ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির বাড়ীতে পুলিশি অভিযানের নিন্দা ও প্রতিবাদ
- বিজ্ঞপ্তি
- ২১ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৪৬
কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাতের গ্রামের বাড়ী নাঙ্গলকোটে পুলিশি অভিযান ও পরিবারের সদস্যদের হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের অগণতান্ত্রিক ও দায়িত্বহীন আচরণ দেশের মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্বহীনতা ও মামলা হামলা নির্যাতন আর হয়রানির লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাতের গ্রামের বাড়ী লাঙ্গলকোটে অভিযান চালায় নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। পুরুষশূন্য বাড়ীতে গিয়ে পুলিশ পর্দানশীন মহিলাদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানী করে। পরে স্থানীয় বাজারে তার চিকিৎসক বাবার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নানা হুমকি ধামকি প্রদান করে। এসময় নানাভাবে কেন্দ্রীয় সভাপতির বাবার কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালায়। দেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতির গ্রামের বাড়ীতে বেআইনি অভিযান ও অসদাচরন ছাত্রজনতাকে ক্ষুব্ধ করেছে। ক্ষুদ্ধ করেছে এলাকাবাসীকেও। পুলিশের পবিত্র পোষাকে গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে পর্দানশীন মহিলাদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানী, অর্থ আদায়ে হুমকি ধামকি প্রদান কোনভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়। একদিকে সরকারের নির্দেশে একের পর এক মিথ্যা কাল্পনিক গায়েবী মামলায় জড়ানো অন্যদিকে বৃদ্ধ বাবা মাসহ পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করা অবৈধ সরকারের চরম বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছু নয়। এর আগেও কয়েকবার কেন্দ্রীয় সভাপতির বাড়ীতে হানা দিয়ে ভাংচুর করেছে পুলিশ। পবিত্র ঈদের দিনও বাড়ীতে পুলিশ পাহারা বসিয়ে তার পরিবারকে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেছে। আওয়ামী পুলিশের অত্যাচারে তিনি পরিবারের সান্নিধ্য ও ভালবাসা থেকে বঞ্চিত। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি লক্ষ লক্ষ ছাত্রের প্রিয় সংগঠন ও দেশবাসীর প্রত্যাশার প্রতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নিরপরাধ পরিবারকে হয়রানী ছাত্র সমাজের জন্য অবমাননাকর ও চরম দৃষ্টতা।
শিবির সেক্রেটারী বলেন, অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকারের আজ্ঞা পালন করতে গিয়ে পুলিশ নূন্যতম বিবেকবোধও বিসর্জন দিয়েছে। ছাত্রশিবির দেশের প্রচলিত আইনের বিরোধী বা নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। ছাত্রশিবির দেশের আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল হয়ে তার নিয়মতান্ত্রিক জনকল্যাণ ও গঠনমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার দেশের খেটে খাওয়া শ্রমিকের ঘাম ঝরা টাকায় লালিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ছাত্রশিবিরের পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে। যারা নিষ্ঠুরতা, দায়িত্বহীনতা ও অসভ্যতার সকল স্তর অতিক্রম করেছে। পুলিশের এ আচরণ অনাকাঙ্খিত ও নিচু মানষিকতার পরিচায়ক। এমন অপকর্ম অব্যাহত রাখলে পুলিশকে ছাত্রসমাজ ও এলাকাবাসীর রোষানলে পড়তে হবে। অবিলম্বে পুলিশের এই দায়িত্বহীনতার বিচার করতে হবে। শিবির সভাপতির পরিবারের প্রতি হয়রানী বন্ধ করতে হবে। ছাত্রসমাজ কোন ভাবেই এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন অপকর্ম মেনে নিবে না। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের নামে এই জঘণ্য কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জোর দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে বেআইনি কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।