ঈদের আগে দূরপাল্লার গণপরিবহন চালুর দাবি সাবেক নৌমন্ত্রীর
- ০৮ মে ২০২১, ১২:২৮, আপডেট: ০৮ মে ২০২১, ১২:৪২
স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছেন সাবেক নৌমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান এমপি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য শাজাহান খান শনিবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেছেন, গত ৬ মে থেকে লকডাউন শিথিল রেখে মহানগর ও জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন পরিচালনার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। কিন্তু দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের একই নীতিনির্ধাক বলেন, বর্তমানে বাস-মিনিবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গাদাগাদি করে মানুষ যাতায়াত করছে। এতে করোনা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার গণ ও পণ্যবাহী পরিবহন চালু করে দিতে হবে।
এ সময় সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পক্ষে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
দাবিগুলো হচ্ছে-
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার পরিবহনসহ সব ধরনের গণপরিবহন ও স্বাভাবিক মালামাল নিয়ে পণ্য পরিবহন চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। ২. লকডাউনে কর্মহীন সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আসন্ন ঈদের আগে আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা দিতে হবে।
৩. লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মালিকদের যানবাহন মেরামত, কর্মচারী ও শ্রমিকের বেতন, ভাতা ও ঈদ বোনাস ইত্যাদি দেয়ার জন্য নামমাত্র সুদ ও সহজ শর্তে পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিতে হবে।
৪. সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য আসন্ন ঈদের আগে ও পরে ১০ টাকায় ওএমএস-এর চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. কোভিড-১৯-এর কারণে গণপরিবহন ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগের বিপরীতে সব ব্যাংক ঋণ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ মওকুফসহ কিস্তি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করতে হবে। একইসাথে দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে ক্লাসিফাইড ঋণ আনক্লাসিফাইড করতে হবে।
এ ছাড়াও লকডাউনে বন্ধ থাকার সময় গাড়ির ট্যাক্স-টোকেন, রুট পারমিট ফি, আয়কর, ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের ফি, কর ও জরিমানা মওকুফ করে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত কাগজপত্র হালনাগাদ করার সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সরকারি দলের প্রভাবশালী এমপি শাজাহান খান।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও বাস-ট্রাক মালিক সমিতির নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গাঁসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।