মেগা প্রকল্পগুলো এসডিজি অর্জনে বড় ভূমিকা রাখছে
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০২ জুন ২০২৪, ২০:১৪
এসডিজির (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা রাখছে দেশের মেগা প্রকল্পগুলো। কেননা এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে যোগাযোগ ও যাতায়াতব্যবস্থা সহজ এবং নিশ্চিত হচ্ছে। ফলে গ্রাম ও শহরের মধ্যে বৈষম্য দূর হচ্ছে। অবকাঠামোগতভাবে একটি দেশ যত বেশি অগ্রগতি অর্জন করবে, ততই অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর আগামী দিনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলো জলবায়ু পরিবর্তন।
রাজধানীর দারুস সালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘এসডিজির লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) ৩০ জন সদস্য এ সেমিনারে অংশ নেন। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউট আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও উন্নয়ন) একেএম আজিজুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো: আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) উপ-পরিচালক মো: আলমগীর হোসেন এবং ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সহসভাপতি সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামানসহ গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এসডিজি নিয়ে এক উপস্থাপনায় মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, উন্নত অর্থনীতি ও জোরালো গণতান্ত্রিক চর্চায় অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা রক্ষা করা সমম্ভ, যা একইভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। তবে তথ্য অধিকার আইনের বাস্তবায়ন হলে দুর্নীতি কমবে। এছাড়া এসডিজি বাস্তবায়নে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে। বাংলাদেশ এমডিজির অনেক সূচকেই সাফল্য অর্জন করেছে। এসডিজির লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নেও নিজের মতো করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের এসডিজি আমাদের মতো করেই করতে হবে। অন্য দেশের সাথে তুলনা করে বাস্তবায়ন করা আমাদের জন্য সম্ভব না।
তিনি বলেন, ১৮টি গোলের মধ্যে বাংলাদেশ আটটি গোলে একটি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে রয়েছে। জলবায়ুকে বাদ দিয়ে আমাদের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের প্রকল্পগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মিল রেখে করতে হবে। আগামী দিনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলো জলবায়ু পরিবর্তন।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ২০৫০ সালে সাগরে মাছের চেয়ে প্লাষ্টিক বেশি পাওয়া যাবে।
বক্তারা বলেন, এসডিজি-১৬ নম্বর লক্ষ্য হচ্ছে টেকসই উন্নয়নের জন্য শন্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থার প্রচলন। অর্থাৎ সবার জন্য ন্যায় বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করা এবং সব স্তরে কার্যকর, জবাবদিহিতামূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান বির্নিমাণ। এখানেই সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। কেননা তাদের একটি প্রতিবেদন সমাজ বদলে দিতে পারে। যেমন বাংলাদেশে পোলিও টিকার যে সাফল্য, এর পেছনে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে।