রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে সংকট তৈরির অপচেষ্টা চলছে : লেবার পার্টি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:০৯
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে সংকট তৈরির অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি দু’ধরনের বক্তব্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে থাকার নৈতিকতাকে নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।’
এ সময় তারা বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোনো সংকট তৈরি কাম্য নয়, একটি মহল পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। সন্ত্রাসী ও গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই।’
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) পার্টির প্রচার সম্পাদক মো: মনির হোসেন খান সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে লেবার পার্টির নেতৃদ্বয় এ কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি তার পদে থাকবেন কি থাকবেন না এই প্রশ্নটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সুতরাং রাজনৈতিক সমঝোতা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।’
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘সবাইকে মনে রাখতে হবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে যে গণআকাঙ্খা তৈরি হয়েছে, তার চূড়ান্ত বিজয় রুখতে ষড়যন্ত্রকারী ও ক্ষমতালোভীরা এখনো তৎপর রয়েছে। এ অবস্থায় কোনোরকমের হটকারী সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে সকলকে ভাবতে হবে। রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হওয়ার পর সেই শূন্যতাকে স্বৈরাচারের দোসররা যেন কাজে লাগাতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ কর্মপন্থা তৈরী করতে হবে। একইসাথে রাষ্ট্র, সংবিধান ও রাজনীতি সংস্কারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাতীয় ঐক্যের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, ‘লেবার পার্টির মনে করে পতিত স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া দোসর ও ফ্যাসিবাদী কাঠামোর পুরোপুরি বিলুপ্ত এবং রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কার ছাড়া জনগণের আকাঙ্খিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ সম্ভব নয়। এগুলো ছাড়া শুধুমাত্র একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ক্ষমতার পালাবদল হলেও জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের আকাঙ্খা অপূর্ণই থেকে যাবে। সংবিধানসহ অন্য রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ‘জাতীয় ঐক্যের’ কোনো বিকল্প নেই।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা