মেধাবীদেরকেই সৎ যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হতে হবে: শিবির সভাপতি
- প্রেস বিজ্ঞপ্তি
- ১৯ জুলাই ২০১৮, ২১:৫৫
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, মেধা সম্পদে আমরা স্বয়ংসম্পুর্ণ তা আজ আবারো প্রমাণ হয়েছে। তবে কাঙ্খিত সোনার বাংলা গড়ার যোগ্য কারিগরদের অভাব রয়েই গেছে। নৈতিকতা সম্পন্ন যোগ্য নাগরিক ও নেতৃত্ব ছাড়া জাতির প্রত্যাশা পূরণ হবে না তা নিশ্চিত। এ অবস্থায় সৎ যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নাগরিকের শুণ্যতা মেধাবীদেরকেই পুরণ করতে হবে।
তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তেন ছাত্রশিবির ঢাকা কলেজ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এইচএসসি ও আলীম পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের তাৎক্ষণিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক সালাউদ্দিন আইয়ুবি। এসময় ঢাকা কলেজ শাখা সভাপতি মেহেদি হাসান সানি, সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মারুফসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, মেধাবীরা আজকে জীবনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সফলতার সাথে পার করেছে। আমাদের বিশ্বাস আগামীতেও এ সফলতা অব্যাহত থাকবে। এই অর্জনের পাশাপাশি জাতির প্রত্যাশার পরিধিও বেড়ে গেছে। হাজারো সম্ভাবনা ও পর্যাপ্ত সুযোগ থাকার পরও আমরা পিছিয়ে আছি শুধু মাত্র নৈতিকতা সম্পন্ন যোগ্য নাগরিক ও নেতৃত্বের অভাবে। বাস্তবতা হলো সৎ হওয়ার পরও অযোগ্যতার জন্য যেমন একজন নাগরিক জাতির জন্য তেমন কিছু করতে পারেনা। ঠিক তেমনি যোগ্যতা সম্পন্ন হয়েও সততা না থাকার কারণে তার কাছ থেকেও জাতি প্রত্যাশিত কিছু পায়না। বরং জাতির জন্য অসৎ যোগ্য নাগরিক অভিশাপে পরিণত হয়। যার প্রমাণ আজকের বাংলাদেশ। সিমাহীন দূর্নীতি ও অপকর্ম করে যারা জাতিকে প্রতিদিনই পিছিয়ে দিয়ে বঞ্চিত করছে তারা সবাই মেধাবী। অপার সম্ভাবনা এবং পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক ও জনসম্পদ থাকার পরও এসব নৈতিকতাহীন মেধাবীদের কারণে জাতি তার সুফল থেকে বঞ্চিত। যা জাতিকে হতাশ করে তোলছে। এ অবস্থায় জাতির হাল ধরতে হবে আজকের মেধাবীদেরকেই। মেধাবীদের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মেধাবীদের বাস্তব পরিস্থিতি সামনে রেখে আগামী দিনে পথ চলতে হবে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, নিজেদেরকে প্রকৃত মেধাবী ও সৎ হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ তেমন নেই, উল্টো রাষ্ট্রীয় শক্তি দ্বারাই শিক্ষাকে বাণিজ্যকরণ, সন্ত্রাস, মাদক, অপসংস্কৃতি ও অশ্লীলতার বলয় তৈরী করা হয়েছে। যা বহু মেধাবীকে অযোগ্য এবং অনৈতিকতার জোয়ারে ভাসিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে যুগের পর যুগ মেধাবীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। কিন্তু তবুও আমরা হতাশ নই। কেননা যারা আজকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এ ধাপটি সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছে তারা পরিশ্রম সাধনা করেই করেছে। আমরা আশা করি তারা আগামী দিনেও সকল অশুভ মত ও পথের হাতছানিকে উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে পারবে। প্রচলিত বৈষম্যের বিরুদ্ধে মেধাবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ছাত্রশিবির মেধাবীদের সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। মেধার উপযুক্ত মূলায়ন করতে ইসলামী মুল্যবোধের ভিত্তিতে মেধাবীদের গড়ে তোলতে ছাত্রশিবিরের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমরা আশা করি জাতির প্রত্যাশা পূরণে আজকের মেধাবীরা ছাত্রশিবিরের এই পথ চলায় সহযোগি হয়ে দুর্নীতিমুক্ত সম্বৃদ্ধ দেশ গঠনে ভূমিকা পালন করবে।