকে ২০ দিনে মেসি-রোনালদো হওয়া যায় না। কতিপয় ছাত্রনেতাদের দ্বারা এত প্রভাবিত হলে সরকারের ছয় মাস টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যাবে। আমরা চাই না, এ সরকার ব্যর্থ হোক। সরকারকে বলব রাষ্ট্র সংস্কার ও সরকারের স্থিতিশীলতার জন্য আন্দোলনকারী সকল দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করুন।’

দলের সাধারণ সম্পাদক মো: রাশেদ খাঁন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা কিন্তু রয়ে গেছেন। দেখেন পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবির কেউ গ্রেফতার হচ্ছেন না। এগুলো কিসের আলামত? এ যে সরকার, তাদের তো জনগণ বসিয়েছেন। কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণকে কতটুকু সম্পৃক্ত করছেন? আইনশৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্য কোনো কিছু তারা এখনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। এমনকি শহীদ ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতেও পারেননি। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে তাদের দূরত্ব। তারা কি করতে চাচ্ছেন তা স্পষ্ট না। আমরা বলব, রোডম্যাপ দিন, দলগুলোর মতামত নিন। অন্যথায় সফল হওয়া কঠিন হবে। রাষ্ট্র সংস্কার আপনাদেরকেই করতে হবে। সেটি না হলে এ স্বাধীনতা দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থ হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে জটিলতা। কিন্তু কেন আপনারা তার হাতে শপথ নিলেন, তখনই তো ভাবা দরকার ছিল। কিন্তু সেটি না করে তড়িঘড়ি করে ক্ষমতায় বসে আজকে সঙ্কট সৃষ্টি করেছেন। জনগণকে অন্ধকারে রেখে রাষ্ট্র সংস্কার করা যায় না। ধোঁয়াশা দূর করে সব দলকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্র চালান। দলগুলো যেভাবে গণঅভ্যুত্থান ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছে, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ রেখে কাজ করা আপনাদের দায়িত্ব।’

গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগরের সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আবির ইসলাম সবুজের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আব্দুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিমউদ্দীন, মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান প্রমুখ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement

সকল