তাবলীগ জামাতের বিরুদ্ধে সৌদি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হেফাজত আমির ও মহাসচিবের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫:০১, আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:০৫
সৌদি আরবে তাবলীগ জামাতের বিরুদ্ধে জুমায় খুতবা দিতে ইমামদের প্রতি প্রজ্ঞাপন জারির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।
মঙ্গলবার প্রচারমাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় হেফাজত নেতৃদ্বয় বলেন, তাবলীগ জামাত বিশ্বব্যাপী একটি অরাজনৈতিক, নির্ভেজাল, দাওয়াতী জামাত। উনবিংশ শতাব্দীতে দারুল উলূম দেওবন্দের এক সুযোগ্য সন্তান শায়খ মাওলানা ইলিয়াস রহ.-এর হাতে এই জামাত প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বিশ্বব্যাপী পাঁচ উপমহাদেশে ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। এই জামাতের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র মানুষদেরকে দ্বীনের প্রতি দাওয়াত দেয়া, খালিস তাওহীদ প্রতিষ্ঠা ও সুন্নতের অনুসরণের প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। পথহারা মানুষকে পথের দিশা দেয়া। বর্তমানে এই জামাত বিশ্বজুড়ে একটি ঈমানী ও দাওয়াতী জামাতে রূপ লাভ করেছে। আল্লাহর মেহেরবানীতে এই জামাতের মাধ্যমে অগণিত পথহারা মানুষ সিরাতুল মুস্তাকিমের সন্ধান লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।
হেফাজত নেতাদ্বয় আরো বলেন, তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস রহ.সহ প্রায় সকল মুরুব্বী দ্বীনের দাঈ, তাওহীদের বার্তাবাহক ছিলেন। বেদাত-কুসংস্কার থেকে অনেক দূরে থাকতেন। তাদের অনেকে হাদীসগ্রন্থের বড় বড় ব্যাখ্যাকারও বটে।
হেফাজত আমির ও মহাসচিব আরো বলেন, বর্তমানে সৌদি সরকার এই জামাতের বিরুদ্ধে কবর পূজা, শিরক বা উগ্রবাদের যে অপবাদ দিচ্ছে তা আমাদের মতে জঘন্য মিথ্যা অপবাদ ছাড়া আর কিছু নয়। মূলত কবর পূজা, শিরক বেদাত ও উগ্রবাদের সাথে এদের কোনো দূর সম্পর্কও নেই। জামাতে তাবলীগ সম্পর্কে ভালোভাবে জানা না থাকার কারণে এমনটা হয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। যা হোক, সৌদি সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, তারা যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে এবং এমন কোনো সিদ্ধান্ত না নেয় যা তাদের ন্যায়বোধকে বিশ্বদরবারে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।