১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বেগম রোকেয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নারী সমাজকে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করতে হবে

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন - ছবি সংগৃহীত

নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জীবন দর্শন, শিক্ষা ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নারী সমাজকে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের যথাযথভাবে প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়েছেন নারী অধিকার আন্দোলনের সভানেত্রী প্রফেসর চেমন আরা ও সেক্রেটারি প্রফেসর ডা. হাবিবা আখতার চৌধুরী সুইট। বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে নারী অধিকার আন্দোলনের নেতৃদ্বয় এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন এ দেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত। তিনি তার নিজ জীবনের বাস্তবতার মধ্যেই অনুধাবন করেছিলেন তদানীন্ত সমাজে নারীর পশ্চাদপদ অবস্থান। উপলব্ধি করেছিলেন শিক্ষাই হতে পারে নারীর আত্মমর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রধান অবলম্বন। তার জীবন-কর্ম ও সংগ্রামের লক্ষ্যই ছিল নারী শিক্ষার বিস্তারের মধ্য দিয়ে নারীমুক্তি। তার এই পথচলা মোটেই সহজ ছিল না বরং অনেক বন্ধুর পথ অতিক্রম করেই তাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। এই কিংবদন্তীতুল্য নারী তার ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে কুঠারাঘাত করেছিলেন। পরিবার, সমাজ ও অর্থনীতি জীবনের এই তিন প্রধান অনুষঙ্গে নারীকে আত্মমর্যাদাশীল হতে তিনি নারী সমাজকে গভীরভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তারা বেগম রোকেয়ার কর্মময় জীবন ও আদর্শে নারী সমাজকে আরো উদ্যমী ও অনুপ্রাণীত হওয়ার আহ্বান জানান।

তারা বলেন, বেগম রোকেয়া নারী সমাজে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে যে ভূমিকা পালন করেছেন তা ইতিহাসে চিরদিনই স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তার দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতায় উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, নারীর ভাগ্যোন্নয়নে শিক্ষা ও স্বাবলম্বী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। মূলত বেগম রোকেয়ার জীবন ও তার আদর্শ বাস্তায়নেই এ দেশের নারী সমাজকে আলোকিত ও আত্মনির্ভরশীল করে তোলা সম্ভব। নেতৃদ্বয় বেগম রোকেয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নারী সমাজকে নিজেদের নায্য অধিকার আদায় এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

নেতৃদ্বয় বলেন, মহলবিশেষ বেগম রোকেয়াকে নিয়ে নানাবিধ অপপ্রচারে লিপ্ত। তাদের ভাষায়, নারী জাগরণের এই মহান অগ্রদূত নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় তথা ইসলামী বিধি-বিধানের গন্ডিকে অতিক্রম করেছিলেন। কিন্তু এটি নিছক একটি অপপ্রচার ছাড়া কিছু নয় বরং তিনি ইসলামী বিধিবিধানের আওতার মধ্যে থেকেই তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে নারী শিক্ষার সম্প্রসারণে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। আর তা তার বিভিন্ন লেখনী ও জীবনাচারণ থেকে খুবই সুস্পষ্ট। তাই কোনো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে বেগম রোকেয়ার কর্মময় জীবন ও আদর্শ অনুসরণ করে নারী সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement