ভারতের কর্তৃত্ববাদ ও প্রতিবেশী সম্পর্ক
- মো: মনজুরুল ইসলাম
- ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:১৫
মোদি সরকারের কর্তৃত্ববাদী নীতির কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে নয়াদিল্লির সম্পর্কের টানাপড়েন তুঙ্গে। এক দশক আগে নরেন্দ্র মোদি যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তিনি ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ বা প্রতিবেশীরা সবার আগে নীতি ঘোষণা করেন। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্যই ছিল এই নীতি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই নীতি হোঁচট খেয়েছে।
নীতিকথা আর বাস্তবের মধ্যে বিরাট তফাত লক্ষ করা গেছে ভারতের নীতিতে। পশ্চিমা বন্ধুরাষ্ট্রকে যেভাবে দিল্লি সরকার গুরুত্ব দেয় তার বিপরীতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে কার্যত তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখে ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি ভঙ্গ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সর্বশেষ বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ছিল বাংলাদেশ। মোদি সরকারের বিশ্বস্ত মিত্র ছিল শেখ হাসিনা। ‘স্বামী-স্ত্রী’র খেলায় পাওয়া না পাওয়ার হিসাব না মিলিয়ে হিন্দুস্তানের সব সিদ্ধান্তে হ্যাঁ বলতেন শেখ হাসিনা। কিন্তু ভারতের প্রেসক্রিপশনে মৌলবাদ আর জঙ্গি তকমা দিয়ে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে বাংলাদেশে একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। যার মধ্য দিয়ে ৯০ শতাংশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির মানুষের মনে ক্ষোভের সঞ্চয় হয়।
দিল্লির মোদি সরকার ‘হিন্দু আইডেন্টিটি’কে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো সেটিকে ভালোভাবে নেয়নি। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতামতের গুরুত্ব না দিয়ে একপেশে সিদ্ধান্তে ২০১৯ সালে ভারত সিএএ আইন করেছিল। এই আইনের মূল লক্ষ্য ছিল ‘হিন্দু আইডেন্টিটি’ প্রতিষ্ঠা করা। ভারতের নেতা-মন্ত্রীরা প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালদ্বীপ থেকে আসা মুসলমানদেরকে তাদের দেশে অবৈধ মুসলিম অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করেন। বাংলাদেশ ভারতকে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র মনে করলেও ভারতে বাংলাদেশকে অনবরত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ভরা আফগানিস্তান-পাকিস্তানের সাথে তুলনা করা হয়। মোদি সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশী অভিবাসীদের উইপোকা, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে বিজেপি নেতাদের এ ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য আগুনে বাতাস দেয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে বিরোধী অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেয়।
২৬ আগস্ট ২০২৪ সোমবার রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে টেলিফোনে নালিশ করেন : ‘আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছি এবং দ্রুত স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছি এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছি।’
এখানে তিনি বলেছেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র, তিনি কেন এমন বৈষম্য তৈরি করাবেন? ভারত তো রিজিওনাল সুপার পাওয়ার হতে চায়, তবে সেটি কি শুধু হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে? যেখানে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো নেপাল বাদে সবাই অন্য ধর্মাবলম্বী সংখ্যাগরিষ্ঠ। ২০২২ সালে বিজেপির মুখপাত্র হজরত মুহাম্মদ সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করার পরে প্রতিবেশী দেশের মুসলিমরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ভারতীয় মুসলমানদের প্রতি বিজেপি সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণ ভারতবিরোধী মনোভাবকেই আরো উসকে দেয়। ভারতের নতুন পার্লামেন্ট ভবনে অখণ্ড ভারতের মানচিত্র যুক্ত করে, যেখানে প্রতিবেশী দেশকে ভারতের অংশ বলে দেখানো হয়।
ষোড়শ শতাব্দীতে তৈরি হয় ভারতে অবস্থিত মুসলিমদের প্রার্থনালয় বাবরি মসজিদ। ভারতীয় কট্টরপন্থী হিন্দু সম্প্রদায় মসজিদটি ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভেঙে ফেলে পেশিশক্তির বলে। তার পর ভারতজুড়ে শুরু হয়েছিল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, তাতে মারা গিয়েছিলেন প্রায় দুই সহস্রাধিক মানুষ। পরে সেখানে রামমন্দির নির্মাণ করা হয়। ২২ জানুয়ারি ২০২২ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেটি উদ্বোধন করেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্টার হাব এতটাই জটিল যে, পৃথিবীর অন্য কোনো রিজিওনে দেখা যায় না। ইন্টার রিজিওনাল কমিউনিকেশন মূলত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যবসায়িক আদান-প্রদান, ভ‚রাজনৈতিক, পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু ভারত সাউথ রিজিওনে ধর্মীয় সঙ্কীর্ণ মনোভাব থেকে ইন্টার হাব তৈরিতে এগিয়ে আসেনি। প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক উদ্দেশে যাওয়া হলেও দেখা হয় সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে। কখনো বলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, কখনো সন্ত্রাসী, জঙ্গি, মৌলবাদ ও নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হয় প্রতিবেশী দেশের মানুষকে।
ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোতে নিজেদের স্বল্পকালীন স্বার্থের হিসাব করেই এগিয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কখনো মাথা ঘামায়নি। ভারতকে আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী শক্তি হিসেবে দেখে দক্ষিণএশীয় প্রতিবেশী দেশগুলো। আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসেবে দাঁড় করানোর খায়েশ আছে ভারতের কিন্তু প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য তাদের কিছু দায়িত্ব আছে সেটা একেবারেই অস্বীকার করে।
প্রতিবেশী দেশগুলোতে অন্ধভাবে নিজেদের পছন্দের রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে ভারত। অন্য দিকে অপছন্দের দলকে রীতিমতো শত্রু জ্ঞান করে। বাংলাদেশের ডানপন্থী জোট জামায়াত বা বিএনপিকে কোণঠাসা করে রাখছিল রাজনৈতিকভাবে। বাংলাদেশের ২০২৪ সালের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন নিয়ে যখন পশ্চিম বিশ্ব প্রশ্ন তুলছিল, তখন ভারতের মোদি সরকার আওয়ামী লীগের হয়ে আমেরিকাসহ অন্যান্য রাষ্ট্রকে ম্যানেজ করে।
সাউথ-ইস্ট রিজিওনে ভৌগোলিক অবস্থার কারণে ভারত নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এক পাশে চীন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, মিয়ানমারসহ প্রায় সব প্রতিবেশী দেশেই ভারতবিরোধী উজান চলছে। অপর দিকে ভারতের ভেতরে ক্যান্সার (সেভেন সিস্টার্স) আক্রান্ত হয়েছে সেই ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সমাপ্তি থেকেই। ভারতীয় উপমহাদেশের জাতি, ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, ভৌগোলিক অবস্থান এক নয়। ব্রিটিশ থেকে আলাদা হওয়ার পরে ভারত সঠিক নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছে। জাতিগত বৈষম্য, দ্বৈতনীতি, অসম বণ্টন, কর্তৃত্ববাদ, হিন্দু আইডেন্টিটি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা, যোগাযোগের জন্য ইন্টার-হাব তৈরি করতে না পারার ব্যর্থতায় প্রতিবেশী দেশগুলো ভারতের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ করে শেখ হাসিনা সরকার। উন্নয়ন আর গণতন্ত্রের বুলি দিয়ে ঢোলবাদ্য বাজাতে থাকে। মিডিয়াপাড়ায় নিয়ন্ত্রণ, বিরোধী মিডিয়ার সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া। ডিজিটাল অ্যাক্ট করে তথ্য আইনের মারপ্যাঁচে ফেলে স্বাধীন দেশের মানুষের তথ্য অধিকারে হস্তক্ষেপ করা এবং বিচার কাজে হস্তক্ষেপ করা তার রুটিন কাজে পরিণত হয়। বাক স্বাধীনতার টুঁটি চেপে ধরা সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়নি। পরিকল্পিতভাবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সীমান্ত প্রহরী বিডিআর ও সেনাবাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে রূপান্তর করা হয়। স্বৈরাচারী কায়দায় ২০১৮ ও ২০২৪ সালের একপাক্ষিক নির্বাচন করা। বাংলাদেশের প্রধান ইসলামপন্থী বিরোধী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয়তাবাদী বিএনপির তোয়াক্কা না করেই নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। ডামি দল হিসেবে জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলের ভ‚মিকায় বসানো হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আইন করে বাতিল করা হয়।
তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পাকিস্তানের বৈষম্যবিরোধী আচরণের কারণেই মূলত মুক্তিসংগ্রাম করেছিল। ভারতের ভৌগোলিক অবস্থাগত ঝুঁকির কারণে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। মওলানা ভাসানী, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, অধ্যাপক গোলাম আযম ভারতীয় আগ্রাসন উপলব্ধি করতে পেরেই ভারতের বিরোধিতা করতে শুরু করেন। তাদের বিরোধিতা স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল না, তাদের বিরোধিতা ছিল ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। ভারতপ্রীতির কারণেই শেখ হাসিনা সরকারকে সাধারণ জনগণের রক্তশূল হতে হয়।
আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একনিষ্ঠ অংশগ্রহণের ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে ৪৬ বছর ধরে চলা কোটাব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করে শেখ হাসিনা সরকার। পরে ২০২৪ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ হাইকোর্ট বাতিলকৃত কোটা আবার বহাল করে। কোর্ট সাধারণ ছাত্র-জনতার কোটা আন্দোলনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেন। যার ফলে আবার কোটা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে তীব্র আকার ধারণ করে। নিবন্ধিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখ থেকে আড়াই লাখ, অর্থাৎ এক হাজার মানুষের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১.২ জন বা ১.৫ জন। পুরো জনসংখ্যার ০.১২/০.১৫ শতাংশ। ০.১২ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার জন্য কোটার পরিমাণ ৩০ শতাংশ! যা হাজারে রূপান্তর করলে দেখা যায়, এক হাজার মানুষের মধ্যে ১ থেকে ১.৫ (দেড়) জন মুক্তিযোদ্ধার জন্য কোটার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০০ জন।
১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুরের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদের ওপর পুলিশ নির্মমভাবে গুলি চালায়। আবু সাঈদের ওপর গুলি চালানোর দৃশ্য সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। আবু সাঈদের ওপর গুলির দৃশ্য থেকে সাধারণ জনগণের দৃষ্টি আড়াল করতেই সরকার ১৭ জুলাই ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়। ৩০ জুলাই হত্যার বিচার চেয়ে মুখে লাল কাপড় বেঁধে মিছিল করা হয় ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ওই প্রতিবাদে অংশ নেন শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, লেখক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। ৩১ জুলাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে শেখ হাসিনা সরকার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রনেতারা ৯ দফা দাবি বেঁধে দেয় সরকারকে, পরবর্তীতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করে। ৩ আগস্ট বিক্ষোভ প্রদর্শন, ৪ আগস্ট থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হয়। তুমুল সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ, সাধারণ ছাত্র হত্যাকে কেন্দ্র করে ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। লাখ লাখ ছাত্র-জনতা, সাধারণ মানুষ ঢাকাসহ সারা দেশের রাজপথে নেমে আসে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশ ও ছাত্র-জনতার ত্রিমুখী সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৮০০ শতাধিক শিশু, ছাত্র, যুবক, বৃদ্ধ, পুলিশ নিহত হয়। পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট বেলা ১টায় সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে নয়াদিল্লির কাছে হিন্দনে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে অবতরণ করেন । এর মধ্য দিয়েই অবসান ঘটে সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগের জুলুম, নির্যাতন, দুঃশাসন ব্যবস্থার।
জাতিগত বৈষম্য, হিন্দু আইডেন্টিটি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা, সীমান্তে কঠোর অবস্থান, অসম বণ্টন, দ্বৈতনীতি, পানি বণ্টন, ট্রানজিট ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ইস্যুতে ভারতের অতিমাত্রায় হস্তক্ষেপ প্রতিবেশী দেশের জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল। একের পর এক দেশ ভারতের বিরুদ্ধে ফুঁসে আছে। যার প্রকাশ ঘটে বাংলাদেশের সর্বশেষ সরকার শেখ হাসিনা উৎখাতের মধ্য দিয়ে।
লেখক : প্রযুক্তিবিদ
ই-মেইল : [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা