বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে শ্রমিক কল্যাণের তরফে পুর্নবাসন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ আগস্ট ২০২২, ১৮:৫৮
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কবির আহমাদ বলেছেন, প্রতি বছর অসংখ্য শ্রমিক কর্মস্থলে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আহত ও নিহত হচ্ছে। দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিক পরিবারের খোঁজ কেউ রাখে না। এটি বড়োই বেদনাদায়ক। কর্মস্থলে দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিক পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্র ও মালিকদের নিতে হবে।
তিনি রোববার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পুর্নবাসন প্রকল্পের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহত শ্রমিক পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন, ছাগল ও কর্মসংস্থানের জন্য নগদ অর্থ প্রদান কালে এসব কথা বলেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম লুৎফর রহমান, বাঁশখালি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম, ফেডারেশনের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি নুরুল হোসাইন, উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন আযাদ, দক্ষিণ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তার হোসেন শিকদার, কোষাধ্যক্ষ শরফুল আমিন চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম, দক্ষিণ বাঁশখালি উপজেলা সভাপতি মহিউদ্দিন প্রমুখ।
এই সময় তিনি বলেন, একজন শ্রমিকের শ্রমে মালিক যেমন ধনসম্পদের মালিক হয় ঠিক তেমনিভাবে রাষ্ট্রের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে। শ্রমিকের শ্রমে যে রাষ্ট্রব্যবস্থা গতিশীল থাকে সে রাষ্ট্র কিভাবে শ্রমিকের দুর্ঘটনার পরে নিশ্চুপ থাকে আমাদের বুঝে আসে না। আমাদের একটাই দাবি, শ্রমিকের যেকোনো দুর্ঘটনার পর রাষ্ট্রকে শ্রমিকের কল্যাণে সর্বপ্রথম এগিয়ে আসতে হবে। শ্রম আইনের আলোকে মালিকদের থেকে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনের তাগিদে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নিহত ও কর্মাক্ষম শ্রমিক পরিবারের পুর্নবাসন করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
কবির আহমাদ বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এদেশের মেহনতি শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যখনই কোনো শ্রমিক বিপদে পড়েছে শ্রমিক কল্যাণ যথাসম্ভব চেষ্টা করেছে তার পাশে দাঁড়াতে। দেশের যেকোনো দুর্যোগ-দুর্ভোগেও শ্রমিক কল্যাণ সেবার ব্রত নিয়ে ছুটে গেছে। ফেডারেশন তার ক্ষুদ্র সামর্থ্যের আলোকে যেখানে শ্রমিকের দুর্ভোগ দেখেছে সেখানে ছুটে গিয়েছে দুরন্ত গতিতে এবং সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছে।
কবির আহমাদ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আল্লাহ রাব্বুল
আলামিন ভয়, ক্ষুধা এবং ধনসম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা বান্দাদের পরীক্ষা করেন। এই পরীক্ষায় যারা ধৈর্যের সাথে মোকাবিলা করে তারাই সফলকাম। সুতরাং আমরা যারা আজকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তাদের ভয়ের কিছু নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ আমাদের কাল কেয়ামতের ময়দানে উত্তম পুরস্কার দান করবেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি