নকল সাইট তৈরির অভিযোগে আটককৃতদের সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে বক্তব্যের তীব্র নিন্দা
- বিজ্ঞপ্তি
- ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ২১:৪৬
নকল ওয়েবসাইট তৈরির অভিযোগে আটক দুই জনের সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে র্যাবের বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, আবারো সাজানো বক্তব্য দিয়ে দায়িত্বহীনতার নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করলো র্যাব। নকল ওয়েবসাইট তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত দুইজনের সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তা। যা নিকৃষ্ট মিথ্যাচার। এদের দুজনের সাথে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই।
র্যাব কর্মকর্তা তাদেরকে ছাত্রশিবিরের সাথে সংশ্লিষ্ট উল্লেখ করলেও তারা ছাত্রশিবিরের কোন শাখা বা ইউনিটের জনশক্তি অথবা পদবী উল্লেখ করতে পারেননি। এতে প্রমাণ হয় র্যাব কর্মকর্তা উদোর পিন্ডি ভোদর ঘাড়ে চাপানোর জন্য দায়সাড়া বক্তব্য দিয়ে আসল অপরাধীদের আড়াল করার অপচেষ্টা করছেন।
তাদের কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যেসব বানোয়াট বক্তব্য দেয়া হয়েছে তার সাথে সত্যতার লেশমাত্র নেই। জনগণের প্রতি ওয়াদা ও পোষাকের প্রতি নূন্যতম দায়িত্ববোধ থাকলে র্যাব কর্মকর্তা এই জলজ্যান্ত মিথ্যচার করতে পারতোনা।
মূলত আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার নানা ষড়যন্ত্রের অংশ আজকের এই মিথ্যাচার। চলমান নকল ওয়েবসাইট গুলোতে মূলত ইসলাম, ঐক্যফ্রন্ট ও বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করা হচ্ছে এবং সরকারের পক্ষে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতরা জামায়াত শিবিরের কেউ হলে তারা ইসলাম ও বিরোধী দলের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাবে এটা কোন ভাবেই বিশ্বাস যোগ্য নয়।
মূলত তথ্য প্রযুক্তি আইন করা হয়েছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর রাজনৈতিক নিপীড়ণের জন্য তার প্রতিফলন নানা ভাবে দেখছে জনগণ। ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে এই নিকৃষ্ট মিথ্যাচার জনগণ বিশ্বাস করবে না উল্টো র্যাবের প্রতি জনগণের নূন্যতম আস্থার জায়গাটিও ধ্বংস করবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের নির্দেশে যেখানে সেখানে শিবিরকে জড়িয়ে দোষারোপের এক অপসংস্কৃতি লালন করে চলেছে র্যাব-পুলিশ। আমরা মনে করি, প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে পুলিশ শিবিরের উপর চাপিয়ে দায়মুক্তির চেষ্টা করছে। আমরা অবিলম্বে র্যাব কর্মকর্তার এই সাজানো বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।