২১ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩০, ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

আপিলের অনুমতি পেলেন ড. ইউনূস

ড. মুহাম্মদ ইউনূস - সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার আইনসঙ্গত হয়েছে কিনা- তা নিয়ে বৃহত্তর শুনানির জন্য লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেছে আপিল বিভাগ। একই সাথে আগামী ১৯ নভেম্বর এ আবেদনের শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) আপিল বিভাগ এ আদেশ দেয়।

ড. ইউনূসের আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ জানান, হাইকোর্টে মামলাটি বাতিল চেয়ে অধ্যাপক ইউনূসের একটি আবেদন পেন্ডিং ছিল।

তিনি বলেন, ‘এ অবস্থায় সরকার পরিবর্তনের পর তারা আমাদের না জানিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে ফেলে। এটি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারিত ছিল। জুলাইয়ের ২৪ তারিখ হাইকোর্ট কোয়াশমেন্ট আবেদন নামঞ্জুর করে ভারবাল আদেশ দেয়। কিন্তু আমরা নকল পেয়েছি আগস্টের ২৪ তারিখে। তখন আমরা আইনানুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে লিভ টু আপিল করলাম।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চেম্বার জজে বললাম, যেহেতু এটা হাইকোর্টে পেন্ডিং অবস্থায় ছিল দুদক এটা প্রত্যাহার করতে পারে না।’

পরে চেম্বার জজ আদালত আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়।

সোমবার সকালে আপিল বিভাগে এ মামলাটির শুনানি হয়। আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেছে।

তিন যুক্তিতে আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর করেছে।

আবেদনের একটি যুক্তিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে- এমন প্রশ্ন যেন কখনো না ওঠে সে কারণে আবেদনকারীর এ আবেদন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর গত ১১ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলা প্রত্যাহারে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। ঢাকার বিচারিক আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করে।

এ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রায় ২৫ কোটি টাকা লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছিল। মামলায় গত ১১ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য গ্রহনের দিন নির্ধারিত ছিল।

এর আগে গত ৭ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কারাদণ্ড থেকে খালাস পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেয়।
সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement