সম্পাদকদের বিরোধ গণমাধ্যমের জন্য অশনিসংকেত : শওকত মাহমুদ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৯ জুলাই ২০২১, ২০:৫০
জাতীয় প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেছেন, সম্পাদকদের মধ্যে বিরোধ গণমাধ্যমের ভেতরে পচনের লক্ষণ। এটা গোটা সাংবাদমাধ্যমের জন্য অশনিসংকেত।
তিনি আরো বলেন, এখন সত্যমুখী সাংবাদিকতা নেই, আছে সূর্যমুখী সাংবাদিকতা। সূর্যমুখী ফুল যেমন সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে, তেমনি সাংবাদিকরা এখন সরকারের মন-মর্জির দিকে তাকিয়ে থাকেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজে-ডিইউজে কার্যালয়ে শওকত মাহমুদের ৬৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিএফইউজে’র মহাসচিব নুরুল আমিন রোকনের সঞ্চালনায় এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানী, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রফিকুর রহমান ও এ কে এম মহসিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দিন নুরু, বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব শফিউল আলম দোলন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান নির্বাহী সদস্য কাজী রওনাক হোসেন, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, বিএফইউজের প্রচার সম্পাদক মাহমুদ হাসান, ডিআরইউর সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঈন উদ্দিন খান, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হাসান সোহেল, বিএফইউজে'র নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, দফতর সম্পাদক ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর প্রমুখ।
শওকত মাহমুদ জাতীয় প্রেসক্লাবের চার বারের সাধারণ সম্পাদক ও দুই বারের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সাবেক মহাসচিব ও সভাপতি ছিলেন। তিনি ইকোনোমিক টাইমসের সম্পাদক। বর্তমানে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, শওকত মাহমুদ সাংবাদিক সমাজের অহংকার। একইসাথে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা ও বলার অনন্য প্রতিভা রয়েছে তার। প্রেসক্লাবে ১২ বছর এবং বিএফইউজেতে ৯ বছর শীর্ষ পদে নেতৃত্ব দিয়েও নিজের জন্য কিছু করেননি। ঢাকা শহরে তার এক ইঞ্চি জায়গা বা একটি ফ্ল্যাটও নেই। সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করাই তার জীবনের ব্রত।
ইলিয়াস খান বলেন, শওকত মাহমুদ সাংবাদিক সমাজের জন্য যে অবদান রেখেছেন তার কাছাকাছিও অন্য কেউ রাখেননি। বহু সাংবাদিককে তিনি চাকরি দিয়েছেন। বিপদে আপদে সহায়তা করেছেন।
এসময় বক্তারা শওকত মাহমুদের দীর্ঘায়ু কামনা করেন।