১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শ্রমিকের সন্তানদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব : আতিকুর রহমান

শ্রমিকের সন্তানদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব : আতিকুর রহমান - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করতে হলে সর্বপ্রথম দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করতে হবে। দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ শ্রমজীবী। তাই বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার পূর্বশত হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষদের সন্তানদের আধুনিক শিক্ষার বলয়ে নিয়ে আসতে হবে। রোববার তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত ১-১৫ ডিসেম্বর দেশব্যাপী “শ্রমিক সেবা পক্ষ-২০২১” উপলক্ষ্যে ফেডারেশনের কুমিল্লা মহানগরী কর্তৃক আয়োজিত শ্রমিকের সন্তানদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ শ্রমিকদের মাঝে নানাবিধ উপকরণ বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ফেডারেশনের কুমিল্লা মহানগরী সভাপতি কাজী নজির আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগরী সহ-সাধারণ সম্পাদক ও দর্জি ট্রেড ইউনিয়ন সভাপতি জিল্লুর রহমান, পরিবহন শ্রমিক নেতা মহিউদ্দিন আহমদ, শ্রমিক নেতা এস এম কলিম উল্লাহসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে শ্রমজীবী মানুষদের সন্তানরা আধুনিক ও উন্নত শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। তাই বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার পূর্বশত হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষদের সন্তানদের আধুনিক শিক্ষার বলয়ে নিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে শ্রমিকের সন্তানের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আমাদের দেশের শ্রমিকরা দিনরাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করার পরেও খুব সামান্য পারিশ্রমিক পেয়ে থাকে। যা দিয়ে বর্তমান বাজারে শ্রমিকদের নুন আন্তে পান্তা ফুরিয়ে যাওয়ার অবস্থা। শ্রমিকদের এ সামান্য বেতন দিয়ে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়ে। ফলে শ্রমিকরা খুবই নিম্নমানের জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়। তারা শহরের ঝুঁপড়ি ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করে। দ্রব্যমূল্যের যা দাম তাতে তাদেরকে কোনো মতে বেঁচে থাকতে হয়। শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যয়বহুল হওয়ার দরুণ সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারে না।

তিনি বলেন, একটি নগর রাষ্ট্রের অবকাঠামোর উন্নয়ন হলেই রাষ্ট্র উন্নত হয়ে যায় না। দেশের দুই-তৃতীয়াংশ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি এ যুগে এসেও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থেকে যায় তাহলে বলতে হয় রাষ্ট্রের কোনো উন্নতি হয়নি। তাই বাংলাদেশকে সত্যিকারের উন্নত রাষ্ট্র করতে হলে শ্রমজীবী মানুষদের সন্তানদের উন্নত ও আধুনিক শিক্ষার বলয়ে নিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে সরকার শ্রমিকের শিক্ষার জন্য ভর্তুকি দিবে। সরকার যদি এ ব্যবস্থা করতে না পারে তাহলে শ্রমিকের দাবি অনুসারে তাদের প্রাপ্য বেতন ভাতা বুঝিয়ে দিতে হবে।

আতিকুর রহমান বলেন, দেশের শ্রমজীবী মানুষদের রক্ত ঘামের বদৌলতে একশ্রেণীর মানুষ দিনের পর দিন সম্পদশালী হয়ে যাচ্ছে। আর শ্রমিকরা হচ্ছে নিঃস্ব। এ অবস্থার পরিত্রাণ ঘটাতে হলে ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কেননা ইসলাম শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে সম্পদ হতে শুরু করে মুনাফার যৌক্তিক সমাধান নিশ্চিত করেছে। তাই যত দিন না পর্যন্ত আমরা ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করতে পারব তত দিন পর্যন্ত শ্রমিকরা সর্বক্ষেত্রে অবহেলিত থেকে যাবে। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। আর দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সাধিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ অনুন্নত থেকে যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ঢাকায় স্ত্রীকে নিয়ে রিকশা চালালেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করা হবে : সেলিম ভূঁইয়া ট্রাম্পের অধীনে আমেরিকা : যেভাবে দেখছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চারা জীবন দেয় আর মুরব্বিরা পদ ভাগাভাগি করেন : হাসনাত গাজা উপত্যকায় বাধাহীনভাবে ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ দিন ইসরাইলি হেফাজতে ২ ফিলিস্তিনি বন্দীর মৃত্যু যে কারণে অপহরণ করা হয় আজিমপুরের সেই শিশুকে সিংড়ায় খালের দেড় যুগের ময়লা অপসারণ ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় ২১ নভেম্বর যান চলাচল সীমিত থাকবে ইরানের গোপন পারমাণবিক গবেষণাকেন্দ্রে ইসরাইলের হামলা দুই শিশুপুত্রকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা

সকল