২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

গোলাম আযমকে বাংলাদেশের মানুষ মুকুটহীন রাজা বানিয়েছে : আযমী

মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম - ফাইল ছবি

'জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযমকে বাংলাদেশের মানুষ মুকুটহীন রাজা বানিয়েছে' বলে জানিয়েছেন তার মেজো ছেলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) অধ্যাপক গোলাম আযমের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকীতে পিতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, '২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯২ বছর বয়সে আমার বাবা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। ২৫ অক্টোবর বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে উনার নামাজে জানাজার শেষে মগবাজার কাজী অফিস লেনে পারিবারিক কবরস্থানে উনাকে দাফন করা হয়।' 

তিনি বলেন, 'এদেশের ইতিহাসে তো বটেই, এমনকি পৃথিবীর ইতিহাসে সর্ববৃহৎ জানাজা বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। সমগ্র বিশ্বে প্রায় চার হাজার গায়েবানা জানাজা হয়েছে। কেবলমাত্র কাবা শরীফেই শতাধিক জানাজা হয়েছে। দেশের সর্বস্তরের আপামর জনতা বায়তুল মোকাররমের জানাজায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে ষড়যন্ত্রকারী ও কুচক্রীদের যুগ যুগ ধরে উনার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছেন। আমি আমার ও আমার পরিবারের সকলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।'

তিনি আরো বলেন, 'ওই দিন এদেশের জনগণ কুচক্রীদের জানিয়ে দিয়েছেন যে, উনারা ষড়যন্ত্রকারীদের মিথ্যা প্রচারণায় বিশ্বাস করেননি। মগবাজারের বাড়ি থেকে বাইতুল মোকাররম মসজিদ পর্যন্ত উনার লাশ নিয়ে যে বর্ণাঢ্য র‍্যালি হয়েছে তার দ্বারা এ দেশের মানুষ উনাকে এদেশের মুকুট মুকুটহীন রাজা বানিয়ে দিয়েছেন। তাই, নির্দ্বিধায় অধ্যাপক গোলাম আযমকে 'বাংলাদেশের মুকুটহীন রাজা' উপাধি দেয়া যেতে পারে।'

আমান আযমী বলেন, 'অধ্যাপক গোলাম আযম একজন নির্লোভ, নির্মোহ, জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ খাঁটি দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন। ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৯১ ও ২০০১ এ, মোট চারবার উনার মন্ত্রিত্ব গ্রহণের সুযোগ থাকলেও তিনি মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করেননি।' 

তিনি বলেন, "গোলাম আযম জনগণের নেতা, জনতার পাশে থেকে জনগণের জন্য কাজ করে গেছেন। ক্ষমতার অংশীদার হয়ে ভোগবিলাসের মধ্যে জীবনযাপন উনার জীবনে উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি কখনোই ক্ষমতার লোভী ছিলেন না। এ প্রসঙ্গে আমি উনার একটি উদ্ধৃতি জাতির সামনে পেশ করতে চাই। তিনি বলেছিলেন, 'জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতা আসুক আর না আসুক, দীন প্রতিষ্ঠা করতে পারুক আর না পারুক, তাতে আমার ব্যক্তিগত সাফল্য আটকে থাকে না। আমার ব্যক্তিগত সফলতা হলো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইকামতে দীনের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে পেরেছে কি-না।' উনার এই বক্তব্য দ্বারা উনার জীবন দর্শন স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে এবং তিনি জীবনের শেষ পর্যন্ত সেই লক্ষ্যেই কাজ করে গেছেন।" 

তিনি আরো বলেন, 'আমরা এক অভাগা জাতি। উনার মত সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও দূরদর্শী একজন রাজনীতিবিদের খেদমত পাওয়া থেকে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। বিগত ৫৩ বছর সব অযোগ্য ও অদক্ষ ব্যক্তিরা দেশ পরিচালনার নামে জনগণের সম্পদ লুটপাট করে খেয়েছে। আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন আমরা সবাই মিলে আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য লোকদের নির্বাচিত করে একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করি। আমি আশাবাদী, দেশবাসী ভবিষ্যতে অযোগ্য, অদক্ষ, দুর্নীতিপরায়ণ লুটেরাদেরকে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবেন না। আমি এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি।'

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement
গোলাম আযমকে বাংলাদেশের মানুষ মুকুটহীন রাজা বানিয়েছে : আযমী ঢাবিতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, দুই ছাত্র সংগঠনের প্রতিবাদ তুরস্কে প্রতিরক্ষা সংস্থায় হামলা : নিহত ৪ আইবিএ’র সাবেক পরিচালকসহ আটজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আবদুল্লাহ হত্যা মামলা থেকে শ্রমিক লীগ নেতার নাম বাদ দিতে আবেদন সমুদ্র গবেষণায় সামরিক কর্মকর্তা নিয়োগে উদ্বেগ ইসরাইল ব্যর্থ হয়েছে : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে মধ্যরাতে নোবিপ্রবিতে আনন্দ মিছিল বিএনপির পর জামায়াতের রিভিউ আবেদন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করায় ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের আনন্দ মিছিল প্রধান উপদেষ্টার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ

সকল