২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ইসলাম মানবজাতিকে পথ দেখিয়েছে

- ছবি : সংগৃহীত

বর্তমান যুগে কিছু মানুষ না জেনে, না বুঝে ইসলাম নিয়ে কটূক্তিপূর্ণ মন্তব্য করছেন। ইসলামকে মধ্যযুগীয় ও ১৫শ’ বছরের প্রাচীন চিন্তা-চেতনার ধারক বলছেন। পরিস্থিতি এমন যে, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কোণঠাসা করার জোর প্রয়াস চলছে। কিন্তু তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে সত্য ঢেকে রাখার সুযোগ নেই। মানুষ নানাভাবে ইসলামের প্রকৃত রূপ জানতে পারছে এবং এর বিরুদ্ধে সমালোচনাগুলো কতটা ভিত্তিহীন তাও জানতে পারছে। ফলে ইসলামের পক্ষে এক ধরনের সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।

এতে ইসলামবিরোধী শক্তি শঙ্কিত। যারা ইসলামের সমালোচনা করছেন, ইসলাম সম্বন্ধে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকলে তারা সেটা করতেন না। মূলত ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম আর কুরআন হচ্ছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস। কুরআন ছাড়া জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা ভাবাই যায় না। ইসলাম নারীকে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়নি বরং মর্যাদার সাথে কাজ করার অধিকার দিয়েছে। ইসলাম পৃথিবীতে ইনসাফ, সাম্য, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সব কিছুতে মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ইসলাম পৃথিবীর সব সংস্কৃতিতে মানব সমাজের অভিব্যক্তি এবং সৃজনশীলতায় মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং ইসলাম সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে, ইসলাম ও তার ইতিহাস সম্বন্ধে গভীর জ্ঞান থাকা দরকার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট আইসেনহাওয়ার ২৮ জুন, ১৯৫৭ সালে এক ভাষণে বলেছিলেন, মানব সভ্যতা ইসলামী বিশ্বের কাছে ঋণী। মুসলিম প্রতিভাবান ব্যক্তিরা চিকিৎসা থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞান পর্যন্ত সব বিষয়ে নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে মানব জাতির সভ্যতা ও কৃষ্টিকে সমুন্নত করেছেন। এমনকি তারা আমাদের জন্য মনোবল ও আতিথেয়তার নিদর্শন রেখে গেছেন।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন যুগে প্রচলিত বিভিন্ন সত্য ধর্মের বাহ্য আচার-নিরপেক্ষ মৌলিক ঐক্য-সূত্রই ইসলাম। বিজ্ঞানের জয়যাত্রার বহু আগে ইসলাম বিজ্ঞানের মৌলিক নীতিগুলো জগতের সম্মুখে উপস্থাপন করেছে। শুধু তাই নয়, ইসলামের আবির্ভাবের পর বিজ্ঞানের উন্নতি ইসলাম ও বিজ্ঞানের মধ্যে একটি কার্যকারণ ও যোগসূত্র সূচিত করে। মুসলমানরা বৈজ্ঞানিক সভ্যতার রূপকার ও রসায়ন শাস্ত্রের জন্মদাতা ছিলেনÑ এ কথা বললে মোটেও অত্যুক্তি হবে না। জাবির ইবনে হাইয়ান ও আল রাজী ছিলেন রসায়ন শাস্ত্রে সে যুগের নিউটন। এক হাজার শতাব্দীতে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আল-হাজের পদার্থ বিজ্ঞানে যা দান করে গেছেন তা আধুনিক বিজ্ঞানেরও পরম সম্পদ। তিনি আলোক বিজ্ঞানের ওপর সাত খণ্ড গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। এই সময়ে মুসলিম বিজ্ঞানীদের গবেষণা দ্বারাই সর্বপ্রথম ‘টেলিস্কোপের’ কার্যধারা আবিষ্কৃত হয়েছিল। অঙ্ক শাস্ত্রে ‘বাইনোমিয়েল তত্ত্ব, নানাবিধ মেরুকরণ ও সমীকরণ এবং আরো বহু বিষয় মুসলিম বিজ্ঞানীদের অসাধারণ সব কীর্তি। চিকিৎসাশাস্ত্রে মুসলমানরা এত উন্নতি সাধন করেছিলেন যে, এক সময় গোটা ইউরোপজুড়ে এই শাস্ত্রের জন্য মুসলিমদের লেখা বইগুলোই একমাত্র পাঠ্য বলে বিবেচিত হতো। সবচেয়ে বড় কথা হলোÑ বিজ্ঞানের ব্যবহারিক দিক অর্থাৎ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পদ্ধতি সর্বপ্রথম মুসলিম বিজ্ঞানীরাই প্রবর্তন করেছিলেন, গ্রিক যুগে এটি কারো জানা ছিল না। খলিফা আল-হাকামের সময়ে (৯৯৬-১০২১) কায়রোতে প্রতিষ্ঠিত সরকারি সাহায্যপুষ্ট বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তা ছাড়া এশিয়ার বাগদাদ, ইউরোপের কর্ডোভা প্রভৃতি নগরী সে যুগে বিশ্বের জ্ঞানচর্চার সর্বপ্রধান কেন্দ্র ছিল। মুসলমানদের আরেকটি প্রধান কীর্তি হলোÑ অবলুপ্তপ্রায় গ্রিক ও ভারতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের আহরণ, অনুবাদ ও সংরক্ষণ- তা না হলে অনেক আগেই এই দুই মহাসভ্যতার বহু দানের চিহ্ন পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকত না।

কুরআনের অসংখ্য আয়াতে বিজ্ঞানচর্চার নির্দেশ করা হয়েছে। বিজ্ঞান আজ ইসলামের অনেক বক্তব্যকে একের পর এক প্রমাণ করে চলেছে। ফলে ইসলামের প্রতি মানুষের বিশ্বাস গাঢ় হচ্ছে। কুরআন আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ঘোষণা করেছে, মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুই নিজ নিজ কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে, অথচ বিজ্ঞান তা জেনেছে চৌদ্দশ’ বছর পরে। এভাবে অসংখ্য বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার যা আমরা ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে জানতে সক্ষম হয়েছি, আল কুরআন তা চৌদ্দশ’ বছর আগেই বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছে।

বিশ্বের ঐক্যবোধ ইসলামের একটি মহা অবদান। অতীতের বিভিন্ন ধর্ম বহু সৃষ্টিকর্তার স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব ও সমাজকে বিচ্ছিন্ন এবং বিভক্ত রূপে দেখেছে। এমনকি ইহুদি ও খ্রিষ্টান ধর্ম এই বহুত্বের ত্রæটি থেকে সব ক্ষেত্রে মুক্ত ছিল না; কিন্তু ইসলামই প্রথম এক সৃষ্টিকর্তার অধীনে এক অখণ্ড বিশ্বের ও আইনের ধারণা দৃঢ়ভাবে প্রবর্তন করে। ইসলামের ঐক্য-ধারণা (যাকে আমরা তৌহিদ বলি) এতদূর অগ্রসর হয় যে, এর মতে পৃথিবীতে প্রকৃত ধর্মও বহু নয়, একটি মাত্র এবং সেটা ইসলাম। বিভিন্ন দেশে ও বিভিন্ন যুগে যে সমস্ত ধর্ম প্রচারক এসেছিলেন, তারাও বিভিন্ন নামে এই ইসলামই প্রচার করেছেন। তারাও ইসলাম ধর্মের একেকজন পয়গম্বর ছিলেন। কুরআনের বিবৃতি অনুসারে এমন কোনো দেশ বা জাতি নেই যেখানে অতীতে নবী প্রেরিত হয়নি। তাই ইসলাম সমস্ত মানবতার ধর্মÑ এটি সম্প্রদায়বিশেষের ধর্ম নয়।

