১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘শ্রমিকদের কাছে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে’

‘শ্রমিকদের কাছে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে’ - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেছেন, ইসলাম শ্রমজীবী মানুষদের বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করেছে। শ্রমিকদের সম্মান ও পূর্ণ অধিকার একমাত্র ইসলামই নিশ্চিত করেছে। আমাদের দেশে শ্রমিকদের কাছে ইসলামের আলো এখনো পৌঁছায়নি। শ্রমিকদের কল্যাণের তাগিদে তাই সর্বপ্রথম শ্রমিকদের কাছে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণের লোহাগড়া উপজেলার উদ্যোগে উপজেলা কার্যকরী পরিষদের অধিবেশন ও ইউনিট সভাপতি সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আতিকুর রহমান বলেন, শ্রমিক শ্রেণির মাঝে ইসলামের আলো জ্বালাতে হবে। এই জন্য সর্বপ্রথম তাদের কাছে ইসলামের সুমহান বাণী তুলে ধরতে হবে। সত্য ও সুন্দরের পথ শ্রমিকরা অস্বীকার করতে পারবে না। বরং প্রকৃত সত্যের সন্ধান পেলে তারা এই পথে নিজেদের জোরালোভাবে শামিল করবে। শ্রমিকরা যখন ইসলামের পতাকাবাহী সংগঠনের নিচে শামিল হবে তখন সেখানে স্বাভাবিকভাবে সংগঠন শক্তিশালি হয়ে উঠবে। আর এই কাজ তখন সার্থকভাবে গড়ে উঠবে যখন পরিকল্পিতভাবে শ্রমিক ময়দানে কাজ করা হবে। এক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দকে শ্রমিক সেবাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শ্রমিকদের যেকোন সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব দিতে হবে। যেকোন ভয়-ভীতি দূরে ঠেলে শ্রমিকদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাহলে শ্রমিকরা ইসলামী শ্রমনীতির যথার্থতা উপলব্দি করতে পারবে। ইসলামী শ্রম আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের ভূমিকা ও অন্যান্য মতাদর্শের নেতৃবৃন্দের পার্থক্য দিনের আলোর ন্যায় প্রকাশ পাবে।

আতিকুর রহমান আরো বলেন, আ ন ম শামসুল ইসলাম ও শাহজাহান চৌধুরী লোহাগড়া-সাতকানিয়ার দুই বীর সন্তান। তারা আজ কারারুদ্ধ। অন্যায় অবিচার ও জুলুমের বিপক্ষে কথা বলার কারণে জালিম শক্তি তাদেরকে কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করেছে। আ ন ম শামসুল ইসলাম শ্রমিকদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি। আমরা তাদের দুজনকে দ্রুত মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি
জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, শ্রমিক শ্রেণির মাঝে ইসলামের আলো জ্বালাতে হবে। এজন্য সর্বপ্রথম তাদের কাছে ইসলামের সুমহান বাণী তুলে ধরতে হবে। সত্য ও সুন্দরের পথ শ্রমিকরা অস্বীকার করতে পারবে না। বরং প্রকৃত সত্যের সন্ধান পেলে তারা এই পথে নিজেদের জোরালোভাবে শামিল করবে। শ্রমিকরা যখন ইসলামের পতাকাবাহী সংগঠনের নিচে শামিল হবে তখন সেখানে স্বাভাবিকভাবে সংগঠন শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আর এই কাজ তখন সার্থকভাবে গড়ে উঠবে যখন পরিকল্পিতভাবে শ্রমিক ময়দানে কাজ করা হবে। এক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দকে শ্রমিক সেবাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শ্রমিকদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব দিতে হবে। যেকোনো ভয়-ভীতি দূরে ঠেলে শ্রমিকদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে, তাহলে শ্রমিকরা ইসলামী শ্রমনীতির যথার্থতা উপলব্ধি করতে পারবে। ইসলামী শ্রম আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের ভূমিকা ও অন্যান্য মতাদর্শের নেতৃবৃন্দের পার্থক্য দিনের আলোর ন্যায় প্রকাশ পাবে।

উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম লুৎফর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণের সভাপতি নুর হোসাইন, কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুহসিন, লোহাগড়া উপজেলার উপদেষ্টা অধ্যাপক আবু তাহের প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement