২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শিক্ষাখাতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিপূরণে দাবি এমডব্লিউইআরের

- সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে শিক্ষাখাতে কী ধরনের ও পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা নিরুপণ করে শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস (এমডব্লিউইআর)। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ও কনফারেন্স অব দ্যা পার্টিসের (কপ-২৯) সভাপতি ইলহাম এলিয়েভ এবং জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের কাছে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার (২০ নভেম্বর) এমডব্লিউইআরের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ও জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবের ইমেইলে এ চিঠি পাঠিয়েছেন এমডব্লিউইআরের আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ ও যুগ্ম আহ্বায়ক এনায়েত উল্লাহ কৌশিক।

এমডব্লিউইআরের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিয়ত দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব দুর্যোগের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে মানুষ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্যান্য খাতের মধ্যে শিক্ষাখাত বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই প্রতিবছর নানাবিধ দুর্যোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষাখাতে কী ধরনের ক্ষতি হচ্ছে তা নিরুপণ করে শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, প্রতিবছর বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের নানান প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি ২০২৪ সালে বাংলাদেশের ২৫টি জেলায় নয় দফায় ১৭ বারে ৫৭ দিন বন্যাকবলিত ছিল। এতে গড়ে প্রায় আড়াই মাস শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অনেক বিদ্যালয় বন্ধও করে দেয়া হয়েছিল। তাছাড়া শৈত্যপ্রবাহ, তাপপ্রবাহসহ অসংখ্য ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব দুর্যোগ শুধু বাংলাদেশে না নয়, বরং ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার, ভুটানসহ ভাটি ও স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মূলে রয়েছে শিল্পোন্নত দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণ, গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, আবহাওয়ার চরমভাবাপন্ন অবস্থা ও সবশেষ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণ।

প্যারিস চুক্তি ও লস অ্যান্ড ড্যামেজ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, শিল্পোন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেখানে বিশেষভাবে শিক্ষায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রতিবছর দুর্যোগে আক্রান্ত দেশগুলোতে বিভিন্ন দুর্যোগে শিক্ষাব্যবস্থায় কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করে সেই হিসাবে প্রতিটি দেশকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। চলতি কপ-২৯ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও ব্যবস্থা নিতে আয়োজক কমিটির সভাপতি হিসেবে আপনার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তাছাড়া জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবকেও এ ব্যাপারে শক্তিশালী অবস্থান নেয়ার অনুরোধ করা হয়।

চিঠিতে বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের ক্ষতিপূরণ চাওয়ার দাবি জোরাল করার আহ্বান জানানো হয়।


আরো সংবাদ



premium cement