জীবনের সর্বদিকের ঐক্যে বিশ্বাস করে বলেই ইসলাম রাজনীতি, অর্থনীতি প্রভৃতিতেও কোনো বিচ্ছিন্নতা মেনে নেয়নি। রাজনীতি অর্থনীতি সব কিছু মানুষের জীবনের সাথে জড়িত। মানুষের জীবনের বিভিন্ন বিভাগ থাকলেও কোনোটা বিচ্ছিন্ন নয়, ঐক্য সূত্রে সবটাই গ্রথিত। এ জন্য একই মানব জীবন একই নীতির দ্বারা পরিগণিত হওয়া উচিত বলেই জীবনের সাথে জড়িত কোনো দিককেই বিচ্ছিন্ন করে দেখা ভ্রান্তিমূলক।

ইসলামের আর একটি বৈশিষ্ট্য হলোÑ সমাজে ব্যক্তিকে বিশিষ্ট স্থান দেয়া। কুরআনে তার বহু নজির আছে। মহাকবি আল্লামা ইকবালের ‘আসরারে খুদির’ মধ্যে মানুষের এ ব্যক্তিসত্তার অসীম গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রথম দিকে বর্ণিত বিজ্ঞানের তৃতীয় মৌলিক নীতির সাথে এর মিল আছে। ইসলাম ব্যক্তিকে এত বেশি মূল্য দিলেও সমষ্টিকে খাটো করেনি। ব্যক্তি ও সমষ্টির মধ্যে এক সুন্দর সামঞ্জস্য বিধান করে ইসলাম বিজ্ঞানের ধারণাকেই সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। লক্ষণীয়, ইসলাম নারীকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে, এমন মন্তব্য যারা করেন, তারা জেনে অথবা না জেনে মিথ্যাচার করেন। কেননা, একমাত্র ইসলামই নারীকে বিশেষ সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। নারীর শালীনতা, নিরাপত্তা ও অধিকার ইসলামই সর্বতোভাবে নিশ্চিত করেছে। সম্পদের দিক থেকেও ইসলাম নারীকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছে। ইসলামী আইনে একজন নারীর তার বাবার সম্পত্তিতে যেমন অধিকার থাকে, তেমনি অধিকার থাকে স্বামীর সম্পত্তিতেও। পাশাপাশি মর্যাদার সাথে কাজকর্ম করে অর্থ-সম্পদ অর্জনের অধিকারও ইসলাম নারীকে দিয়েছে। সুতরাং ইসলামকে সর্বতোভাবে অনুসরণ করলে, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে আন্দোলন বা পৃথক আইন তৈরির কোনো প্রয়োজন নেই।

সত্য কথা বলতে কী, ইসলামই প্রথম রাজতন্ত্র ও যাজকতন্ত্রের উচ্ছেদ করে প্রকৃত গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছে। অনেকে মনে করেন, গ্রিসে ও রোমান শাসনে প্রথম গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেছিল, এটি ভুল। কারণ গ্রিসে যে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে ধরা হয়, তাতে বিভিন্ন শ্রেণীর জন্য বিভিন্ন ধরনের আইন প্রবর্তন করা হয়েছিল। আমেরিকায় এখনো নিগ্রোরা সামাজিক আইনে গণতান্ত্রিক অধিকার পায় না এবং ইংল্যান্ডে এখনো সীমাবদ্ধ হলেও রাজতন্ত্র বিদ্যমান। আর ভারতের তথাকথিত গণতান্ত্রিক সমাজে বিভিন্ন বর্ণের মধ্যে অনৈক্য যে কত প্রকট ও মারাত্মক তা বলাই বাহুল্য।

বর্ণ, বংশ, স্থান-ধন-সম্পদ মানুষে মানুষে যে বিভিন্নতা সৃষ্টি করেছে, তাতে ভ্রাতৃত্ব একেবারে বিলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রæও স্বীকার করবেন যে, ইসলাম মুসলিমদের মধ্যে বংশ ও বর্ণের সর্বপ্রকার বিভেদ-প্রভেদ বিলুপ্ত করতে সমর্থ হয়েছে। বার্নার্ড শ একবার রহস্যচ্ছলে বলেছিলেন, গণতন্ত্রের প্রকৃত পরীক্ষা হলো সামাজিক বিবাহ (ওহঃবৎসধৎৎরধমব ধনরষরঃু)। কথাটা খুবই সত্য। প্রার্থনা, আহার ও রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক স্তরের সাম্য প্রদর্শন-মূলক ও ত্রæটিপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু অন্তর্বিবাহ এমন একটি পরীক্ষা, যাতে ফাঁকির কোনো সুযোগ নেই। আর একমাত্র ইসলামই বিভিন্ন বর্ণের মধ্যে বিয়ের সুব্যবস্থা প্রবর্তন করে প্রকৃত গণতান্ত্রিকতার উন্মেষ ঘটিয়েছে।

আল-কুরআন যে মহান সৃষ্টিকর্তা ও মহাজ্ঞানী আল্লাহ পাকের বাণী তা তার বর্ণনাভঙ্গি, বর্ণনাসমূহের অসঙ্গতি ও স্ববিরোধিতা থেকে মুক্ত হওয়া এবং তার চিরন্তন রূপ বা সর্বজনীনতা থেকে বোঝা যায়। কুরআনে সৃষ্টিজগতের রহস্য, নিগূঢ় সত্য এবং বিশ্বলোকের সৃষ্টিতত্ত¡ জীবনতত্ত¡ মানুষের বস্তুজগতের রহস্য, দৃশ্য ও অদৃশ্য জগতের তত্ত¡ মানুষের পরিণাম ও পরিণতি বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে। ইতিহাস, ভ‚গোল, জীববিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, প্রকৃতি বিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, যুদ্ধনীতি, পরিবার ও দাম্পত্য জীবনের নীতি, সমাজ বিজ্ঞান, বস্তু বিজ্ঞান, ধর্ম বিজ্ঞান অকাট্য ও চূড়ান্ত ভঙ্গিতে পেশ করা হয়েছে।

আল-কুরআনই প্রথম বিশ্ববাসীকে জানাল যে, পৃথিবী সৃষ্টিলোকের কেন্দ্রস্থল নয়, এটি সমগ্র সৃষ্টিলোকের মধ্যে সামান্য কণা মাত্র। পৃথিবীর চেয়েও কোটি কোটি গুণ বড় অসংখ্য সৃষ্টিলোক রয়েছে। পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্যসহ সৃষ্টিলোকের যাবতীয় বস্তুই নিজস্ব কক্ষপথে ঘুরছে এবং অন্য কোনো বৃহত্তর সৃষ্টিকেও কেন্দ্র করে ঘুরছে। বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান তা জানতে সক্ষম হলো পবিত্র কুরআন কর্তৃক এ সত্য ঘোষণার প্রায় ১১০০-১২০০ বছর পর। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, কুরআনে ঘোষিত সত্য বিজ্ঞান কর্তৃক স্বীকৃত। এমনিভাবে আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত ও উদঘাটিত অনেক সত্যই দেড় হাজার বছর আগে মহান আল্লাহ কর্তৃক আল-কুরআনে ঘোষিত সত্যের সাথে অভ্রান্তভাবে পরম সত্যের জয় ঘোষণা করছে।

পৃথিবীতে চলমান কোনো মতবাদই মানুষের মৌলিক বিষয়ের সমাধান দিতে পারছে না। সম্পদে ভরপুর থাকলেও মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ পৃথিবীর প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পদ ভোগ করছে। যার ফলে পৃথিবীতে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। এর মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ হতদরিদ্র যারা অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করে। তাদের নেই বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণের সামর্থ্য। পৃথিবীতে সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও সম্পদের ওপর সবার সমান অধিকার নিশ্চিত থাকলে; মানুষে মানুষে এমন ভেদাভেদ কি থাকার কথা? যে মতবাদ সৃষ্টির সেরা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানসহ ন্যূনতম মৌলিক বিষয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারে না, সে মতবাদের টিকে থাকার যৌক্তিকতা কি?

দুনিয়ার মানুষ এখন বুঝতে শুরু করেছে, একমাত্র ইসলামই মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে, প্রতিষ্ঠা করতে পারে শান্তি। তাই দুনিয়াজুড়ে এখন ইসলামের পক্ষে আওয়াজ উঠছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। ইসলামী শাসনব্যবস্থাই একদিন দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হবে।
লেখক : কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
Belayet _1@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement