নড়াইলের ঘটনা ইসলাম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ : হেফাজত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৮ জুলাই ২০২২, ২১:২১, আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২২, ২১:২৩
নড়াইলে হিন্দু যুবক আকাশ সাহার ইসলাম অবমাননা ও সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা একই সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছে দেশের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
সোমবার হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, নড়াইলে হিন্দু যুবক আকাশ সাহা মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হজরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তি করার পর এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানায় সাধারণ মুসলমান। সেই প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয় জুমার নামাজের পর। কিন্তু পরে দুষ্কৃতিকারীরা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, এটা স্পষ্ট ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড।
তারা বলেন, আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, বিষয় এখানে দুইটি। একটা আকাশ সাহার ইসলাম অবমাননা এবং অন্যটা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর। তবে দুইটা ঘটনাই একই সূত্রে গাঁথা। আমরা মনে করি, যারা আকাশ সাহাকে দিয়ে ইসলাম অবমাননা করিয়েছে, তারাই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ইন্ধন যুগিয়েছে।
সংগঠনের শীর্ষ এই দুই নেতা দাবি করে বলেন, আকাশ সাহাকে যেমন কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে, তেমনি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির সম্মুখীন করতে হবে।
তাদের মতে- তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এসব ঘটনার পেছনের শক্তিকে খুঁজে বের করা। তারা বলেন, আমরা বিগত কয়েক বছর যাবত লক্ষ্য করছি হিন্দু সম্প্রদায়ের মুষ্টিমেয় কিছু লোক বারবার ইসলাম ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করছে এবং এরপর একটা গোষ্ঠী নিরাপরাধ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। জেনে-বুঝে কেন কটূক্তি করা হচ্ছে এবং হামলার পেছনে কারা কলকাঠি নাড়ছে, তা সবসময় আড়ালে থেকে যাচ্ছে।
তারা বলেন, আমরা মনে করি এসব কাজ ইসলাম ও দেশ বিরোধী শক্তির দ্বারা সংগঠিত হচ্ছে। তারা ইসলাম অবমাননা করে সাধারণ মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে তুলছে এবং এই সুযোগে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করতে হবে।
শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর আইন করতে হবে। যাতে কেউ ইসলাম অবমাননার সুযোগ না পায় এবং এটিকে কেন্দ্র করে নিজেদের স্বার্থে সংখ্যালঘুদের হামলা করতে না পারে।