১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পানিতে ডুবে ১৮ মাসে ১ হাজার ৪০২ মৃত্যু, ৮৩ ভাগই শিশু

- ছবি : নয়া দিগন্ত

২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৮৭৫টি ঘটনায় সারাদেশে এক হাজার ১৬৪টি শিশুসহ মোট এক হাজার ৪০২জন পানিতে ডুবে মারা গেছে। মৃতদের ৮৩ ভাগই শিশু।

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যম ও স্থানীয় পর্যায়ের অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত ঘটনা থেকে পানিতে ডুবে মৃত্যুর এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

এই সময়ে পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটনা ঘটে ঢাকা বিভাগে ৩২২জন। সবচেয়ে কম মৃত্যু ছিল সিলেট বিভাগে ৬৮জন।

নেত্রকোনা জেলায় গত ১৮ মাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায় ৬৬জন। তবে বান্দরবান, শরীয়তপুর ও নড়াইল এ তিনটি জেলায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চার বছর বা কম বয়সী ৫১৪জন, পাঁচ থেকে ৯ বছর বয়সী ৪৪৮জন, ৯ থেকে ১৪ বছরের ১৫৭জন এবং ১৫ থেকে ১৮ বছরের ৪৫জন। ২৩৮জনের বয়স ১৮ বছরের বেশি।

একাধিক স্বজন হারিয়েছে ৯৭টি পরিবার। এ সময়ে ৯৭টি পরিবারের ২৩৮জন সদস্য পানিতে ডুবে মারা যায়।

পানিতে ডুবে নিহতদের মধ্যে ৫০৬জন নারী। এদের মধ্যে মেয়ে শিশু ৪৫০জন। পুরুষ মারা যায় ৮৯০জন, যাদের মধ্যে ৭০৮জন শিশু।

গত ১৮ মাসে ২০২০ সালের জুন থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫৭৭জন মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে আগস্ট মাসে ১৭১জন।

গবেষণায় বলা হয় পরিবারের সদস্যদের যথাযথ নজরাদারি না থাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পানিতে ডোবার ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ শিশু বড়দের অগোচরে বাড়ি সংলগ্ন পুকুর বা অন্য জলাশয়ে চলে যায় এবং দুর্ঘটনার শিকার হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালের বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর ৪৩ শতাংশের কারণ পানিতে ডুবে মারা যাওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) ২০১৭ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডি শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ২০১৭ সালে ১৪ হাজার ২৯ জন মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। এ রিপোর্ট অনুযায়ী পানিতে ডুবে মৃত্যুর দিক থেকে কমনওয়েলথ দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।


আরো সংবাদ



premium cement