১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

তামাকমুক্ত দেশ গড়তে যে পরামর্শ দিলেন সাংবাদিকরা

তামাকমুক্ত দেশ গড়তে যে পরামর্শ দিলেন সাংবাদিকরা - প্রতীকী ছবি

প্রতিবছর বাংলাদেশে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যাচ্ছে। পঙ্গুত্ব বরণ করছে আরো কয়েক লাখ মানুষ। এখনো দেশের ৩৫ ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার করেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ও তামাকমুক্ত সুস্থ জীবনের জন্য একটি শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দরকার বলে মনে করছেন সাংবাদিকরা। তারা বলেন, কঠোর আইনই পারে এই তামাক মহামারীর কবল থেকে জনস্বাস্থ্যকে সুরক্ষা প্রদান করতে। বছরে ধূমপানের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ চার হাজার ১০০ কোটি টাকা।

রাজধানীর তোপখানা সড়কের বিএমএ ভবনের শহীদ ডাক্তার শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে শনিবার ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহায়তায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের (আত্মা) উদ্যোগে আয়োজিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শীর্ষক এক কর্মশালায় সাংবাদিকরা এই অভিমত প্রকাশ করেন।

কর্মশালায় প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের সবশেষ অবস্থা তুলে ধরেন সিটিএফকে, বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মো: মোস্তাফিজুর রহমান। বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার তামাক নিয়ন্ত্রণ-বিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার।

গণমাধ্যমের করণীয় অংশে আলোচক হিসেবে অংশ নেন এনটিভির হেড অব নিউজ জহিরুল আলম, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মার কনভেনর লিটন হায়দার, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ, সিটিএফকে বাংলাদেশ টিমের গ্রান্টস ম্যানেজার এম এ সালাম ও প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে যেসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয় সেগুলো হচ্ছে, ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ বিলুপ্তসহ সকল পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কো¤পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস (এইচটিপি)সহ সকল ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধিসহ তামাকপণ্য মোড়কজাতকরণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা।

মূল উপস্থাপনায় বলা হয়, প্যারাগুয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে জনসাধারণকে রক্ষার্থে সকল আচ্ছাদিত পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান শতভাগ নিষিদ্ধ করেছে। প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি’র সাথে সামঞ্জস্য রেখে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও এ বিষয়ে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে অধিকতর শক্তিশালী করা না গেলে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে। সরকার দ্রæততম সময়ের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করবে বলে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আইন নিয়ে আলোচনায় বলা হয়, পরোক্ষ ধুমপানের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ মোট তামাক ব্যবহার জনিত অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রায় ১০ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের গবেষণার তথ্যানুযায়ী ধুমপানের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ চার হাজার ১০০ কোটি টাকা।


আরো সংবাদ



premium cement
দুই বছরের মধ্যে প্রথম ফোনালাপ করলেন পুতিন ও জার্মান চ্যান্সেলর পাকিস্তান-বাংলাদেশ জাহাজ চলাচল উপমহাদেশের ইতিহাসে টার্নিং পয়েন্ট! ‘দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্র করতে জনগণের নেতা হতে হবে’ হাসিনার স্বৈরতন্ত্রকে সহজতর করেছে বিচার বিভাগ : ড. ইফতেখারুজ্জামান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে লাশ উদ্ধার সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা জনগণ মেনে নেবে না : তারেক রহমান পোপ ফ্রান্সিস-ড. ইউনূসের নামে যৌথ উদ্যোগ চালু করল ভ্যাটিকান আদর্শ জাতি গঠনে শিক্ষক সমাজকে অবদান রাখতে হবে : মুহাম্মদ শাহজাহান আদালতে মুখ খোলেননি মুনতাহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি মার্জিয়া দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই দেশের জন্য কল্যাণকর : মির্জা ফখরুল শহীদ জিয়া কমপ্লেক্স নির্মাণসহ ১৯ দফা দাবি ইবি ছাত্রদলের

সকল