সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তরা সোসাইটির বিক্ষোভ মিছিল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০১ অক্টোবর ২০২০, ২০:২৭, আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২০, ২০:৩৬
সিলেটের এমসি কলেজ ও খাগড়াছড়িসহ সারা দেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তরা সোসাইটি ঢাকার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মিছিলোত্তর সমাবেশে সোসাইটির সভাপতি তারেক মাহমুদ বলেন, আমাদের সন্তানদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিদ্যালয়ে পাঠাতে আমরা শঙ্কিত। এমন একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যা বসবাসের জন্য উপযুক্ত নয়। যেভাবে একের পর এক নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে তা আমাদেরকে আতঙ্কিত করে তুলছে। এ রকম পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ না ঘটলে এই দেশ বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, ‘বিগত দিনের সকল ঘটনাগুলোর যদি যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত হতো, বিচার নিশ্চিত হতো, তাহলে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর ঘটতো না।’
বিক্ষোভ মিছিলে আরো বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার আশিকুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান, অধ্যক্ষ আমির খসরু, অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, প্রফেসর শওকত হোসেন, মাওলানা আলমগীর হোসাইন, শাহ আলম, জুবায়ের মাহমুদসহ সমাজ এবং সোসাইটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক মাহমুদ আরো বলেন, ‘সম্মানীত উপস্থিতি, আপনারা জানেন গত কয়েকদিন আগে সিলেট ও খাগড়াছড়িতে কী হয়েছে। বিশেষ করে সিলেট এমসি কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ছাত্রলীগ ধর্ষণের যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তা সভ্যতার ইতিহাসে অত্যন্ত বিপদজনক ঘটনা।
একজন নারীর ইজ্জত কেড়ে নেয়ার জন্য হিংস্র জানোয়ারের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে ৮/৯ জন পশু। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য। এছাড়া মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা প্রতিদিনই দেশের নানান জায়গায় ধর্ষণকাণ্ডের কথা জানতে পারি। এই সকল ঘটনা প্রতীয়মান হয় যে, দেশের নারীরা এখন আর নিরাপদ নয়।
যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, শিক্ষামন্ত্রীসহ নানা জায়গায় নারীর কার্যক্রম চলমান, সেখানে এ ধরনের ঘটনাগুলো অনিশ্চয়তার জন্ম দেয়। বর্তমান এ সকল কর্মকাণ্ডে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমরা অনতিবিলম্বে এর সুরাহা চাই। এবং নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসন যেন আরো শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে।’
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ঘটে যাওয়া ধর্ষণগুলোর সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার কাজ শেষ করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করলে তা সমাজে প্রভাব পড়বে বলে আমরা মনে করি। তাই ধর্ষণ মামলার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি ।