০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ৫ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

জামায়াত কার্যালয়ে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত

জামায়াত কার্যালয়ে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত রিপাবলিক অব কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক এবং ডেপুটি চিফ মিশন মিস ঝিনহি ব্যাক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।

সাক্ষাৎ শেষে তারা দেশবাসীর উদ্দেশে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন।

এই সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো কীভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারেও আমরা উভয়েই আমাদের অভিমত ব্যক্ত করেছি। সম্প্রতি দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে এবং একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে এ দেশের গণমানুষের যে লড়াই সাড়ে ১৫ বছর ধরে চলে আসছিল। সেই লড়াইয়ের পরিসমাপ্তি লগ্নে আমাদের দেশের ছাত্র ও যুব সমাজ কোটা বিরোধী যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন সেই আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকার এক কুৎসিত পথ অনুসরণ করেছিল। অসংখ্য মানুষের জীবনের বিনিময়ে, হাজারো মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে এবং দেশে প্রবাসে একইসাথে লড়াইয়ের বিনিময়ে এই জাতি সাময়িকভাবে মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশকে কীভাবে সামনে এগিয়ে নেয়া যায় এবং বাংলাদেশের জনগণের উন্নতি, নিরাপত্তা ও অগ্রগতি নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে তারা কীভাবে কাজ করতে পারেন বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং রিপাবলিক অব কোরিয়া এক্ষেত্রে তাদের পার্টনারশিপ আরো কিভাবে উন্নত করতে পারেন এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র কীভাবে সহযোগিতা করতে পারেন সে বিষয়ে আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এ ব্যাপারে তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করছেন। এই মুহূর্তে তাদের এই সহযোগিতা আমাদের অত্যন্ত মৌলিক প্রয়োজন। কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের সততা ও দক্ষতা দিয়ে আরো কীভাবে অবদান রাখতে পারেন সে বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি এবং কোরিয়াতে বাংলাদেশীরা যেন আরো বেশি সংখ্যায় যেতে পারেন সে ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছি। আমাদের আলোচনা অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে, সন্তোষজনক হয়েছে। তারা বাংলাদেশকে আরো সহযোগিতা করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তাদেরও কিছু কথা ছিলো সেগুলো আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনেছি এবং সে জায়গাগুলো আমরা পরিস্কার করার চেষ্টা করেছি। আমাদের মনে হয়েছে যে আমাদের কথায় তারা পুরোপুরি আশস্ত হয়েছেন।

আমিরে জামায়াত আরো বলেন, এ সফরকালে তারা বাংলাদেশের সমাজ ও সামাজিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন।’

এই সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো: তাহের ও মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জনাব হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি জনাব মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির জনাব মো: সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব মোবারক হোসাইন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement