আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইমামদের ভূমিকা রাখতে হবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ মার্চ ২০২৩, ২২:০৮
‘আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইমামদের কর্তব্য ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা বলেন, ইমামদের ধর্মীয় কাজের পাশাপাশি সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। বিতর্কিত বিষয় থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। মসজিদকে সাধারণ মানুষের দ্বীন শিক্ষার মারকাজ বানাতে হবে এবং নিজেদের বক্তব্য হতে হবে দলিল ভিত্তিক, তথ্যনির্ভর, সাবলীল ও গোছানো।
ইমামদের সংগঠন বাংলাদেশ আইম্মা পরিষদের উদোগে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। স্বাগত বক্তৃতা করেন পরিষদের মহাসচিব মাওলানা এনামুল হক মুসা। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পরিষদের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আশরাফ মাসরূর। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী ও জামিয়া মুহাম্মাদীয়া আরাবিয়ার মুহতামিম আল্লামা আবুল কালাম। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলূমের মুহতামিম মাওলানা জহুরুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাদরাসাতুল কাউসারের মুহতামিম মাওলানা সাঈদুর রহমান, মাওলানা যোবায়ের আহমদ, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাতীয় লেখক পরিষদের সভাপতি ড. মাওলানা শহিদুল ইসলাম ফারুকী, জাতীয় ইমাম সমাজের সভাপতি হাফেজ মাওলানা ক্বারী আবুল হুসাইন প্রমুখ। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত জাতীয় সেমিনারে রাজধানী ও ঢাকার পাশ্ববর্তী এলাকাগুলোর মসজিদের ইমামরা অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, আলেম-উলামা ও ইমামদের উচিৎ হবে বেনামাজিদের নামাজি বানানো। বেনামাজিদের নামাজি বানাতে পারলে সমাজ থেকে সব অনৈতিক কর্মকাণ্ড অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। আল্লাহ তা'আলা কুরআনুল কারীমে বলেন, নিশ্চয়ই নামাজ সব পাপাচার থেকে বিরত রাখে। তাই প্রতি সপ্তাহে দু-একজন করে বেনামাজিকে নামাজি বানাতে পারলে সমাজ থেকে সকল অনাচার দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সম্মেলন প্রতিহত করার ঘোষণা করে বলেন, ইসলাম এবং মুসলমানের ব্যানারে কাদিয়ানীরা সম্মেলন করতে পারবে না। এই কাদিয়ানীরা কাফের। তারা কাফের পরিচয় দিয়ে সম্মেলন করলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।
আল্লামা আবুল কালাম বলেন, দেশে ইমামদের অনেক সংগঠন আছে। সকল সংগঠনগুলোর সাথে সমন্বয়ে এক অভিন্ন হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবীতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, আদর্শ নাগরিক, আদর্শ পরিবার, আদর্শ সমাজ ও আদর্শ রাষ্ট্র তৈরিতে ইমামদের ভূমিকা সর্বাধিক। এছাড়া তিনি পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তিন দিনব্যাপী ইজতেমা বন্ধ করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়ে বলেন, কাদিয়ানী সম্প্রদায় ইহুদি-খ্রিষ্টানের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইসলামের নাম ভাঙিয়ে ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র ও মুসলমানদের ঈমান হরণের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। এই ব্যাপারে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।