সাংবাদিক নেতা ও কবি অরুণ আর নেই
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ জুলাই ২০২১, ২০:১৫
বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহসভাপতি ও কবি অরুণ দাশগুপ্ত আর নেই। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে অরুণ দাশগুপ্ত (৮৯) পরলোকগমন করেন।
দৈনিক আজাদীর মরহুম সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের হাত ধরে ১৯৭৩ সালে দৈনিক আজাদীতে যোগ দেন অরুণ দাশগুপ্ত। তিনি পত্রিকাটির সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ও সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। পত্রিকাটির সাহিত্য পাতা প্রকাশিত হয়েছে তার নিবিড় তত্ত্বাবধানে।
১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি ধলঘাট গ্রামে জমিদার বাড়িতে জন্ম তার। যশোদা নন্দন ওয়াদ্দেদারের (দাশগুপ্ত) নাতি অরুণ দাশগুপ্ত। তার বাবা ছিলেন অবিনাশ ওয়াদ্দেদার।
কবিতা, চিত্রকলা, ছোটগল্প ও সংগীতে অরুণ দাশগুপ্তের ছিল অবাধ বিচরণ। পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। অরুণ দাশগুপ্ত রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থাবলী ‘রবীন্দ্রনাথের ছয় ঋতুর গান ও অন্যান্য’, ‘নবীনচন্দ্র সেন’, ‘কবিতা চিন্তা ও অন্যান্য প্রবন্ধ’, কবিতার বই ‘খাণ্ডবদাহন’।
ধলঘাট স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় কলকাতায়। সেখানে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করেন তিনি। দেশমাতৃকার টানে ফিরে আসেন চট্টগ্রামে। ততদিনে জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পথে। হাতছাড়া হয়ে গেছে বিপুল সম্পদ। এ সময় মিরসরাইয়ের এক গ্রামে প্রতিষ্ঠিত উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি
নিলেন শিক্ষকতার চাকরি। এরপর ফটিকছড়ির নারায়ণহাট স্কুলে। অবশেষে সব ছেড়ে এসেছিলেন সাংবাদিকতায়।
বিএফইউজের শোক
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ। শনিবার এক বিবৃতিতে তারা এ শোক প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বিএফইউজের নেতৃদ্বয় তার আত্মার শান্তি কামনা করেন। তারা বলেন, সদ্য পরলোকগত সাংবাদিক নেতা অরুণ দাশগুপ্ত সাংবাদিকতা ও সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি সাংবাদিকদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেয়ার মধ্য দিয়ে জীবনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেছেন। তার এই অবদান সাংবাদিক সমাজ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
বিজ্ঞপ্তি