সাদপন্থীদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে : হেফাজত আমির
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৪০, আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:৪০
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, সাদপন্থীরা নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটানোর মাধ্যমে এ দেশে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। তাই দাওয়াত ও তাবলীগের নামে তাদের সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে।
আজ সন্ধ্যায় জমিয়াতুল মানহাল আল ক্বওমিয়া উত্তরার ইসলামি মহাসম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মাওলানা আফসার মাহমুদ।
আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, গত রাতে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাহাজ্জুদ নামাজরত এবং ঘুমন্ত দাওয়াত ও তাবলীগের সাথী ভাইদের ওপর সাদপন্থীদের নৃশংস হামলায় আমরা যারপরনাই বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাদের এই সন্ত্রাসী হামলায় চারজন নিরীহ ও নিরস্ত্র সাথী ভাই শহাদাত বরণ করেছেন। এছাড়া শত শত সাথী ভাই আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মাঝে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা এই বর্বরোচিত হামলার হুকুমদাতা এবং এর সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট এ বিষয়ে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
হেফাজত আমির বলেন, দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনত নবীওয়ালা কাজ। এ কাজে যারা যুক্ত থাকবেন, তাদেরকে নববী সিফাত ধারণ করতে হবে। পক্ষান্তরে সাদপন্থীদের বিগত ২০১৮ সালের পহেলা ডিসেম্বর ও গতরাতের কার্যকলাপ প্রমাণ করে-তারা একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। এ ধরনের সহিংস কার্যকলাপ ইসলাম কখনো অনুমোদন দেয় না। যারা এই সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িত, তারা কখনো-ই তাবলীগের লোক হতে পারে না। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, গত রাতের সহিংসতা বা নাশকতার সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। একজনকেও ছাড় দেয়া যাবে না।
তিনি আরো বলেন, দাওয়াত ও তাবলীগের কাজের বর্তমান রূপ প্রতিষ্ঠা করেছেন মাওলানা ইলিয়াস রহ., যিনি উম্মুল মাদারিস দারুল উলূম দেওবন্দের সন্তান এবং এই কাজ তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে। এজন্য দ্রুত সময়ে বাংলাদেশেও সার্বিকভাবে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ আলেম-উলামার তত্ত্বাবধানে সাধারণ মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারের কাছে বিশেষভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের আপামর তাওহীদী জনতাকে এই নবীওয়ালা কাজের সাথে সঠিকভাবে এবং উলামায়ে কেরামের অধীনে থেকে নিজেকে জুড়ে রাখার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
হেফাজত আমির বলেন, ইসলামের আদর্শ হলো মানুষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। কোনো ধরনের সহিংসতা ইসলাম সমর্থন করে না। তাই এ পরিস্থিতিতে আমরা ধর্মীয় সহনশীলতা, শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।