১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

৫৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারে শিবিরের প্রতিবাদ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির - ছবি : সংগৃহীত

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমান বলেন, আবারো পরিকল্পিতভাবে নিরপরাধ ছাত্রদের জীবন ধ্বংসের নির্মম খেলায় মেতে উঠেছে বর্তমান সরকারের পুলিশ বাহিনী। মঙ্গলবার নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় তারা এমন মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের অভিযোগ, কোনো কারণ ছাড়াই রাজশাহী জেলার নাচোল থানার স্বপ্নপল্লী পার্কে কর্মীদের মানোন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম থেকে বাসায় ফেরার পথে বাস থামিয়ে ২০২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। পরে ১৪৯ জনকে ছেড়ে দিলেও ৫৩ জনকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এরপর আদালত তাদের অন্যায়ভাবে জেলে পাঠায়। এ অন্যায় গ্রেফতারের পক্ষে কোনো যৌক্তিকতা ছিল না। গ্রেফতারের জন্য কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেনি পুলিশ। বরং লজ্জাজনকভাবে দায়িত্বহীনতাকে আড়াল করতে পুলিশ কর্মকর্তারা ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, নাশকতার পরিকল্পনার দায়ে’ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মুখস্ত বুলি আওড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে জাতি জানতে চায়, একটি পার্কে প্রকাশ্য দিবালোকে দু’শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠান গোপন বৈঠক হয় কিভাবে! শান্তিপূর্ণ দলীয় কর্মসূচি কোন আইনে পুলিশের কাছে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে? দেশের সংবিধান থেকে অনুষ্ঠান, সভা সমাবেশ করার অধিকার সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি তুলে দেয়া হয়েছে কি না! যদি তুলে দেয়া না হয়ে থাকে, তাহলে পুলিশ আইনের পবিত্র পোষাকে এমন বেআইনি কাজ করে যাচ্ছে কীসের ভিত্তিতে? নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার পুলিশের কোন দায়িত্বের মধ্যে পড়ে? মূলত, মেধাবী ছাত্রদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দেয়ার জন্য পুলিশ এ অনৈতিক ও দায়িত্বহীন আচরণ করেছে। পরিকল্পিতভাবে নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রদের প্রতি পুলিশের এ দায়িত্বহীন আচরণ কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। নিরপরাধ ছাত্রদের নিয়ে সরকার ও পুলিশের এ নির্মমতায় জাতি বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আইনের লেবাসে এসব দলীয় পুলিশের দায়িত্বহীন বাড়াবাড়ি জাতিকে চরমভাবে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। সরকারের অনৈতিক অনুকম্পা পেতে অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যরা বরাবরই এমন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের জন্ম দিচ্ছে। যা জনগণকে দারুণভাবে আশ্চর্যান্বিত করছে। পুলিশের এমন ধারাবাহিক প্রতিহিংসাপূর্ণ তামাশায় হাজারো মেধাবী ছাত্রের শিক্ষাজীবন আজ ধ্বংসের মুখে। জনগণ নিজেদের কষ্টের অর্থে পুলিশকে লালন করে, তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয়ার জন্য নয়। জনগণ আর এমন অমানবিকতা দেখতে প্রস্তুত নয়।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement