স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিক হেনস্তার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি ডিইউজের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ মে ২০২১, ১৬:২৭
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ডিইউজে নেতারা বলেন, সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে তার ওপর যেভাবে মানসিক ও শারীরিকভাবে হেনেস্তা করা হয়েছে ও পরে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা দায়েরের ঘটনা নজীরবিহীন।
তারা বলেন, রোজিনা ইসলামের সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালেয়র দুষ্টু কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের আশোভন আচরণের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত প্রয়োজন। প্রশাসনের এখতিয়ার বহির্ভুত এই তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায় হিসেবে জড়িত গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতৃবৃন্দ মনে করেন, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট হচ্ছে অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ কালাকানুন। এই আইনের অপপ্রয়োগে অনেক সময় সরকার ও জনসাধোরণের তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বেশ কিছু ধারা রয়েছে, যা পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধার সৃষ্টি ও মনস্ততাত্বিক চাপে ফেলে দেয় সাংবাদিকদের।
এসব ধারার ব্যাপারে ইতোপূর্বে সাংবাদিক সমাজ রাষ্ট্র ও সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে তাদের মতামত ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। কিন্তু এর সুফল মেলেনি উল্লেখ করে ডিইউজের নেতারা গণতন্ত্র ও জনগণের তথ্য প্রাপ্তির স্বার্থে স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক সকল কালাকানুন অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানান।
বিবৃতিতে ডিইউজে নেতারা আরো বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তির পদক্ষেপ না নিলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন বাধ্য হবে আরো বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সের নীতির স্মরণ করিয়ে দিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের প্রহরী। তারা কারো প্রতিপক্ষ নয়। তাদেরকে বন্ধু ভাবুন। অনবরত শত্রু ভাবতে ভাবতে দূরে সরিয়ে দেবেন না। তাতে লুটেরাদেরই সুবিধা হয় বেশি। সরকারের অকাশচুম্বি নানা অর্জন ম্লান হয়ে যায়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন বৃহস্পতিবার
একইসাথে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আগামী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করছে। কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।