শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে পেশাজীবী পরিষদের শ্রদ্ধা

শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে সূরা ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।

বুধবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায় তারা।

এ সময় বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. আবদুস সালাম, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

১৯৯০ সালের এই দিনে এইচ এম এরশাদের স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল মুহূর্তে আন্দোলনের সংগঠক ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-মহাসচিব ডা. শামসুল আলম খান মিলন সরকারের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন। এ ঘটনায় সেদিনের স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। পরে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এইচ এম এরশাদের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। সেই থেকে প্রতিবছর ২৭ নভেম্বর শহীদ ডা. মিলন দিবস পালন করা হচ্ছে।

মিলন চত্বরে সাংবাদিকদের প্রফেসর ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও স্বৈরাচারী এরশাদের একই নীতির লোক ছিলেন। উভয়ই রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ বীরের জাতি। তারা জীবন দিয়ে এদেশ ও দেশের গণতন্ত্রকে বার বার রক্ষা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমরা হত্যা, গুম-নির্যাতনমুক্ত একটা মানবিক বাংলাদেশ চাই। যেখানে ভয়-ভীতি থাকবে না, থাকবে সমতাভিত্তিক ন্যায়বিচার। গড়ে উঠবে মানবিক বাংলাদেশ। যা বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে পরিস্ফুট হয়েছে।’

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্টকে চাই। ফ্যাসিবাদী রাজনীতি চিরতরে নির্মূল করতে হবে। সকল গুম ও খুনের বিচার করতে হবে। এমন একটি দেশ গড়তে হবে যেখানে ভয়-ভীতি থাকবে না। সবার ভয়েস শোনা হবে। ছেলে-মেয়েদের দেশত্যাগের তাড়না থাকবে না।’

যাদের হাতে এখনো রক্ত লেগে আছে তাদের বিচার আগে হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিশু ও গণহত্যাকারীদের দেশে আনতে হবে, তাদের বিচার করতে হবে।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি