প্রচলিত শ্রম আইনে শ্রমিক সমস্যার সমাধান হবে না : অ্যাড. আতিকুর রহমান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ জুলাই ২০২২, ২১:০৮, আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২২, ২২:০২
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেছেন, দেশে প্রতি বছর ঈদের সময় বেতন ও উৎসব ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের রাজপথে নেমে আসতে হয়। ন্যায্য পাওনা চাইতে গিয়ে পুলিশের লাঠির মার খেতে হয়। কথায় কথায় চলে শ্রমিক ছাঁটাই। যে দেশের শ্রম-আইন শ্রমিকদের সুরক্ষা দেয়ার বদলে মালিকদের বেশি নিরাপত্তা দেয়, সে দেশের প্রচলিত শ্রম-আইনে শ্রমিক সমস্যার সমাধান হবে না।
বুধবার গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন (সিলেট-৫৭)-এর উদ্যোগে ঈদ পুর্নমিলনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউনিয়ন সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও নাজিম উদ্দীন মোহাম্মদ কাওসারের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেনশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোহেল আহমদ, সিলেট জেলা উত্তরের সভাপতি নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জালালাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন, ফেডারেশনের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রধান উপদেষ্টা মাস্টার আবুল হোসেন, স্থলবন্দরের বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালিক, জৈন্তাপুর উপজেলা সভাপতি গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
আতিকুর রহমান বলেন, ‘একজন শ্রমিক হাড়ভাঙা পরিশ্রম করা সত্ত্বেও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের নামমাত্র মজুরি দেয়া হয়। সামান্য বেতন দিয়ে বাসা ভাড়া ও খাবার খরচ মেটাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। টাকার অভাবে শ্রমিকের সন্তানরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। শ্রমিকের সন্তানরা বছরে দুই ঈদের সময় বাবা-মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে একটি নতুন পোশাকের জন্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য প্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের খাতা কলমে হিসাব করে যে সামান্য উৎসব ভাতা ঘোষণা করা হয় সেই ন্যূনতম ভাতাটুকু দিতে মালিকপক্ষ মারাত্মক অনিহা প্রকাশ করে। অন্যদিকে দুই তৃতীয়াংশ শ্রমিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত। তাদের জন্য কোনো ধরনের উৎসব ভাতা বরাদ্দ থাকে না। ফলে এসব পরিবারে ঈদের আনন্দ আসে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইসলাম শ্রমিকদের জন্য একটি সর্বজনীন আদর্শিক শ্রমনীতি উপহার দিয়েছে। আল্লাহর রাসূল সা: বলেছেন, ”তুমি নিজের জন্য যা পছন্দ করো, তোমার অধীনস্ত শ্রমিকের জন্য তাই পছন্দ করো। তুমি যা খাও, শ্রমিকদের তাই খেতে দাও।” কিন্তু বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোথাও আজকে এই অনুকরণীয় শ্রমনীতি দেখা যায় না। তাই আমরা শ্রমিক ভাইদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আসুন কাঙ্ক্ষিত মুক্তির জন্য ইসলামী শ্রমনীতির পক্ষে নিজেদের সম্পৃক্ত করি। প্রচলিত শ্রমনীতির বদলে ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য এই আন্দোলনকে আরো বেশি গতি নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করি।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি