১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বারবার ক্ষমতাসীনদের ধোকার শিকার হচ্ছে জনগণ : পঙ্কজ ভট্টাচার্য

- নয়া দিগন্ত

বস্তি কেন পুড়ে তা খতিয়ে দেখতে ও নিম্ন আয়ের মানুষদের আবাসনের জন্য জাতীয় বস্তি কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, জনগণ বারবার ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে ধোকা খায়। প্রেসক্লাবের ভিআইডি লাউঞ্জে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার পবা চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বস্তিবাসীদের জন্য হাইকোর্টের রুল জারি করা থাকলেও প্রতিবছর বস্তিতে আগুন লাগে আর বস্তি উচ্ছেদ হয়। কেন বস্তি পুড়ে তা খতিয়ে দেখা জরুরি। একটি পৃথক কমিশন গঠন করে সকল অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুধাবন করে বস্তিবাসীদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ আবাসন কর্তৃপক্ষ তৈরি করে বস্তিবাসীদের ন্যায্য আবাসন অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বস্তিতে আগুন লাগে না লাগিয়ে দেয়া হয় তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং বস্তি নিয়ে রাষ্ট্রের বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। মনে রাখতে হবে বস্তিবাসীরা মানুষ আর তাদের অবদানের উপর এই রাষ্ট্র ও দেশ টিকে আছে।

সংলাপে বক্তারা আরো বলেন, বস্তিবাসী আজ সমাজে গালি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু ঢাকা শহরের নিম্ন আয়ের এই মানুষরা যদি একদিন কাজ না করেন তবে শহর অচল হয়ে যাবে। অথচ কি অদ্ভুত ভাবে নিয়মিত বিরতিতে আমাদের এই বস্তিগুলোকে পুড়তে দেখতে হয়। বক্তাবরা সকল অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান।

সংলাপে বস্তিবাসী নেতারা বলেন, আমরা ভিক্ষা চাই না। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বস্তিবাসীদের জন্য যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার বাস্তবায়ন করা হোক। আর এই বস্তিবাসী ও নিম্ন আয়ের মানুষরাই যেনো আবাসন অধিকার পায়।

সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন- ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেবাশীষ কুমার কুন্ডু, পবার সাধারণ সম্পাদক প্রৌকশলী আব্দুস সোবহান, গবেষক ও লেখক পাভেল পার্থ, আওয়ামী বাস্তুহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ হালদার, বস্তিবাসী নেতা কুলসুম বেগম, রাফেজা বেগম ও নুরজাহান বেগম প্রমূখ।

সংলপ থেকে মিরপুর ঝিলপাড়ের চলন্তিকা বস্তিতে ভয়াবহ অগিকাণ্ডে আনুমানিক ৫০০০ পরিবারের ক্ষতির পরিমাণ ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়ার পাশাপাশি উক্ত স্থানে তাদের দ্রুত পূনর্বাসনের ব্যবস্থার দাবি জানান হয়।


আরো সংবাদ



premium cement