বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১২ জেলায় ১৩,৩২৫ কৃষককে ধানের বীজ দিচ্ছে বিএসএ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৪ জুলাই ২০২২, ২১:১২
দেশে বন্যাকবলিত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন সহায়তায় গিয়ে এসেছে বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন (বিএসএ)। সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেটসহ দেশের ১২ জেলার ১৩ হাজার ৩২৫ কৃষকের মাঝে ধানের বীজ সরবরাহ করছে বেসরকারি এই বীজ সরবরাহকারী সংগঠনটি। প্রতিজন কৃষককে দু’ থেকে তিন কেজি করে বীজ দিচ্ছে বিএসএস।
বৃহস্পতিবার জামালপুর সদর ও সরিষাবাড়ি ও বখশিগঞ্জ উপজেলায় বীজ বিতরণের মাধ্যমে সহায়তা কার্যক্রম শুরু করে সীড এসোসিয়েশন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (সংশ্লিষ্ট জেলা) ব্যবস্থাপনায় এতে বীজ সহায়তা প্রদান করছে বায়ারক্রপ সায়েন্স বাংলাদেশ লিমিটিড, সুপ্রিম সীড কোম্পানি লিমিটেড ও এসিআই।
বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক ফখরুল ইসলাম জানান, ১২ জেলায় মোট ১৩ হাজার ৩২৫ জন কৃষককে ৩০ টন (২৮ হাজার কেজি) বীজ সরবরাহ করা হবে। কৃষককে এক বিঘায় চাষাবাদের জন্য রোপা আমন মৌসুমের উপযোগী এই ধানবীজ দেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, সিলেট অঞ্চলের চার জেলায় ইনব্রিড জাত এবং অন্য আট জেলায় হাইব্রিড জাতের ধান বীজ দেয়া হচ্ছে। হাইব্রিড ধান বীজ দিচ্ছে বায়ারক্রপ সায়েন্স বাংলাদেশ লিমিটিড, সুপ্রিম সীড কোম্পানি লিমিটেড এবং ইনব্রিড জাতের বীজ দিচ্ছে এসিআই। হাইব্রিড ধান বীজ প্রাপ্ত কৃষকেরা দু’কেজি করে এবং ইনব্রিড ধান বীজ প্রাপ্তরা তিন কেজি করে পাবেন। হাইব্রিডের মধ্যে এরাইজ ১০ টন, ব্রি-৬ জাতের ১০ টনসহ মোট ২০ টন এবং ইনব্রিড জাতের মধ্যে ব্রি-৮৭ জাতের এক টন ও ব্রি ৭২ জাতের ৯ টনসহ সর্বমোট ৩০ টন বীজ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
কৃষকের তালিকা করেছেন সংশ্লিষ্ট জেলার কৃষি সম্প্রসারণের কর্মকর্তারা। জেলার ডিডি’র মাধ্যমে পর্যাক্রমে এই বীজ ১২ জেলার বাছাইকৃত কৃষকের হাতে দেয়া হবে বলে জানান ফখরুল ইসলাম।
তিনি আরো জানান, বীজ প্রাপ্ত ১২ জেলার মধ্যে টাঙ্গাইলের ১২ উপজেলায় দু’হাজার কৃষককে চার হাজার কেজি, শেরপুর জেলার পাঁচ উপজেলায় এক হাজার কৃষককে দু’হাজার কেজি, জামালপুরের সাত উপজেলায় এক হাজার কৃষককে দু’হাজার কেজি, সিরাজগঞ্জের আট উপজেলায় দু’হাজার কৃষককে চার হাজার কেজি, বগুড়ার তিন উপজেলায় এক হাজার কৃষককে দু’হাজার কেজি, গাইবান্ধার সাত উপজেলায় এক হাজার কৃষককে দু’হাজার কেজি, কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় এক হাজার কৃষককে দু’হাজার কেজি, লালমনিরহাটের চার উপজেলায় এক হাজার কৃষককে দু’হাজার কেজি, সিলেটের চার উপজেলার এক হাজার কৃষককে তিন হাজার কেজি, মৌলভীবাজারের সাত উপজেলায় ৬৫৯ কৃষককে দু’হাজার কেজি, হবিগঞ্জের সাত উপজেলায় ৬৬৬ কৃষককে দু’হাজার কেজি এবং সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় এক হাজার কৃষককে তিন হাজার কেজি বীজ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।