কাশ্মির সংকট পুরো পৃথিবীর জন্য হুমকিস্বরূপ : ডা: জাফরুল্লাহ
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৫ আগস্ট ২০২১, ১৮:৫৩
কাশ্মির সংকট দক্ষিণ এশিয়া তথা পুরো পৃথিবীর জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, কাশ্মিরিদের যে বিশেষ স্বায়ত্তশাসন (আর্টিকেল ৩৭০) তা রদ করে ভারত এই অঞ্চলকে আরো অস্থিতিশীল করে তুলেছে। ভারত সরকারকে সাম্প্রদায়িকতা ছেড়ে কাশ্মিরের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার ‘কাশ্মির সংকট এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সাউথ এশিয়া ইয়ুথ ফর পিস অ্যান্ড প্রোসপারিটি সোসাইটির উদ্যোগে এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষীকিতে কাশ্মিরি জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে সমর্থন তা মনে করিয়ে দিয়ে ডা: জাফরুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের উচিৎ কাশ্মিরিদের পাশে দাঁড়ানো। জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে গণভোট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় কাশ্মির সংকটের সমাধান করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ভারতকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গণতন্ত্র চর্চার আহ্বান জানান। তিনি কাশ্মিরিদের ন্যায্য অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, আর্টিকেল ৩৭০ পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ভারতকে কাশ্মিরি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী জনগোষ্ঠীর পাশে দেশের সরকার এবং রাজনৈতিক দলসমূহকে সহায়তা করার আহ্বানও জানান তিনি। জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে গণভোট আয়োজনের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরিদের মতামত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিৎ বলে মনে করেন দুদু।
এছাড়াও ভারত কর্তৃক আর্টিকেল ৩৭০-এর প্রত্যাহার কাশ্মিরসহ দক্ষিণ এশিয়ায় একটি অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করেছে বলে ওয়েবিনারে অংশ নেয়া বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। বক্তারা বলেন- কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি এই জনপদকে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং চীন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে আরো অংশ নিয়েছেন- বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম (মিসর এবং জাপানে দায়িত্ব পালনকারী), সাবেক বাংলাদেশী কূটনীতিক সাকিব আলী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক কর্ণেল (অব.) আশরাফ আল দ্বীন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাইফুদ্দীন আহমেদ। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন আয়োজক সংস্থার চেয়ারম্যান ড. সাজ্জাদুল হক।