১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শিবিরের সাবেক সভাপতি ড. রেজাউল করিমকে রিমান্ডে নেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

- ফাইল ছবি

অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের পর বেআইনিভাবে তিনদিন গুম রেখে আদালতে হাজিরের পর গায়েবী মামলায় সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. রেজাউল করিমকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, বেআইনি কর্মকান্ড ও জুলুম নির্যাতনের সকল স্তর অতিক্রম করেছে পুলিশ। গত ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী বিভিন্ন প্রোগ্রাম শেষ করে ঢাকা মেট্রো গ-২৬-৬৯১৯ গাড়ী যোগে তিনি বাসায় ফেরার পথে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করে পুলিশ তাকে ৩ দিন গুম করে রাখে।

এসময় তার সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। পুলিশের এই আচরণ সম্পূর্ণ বেআইনি অমানবিক ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কিন্তু আরো অমানবিক বিষয় হলো তাকে আদালতে হাজির করে তাকে গায়েবী মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে রামপুরা থানা পুলিশ।

একজন রাজনৈতিক নেতার উপর এমন অমানবিক আচরণের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। মূলত আসন্ন নির্বাচন কেন্দ্রীক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারণে সরকারের নির্দেশে ড. রেজাউল করিমকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতেই তার উপর জুলুম করা হচ্ছে। আইনের পবিত্র পোষাক পড়ে ধারাবাহিক ভাবে পুলিশ এই বেআইনি কাজ করে যাচ্ছে। যা সম্পুর্ণ রুপে মানবাধিকার লঙ্ঘন। পুলিশের এই দায়িত্বহীন অপকর্ম অবৈধ সরকারের নির্দেশেই হচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। পুলিশ কর্তৃক একের পর এক অমানবিক আচরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন তাদের প্রতি আস্থা যেমন নষ্ট করেছে তেমনি অপরাধিদের উৎসাহিত করছে। যা সারাদেশে প্রতিদিনই দেখতে পাচ্ছে জনগণ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পুলিশ তাদের পেশা ও পোশাকের প্রতি নূন্যতম দায়িত্ববোধ দেখাতেও ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপরাধ ছাত্রজনতাকে বার বার গ্রেফতার ও তাদের নিয়ে নাটক সাজানো এবং ইচ্ছামত মামলায় জড়িয়ে দেয়ার এই বেআইনি কর্ম পুলিশ তাদের রুটিনে পরিণত করেছে। পুলিশ অনেকাংশে দলীয় কর্মীর চাইতেও নিকৃষ্ট আচরণ করছে। যা একটি সভ্য সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার বিষয়। আমরা অবিলম্বে নিরপরাধ সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. রেজাউল করিমের রিমান্ড বাতিল করে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে ভবিষ্যতে এমন আইনের শাসনের পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement