হতাশ সরকার, বিএনপি নয়
- শিমুল বিশ্বাস
- ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩৬
বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ ভোটার ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বর্জন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে এক নৈতিক বিজয় এনে দিয়েছে। ৭ জানুয়ারি দুপুর পর্যন্ত ভোটের প্রকৃত সংখ্যা দেখে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা উৎকণ্ঠিত ও বিচলিত হয়ে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে ভোটের হার কৃত্রিমভাবে বৃদ্ধি করে দেখায়। তবে এতেও তাদের কোনো লাভ হয়নি। দেশের মানুষ ও আন্তর্জাতিক মহল ইতোমধ্যে প্রকৃত তথ্য জেনে গেছে। ফলে সরকারি মহল নিজেদের হতাশা ঢাকা দেয়ার জন্য বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের ও দমননিপীড়ন শুরু করে দিয়েছে।
শত শত গ্রেফতার, জেল-জুলুম, হত্যা-গুম, মামলা-হামলা করেও বিএনপির মনোবল ভাঙতে পারেনি। বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আত্মসমর্পণ করেনি। ৭ জানুয়ারির পর কালো পতাকা মিছিলের মতো নিত্যনতুন বিএনপির কর্মসূচিতে জনসমাগম দেখে হতভম্ব হয়ে গেছে হাসিনার সরকার। তাই এখন তারা নতুন কৌশল হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ছড়ানোর অপকৌশল বেছে নিয়েছে। পরিকল্পিত উপায়ে বিভিন্ন দালাল শ্রেণীর লোকদের দিয়ে এজেন্সিগুলো মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি কারো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত বা হতাশ হবে না। বিএনপির সবাই জানেন, তারপরও সতর্কতা হিসেবে বলছি, যারা অপপ্রচারকারী তাদের চিহ্নিত করুন এবং বয়কট করুন। নেতাকর্মীদের কাছে নিজেদের লড়াই ও আত্মত্যাগের সাফল্য তুলে ধরুন। আন্দোলনরত ও বিপদগ্রস্ত নেতাকর্মীদের আশা দিন, ভরসা দিন, দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ান। ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন। পরিস্থিতি যতটা প্রতিকূল ভাবছেন বাস্তবে কিন্তু ততটা নয়। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য ভুলে আওয়ামী লীগ সরকারি যন্ত্র দিয়ে বিএনপিকে দমনে লিপ্ত। ফলে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপি দমনের পেছনে রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেই চতুর্মুখী সঙ্কটে জড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে জরুরি আমদানি ও উৎপাদন হ্রাস করতে হচ্ছে। প্রায় সব ব্যাংক অর্থসঙ্কটে হাবুডুবু খাচ্ছে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সরকার কোনো সহযোগিতা করতে পারছে না। ঠকবাজ ও বাজিকরদের হাতে বাজারের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় এখন হ-য-ব-র-ল অবস্থা, সরকার বলে বামে টেক্সবুক বোর্ড যায় ডানে। প্রশাসন ক্যাডার নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ভুলে মানুষের ওপর এখন ফ্রিস্টাইল জুলুমবাজি চালাচ্ছে। প্রশাসন এখন অত্যাচারী জমিদার আমলের খাজনা আদায়কারী হয়ে উঠেছে। কোনো কিছুর ওপর আওয়ামী লীগের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। চার দিকে ফিশফাস শুরু হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন। করণীয় ঠিক করুন।
পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন, সম্মিলিতভাবে তা মোকাবেলার কৌশল নির্ধারণ করুন। দলীয় দিক-নির্দেশনা মেনে নিজ নিজ কর্তব্য পালনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতন ও দুঃশাসনের অবসান হবেই হবে, ইনশা আল্লাহ।
বিআইডব্লিউটিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও বিরোধি দলীয় নেত্রীর বিশেষ সহকারি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা