২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

রাজনৈতিকভাবে পার্বত্য জেলায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে হবে : হেফাজতে ইসলাম

- সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিরতা ফেরাতে সম্মিলিত রাজনৈতিক উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘পার্বত্য জেলায় চলমান অস্থিরতাকে আমরা বাইরের আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখছি। এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শান্ত করতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্মিলিত রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসে শলাপরামর্শ করুন। পার্বত্য জেলার নিরীহ বাঙালি ও উপজাতি সবাই আমাদের ভাই-বোন। সবাই বাংলাদেশী। তাদের মধ্যে সমঝোতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেখানকার স্থানীয় দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সাথেও আলোচনায় বসে সমন্বয়পূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে দেশী-বিদেশী চক্রান্তের বাস্তবতায় এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের উসকানি ও গোপন সহায়তায় পার্বত্যের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড জিরো টলারেন্স নীতিতে দমন করতে হবে। সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে দেশের শত শত দেশপ্রেমিক ঈমানদার যুবক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় পাশে থাকবে।’

তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেখ মুজিব কর্তৃক বাঙালি পরিচয় অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দেয়ার হঠকারিতা থেকেই পাহাড়ে অশান্তির শুরু। কিন্তু পরবর্তীতে মরহুম জিয়াউর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় পরিচয় হিসেবে বাংলাদেশী জাতীয়তা গৃহীত হওয়ার মধ্য দিয়ে পার্বত্য জেলার উপজাতিরা আত্মপরিচয়ের সঙ্কট থেকে মুক্তি পায়। আমাদের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের নৃতাত্ত্বিক পরিচয় স্বীকার করার পাশাপাশি কোটা ব্যবস্থার মাধ্যমে পাহাড়ি উপজাতিদেরকে দেশের মূলধারার জনসমাজের সাথে সংযুক্ত করারও ব্যবস্থা করেছে। অথচ পাহাড়ি বাঙালিরা সুবিধাবঞ্চিত সত্ত্বেও কোনো কোটা সুবিধা তাদের দেয়া হয় না।’

তারা আরো বলেন, ‘আমাদের পাহাড়ে আদিবাসী ও সেটেলার বলে কিছু নেই। তরুণ প্রজন্মের জানতে হবে, ইতিহাসের রেকর্ড অনুসারে ২৫০-৩০০ বছর আগে পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসী এই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো বার্মা, ভারতের সেভেন সিস্টার্স ও আশপাশের অঞ্চল থেকে এসে বসতি গড়েছে। ১৯৯৭ সালে উপজাতি হিসেবেই তাদের সাথে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চল কখনো বাঙালিদের উপনিবেশ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়নি। ফলে কোনো দিক থেকেই তাদের আদিবাসী বলার যৌক্তিকতা দাঁড়ায় না। তাই পার্বত্য জেলায় কেউ আদিবাসীও নয়, কেউ সেটেলারও নয়। কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলকে আমাদের ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বহু পুরনো। বিভিন্ন খ্রিস্টান মিশনারী এই উদ্দেশ্যে সেখানে এখনো সক্রিয়। এছাড়া পশ্চিমা ফান্ডের লোভে দেশের কিছু এনজিও এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আদিবাসী বনাম সেটেলার প্রচারণায় তৎপর রয়েছে। এদেশের সেনা-জনতা এ ধরনের বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র কখনো বাস্তবায়িত হতে দেবে না, ইনশাআল্লাহ।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বামী হত্যা : স্ত্রীর যাবজ্জীবন, ভায়রার মৃত্যুদণ্ড ১০ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন ৯ বছর বয়সী মাসুদ লেবাননে ইসরাইলি হামলায় এক দিনেই নিহত ২৭৪ বিএনপি নেতা হত্যা : সাবেক প্রতিমন্ত্রী রিমিসহ ৪৯ জনের নামে মামলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারত সীমান্তে ১ হাজার কেজি ইলিশসহ পাচারকারী আটক ববির ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী এমপিদের বিচার করতে হবে : ফয়জুল করীম ভারতের কাছে বন্যা ও বৃষ্টিপাতের তথ্য চাওয়া হবে : পানিসম্পদ উপদেষ্টা ছেলের ফল জালিয়াতি, বাবা ওএসডি কুলাউড়ায় সীমান্তে ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে এক যুবক আটক

সকল