১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি, গণতন্ত্র এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি : নজরুল ইসলাম

নজরুল ইসলাম খান - ছবি - নয়া দিগন্ত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি কিন্তু গণতন্ত্র এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।

আজ বৃহস্পতিবার রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। নব্বইয়ের গণতন্ত্র হত্যাকারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অগ্রসেনানী শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ- এর ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।

নজরুল ইসলাম বলেন, জেহাদের ১০ অক্টোবরের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটেছিল, সেদিন গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। সেদিন জেহাদ, নুর হোসেনের মতো কর্মী আর ডা: মিলনের মতো সাহসী মানুষ না থাকলে স্বৈরাচারের পতন হতো না।

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আর একটি পরিবর্তন সাধিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই পরিবর্তন একটি ধারাবাহিকতার চূড়ান্ত রূপ মাত্র। আলাদা কোনো আন্দোলন, আলাদা কোনো অভ্যুত্থান নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি দালান একটি ইটের পর ইট দিয়ে সিমেন্ট দিয়ে রঙ করে সুন্দর একটি দালান হয়। এই রঙ যদি তার ভিতরের ইট বালু সিমেন্টকে ভুলে যায়, তবে তা অন্যায় হবে। তবে রঙ-বালু-ইট মিলিয়ে ওই দালানটি। জেহাদ ওইসব দ্রব্যাদির একটি অংশ মাত্র।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ক্ষুদিরাম থেকে শুরু করে সিপাহী বিদ্রোহ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছাত্র আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে, ৯০’র অভ্যুত্থানে এবং ২০০৯ সাল থেকে ১৫ বছরে শত শত নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। এ জীবন শুধু ছাত্র-জনতাই নয়, নানা পেশাজীবী মানুষ তাদের জীবন দিয়েছে। তাদের একটাই আকাঙ্ক্ষা ফ্যাসিবাদের পতন গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা। আজকে আমরা ওই লড়াইয়ে বিজয়ী হলাম, আমরা ফ্যাসিবাদ পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু গণতন্ত্র এখনো আমরা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। অথচ লড়াই এটাই ছিল ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

পতিত ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন বলেই মনে করবেন না সব ফ্যাসিবাদের দোসর ও স্বৈরাচারের দোসরা পালিয়ে গেছে। না, আছে তারা। এমনও আছে, যাদের আমরা চিনতে ভুল করছি। মনে হচ্ছে আমাদের পক্ষের। ওই লোকগুলো আমাদের ভিতরে অনৈক্য তৈরি করার জন্য স্লোগান দেয়। যাতে করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে লড়াই করে ঐক্য তৈরি হয়েছে, সেটির বিভেদ হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নানা ধরনের গুজব ও অপপ্রচার সৃষ্টি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনাদের হুঁশিয়ার ও সাবধান থাকতে হবে। কোনো ধরনের গুজব ও বিভ্রান্তিতে আমাদের পা দেয়া যাবে না। ওদের (পতিত স্বৈরাচার) মধ্যে বিদেশে অনেক লোক আছে, আবার টাকা পয়সা আছে। ওরা চেষ্টা করবে আমাদের ভিতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার। সেটি যেন করতে না পারে।


আরো সংবাদ



premium cement