বাংলাদেশের চারপাশে বাঁধ তৈরি, ভারতের আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন
- প্রফেসর এম এ রশীদ
- ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১৮
বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে ভারতীয় বাঁধ এবং নদী প্রকল্পের ফলে বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থা এবং কৃষি কার্যক্রমে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ছে।
তিস্তা ও অন্যান্য সীমান্ত নদীতে বাঁধ
তিস্তা নদী : তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ এবং বিশেষজ্ঞ মহল থেকে ব্যাপক সমালোচনা এবং হতাশা দেখা গেছে। এটি বিশেষত উত্তরাঞ্চলীয় বাংলাদেশে কৃষি, অর্থনীতি ও জীবিকার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।
তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যার প্রেক্ষাপট : নদীর গুরুত্ব : তিস্তা নদী উত্তরাঞ্চলীয় বাংলাদেশের কৃষি এবং জীবিকার একটি প্রধান উৎস। বাংলাদেশের ২১টি জেলা এই নদীর পানি ব্যবহার করে।
১৯৮৩ সালের চুক্তি : তিস্তার পানির অস্থায়ী চুক্তি অনুযায়ী, শুষ্ক মৌসুমে ৩৬ শতাংশ পানি বাংলাদেশের এবং ৩৯ শতাংশ পানি ভারতের জন্য বরাদ্দ করা হয়। বাকিটা উন্মুক্ত রাখা হয়। তবে এই চুক্তি কার্যকর হয়নি।
শেখ হাসিনা সরকারের প্রচেষ্টা : ২০১১ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছিল। তৎকালীন মনমোহন সিং সরকারের সাথে আলোচনায় একটি সমঝোতার খসড়া তৈরি হয়, যেখানে শুষ্ক মৌসুমে পানি ৫০ : ৫০ ভাগ করার প্রস্তাব ছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
বাংলাদেশের দুর্বল অবস্থান : বিগত হাসিনা সরকার ভারতকে খুশি রাখতে গিয়ে তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থান যথাযথভাবে ব্যবহার করেনি।
ভারতের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ অনেক কিছু দিয়েছে (যেমন- ট্রানজিট সুবিধা, বিদ্যুৎ ক্রয় ইত্যাদি), তবে তিস্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সাফল্য অর্জন করেনি।
ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গা নদী : ব্রহ্মপুত্র এবং গঙ্গা নদী ভারত এবং বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দু’টি নদীই বাংলাদেশের কৃষি, পানীয় জল ও পরিবেশের জন্য অপরিহার্য। তবে, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গা নদীর ওপর বাঁধ এবং ডাইভারশন প্রকল্প নির্মাণের ফলে বাংলাদেশে পানির প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়টি আন্তর্জাতিক পানি ব্যবস্থাপনা এবং কূটনীতি অনুযায়ী একাধিক আইনগত এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গা নদীর বাঁধ এবং ডাইভারশন প্রকল্প :
ব্রহ্মপুত্র নদী (যমুনা) : ব্রহ্মপুত্র নদী বাংলাদেশে যমুনা নামে পরিচিত এবং এটি বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলোর একটি। ভারত ব্রহ্মপুত্রের ওপর বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, যার মধ্যে বাঁধ এবং ডাইভারশন (নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে নেয়া) প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত।
ভারতে পশ্চিমবঙ্গ এবং আসাম অঞ্চলে কিছু প্রকল্প রয়েছে যেগুলো নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং এ কারণে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে পানির প্রবাহ কমে গেছে।
গঙ্গা নদী (পদ্মা) : গঙ্গা নদী বাংলাদেশে পদ্মা নামে পরিচিত এবং এটি দেশের প্রধান নদী ও জীবিকা রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার রাজ্যে গঙ্গা নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ এবং ডাইভারশন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
বিশেষত, ফারাক্কা বাঁধ ১৯৭৫ সালে নির্মিত হওয়ার পর থেকেই পদ্মা নদীর পানির প্রবাহে প্রভাব পড়ছে এবং শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের অংশে পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় কৃষি এবং পরিবেশগত ক্ষতি হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক আইন এবং বাঁধ নির্মাণের প্রশ্ন
আন্তর্জাতিক আদালত (International Court of Justice-ICJ) একটি নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক ফোরাম, যা রাষ্ট্রের মধ্যে আইনগত বিরোধ নিষ্পত্তিতে সাহায্য করে। বাংলাদেশের পানির অধিকার রক্ষায় আইসিজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, বিশেষ করে যদি ভারত একতরফা আন্তর্জাতিক নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করে। আইসিজের মাধ্যমে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার একটি সম্ভাব্য পথ।
আইসিজের মাধ্যমে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা
আইনিপ্রক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক আইন : আইসিজের কাজ হলো আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে দুই বা ততোধিক দেশের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করা। যেহেতু ভারত গঙ্গা বা ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় একতরফা পদক্ষেপ নিয়েছে, তাই বাংলাদেশ আইসিজেতে যেতে পারে। আইসিজের রুলিং আন্তর্জাতিক পানি ব্যবস্থাপনার নীতিমালা (যেমন Helsinki Rules ev UN Watercourses Convention) অনুযায়ী হতে পারে, যেখানে প্রতিটি দেশের পানির ন্যায্য ও যৌথ ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
আইনি অভিযোগের বিষয়
পানি বণ্টন চুক্তির লঙ্ঘন : ভারতের একতরফা সিদ্ধান্ত (যেমন- পানি ডাইভার্ট করা বা বাঁধ নির্মাণ) বাংলাদেশে পানির প্রবাহ কমিয়ে দিয়ে কৃষি, পরিবেশ ও জীবনযাত্রায় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশ যদি এ বিষয়টি আইনি ভিত্তিতে আইসিজেতে তুলে ধরে, তাহলে আদালত এটি আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক পানি আইন লঙ্ঘন : আইসিজে পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন (UN Watercourses Convention) অনুযায়ী পানি প্রবাহের সুষম বণ্টন, প্রতিবেশী দেশগুলোর পানির অধিকার রক্ষা এবং একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়ার বিরোধিতা করে। এই প্রেক্ষাপটে আইসিজে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিচার করতে পারে।
আইসিজের ভূমিকা
নিরপেক্ষ বিচার : আইসিজের ভূমিকা হলো একটি নিরপেক্ষ আদালত হিসেবে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করা। বাংলাদেশের অভিযোগ গ্রহণ করলে আইসিজে ভারতকে তার একতরফা পদক্ষেপ প্রত্যাহারের বা পরিবর্তন করার নির্দেশ দিতে পারে, যাতে আন্তর্জাতিক আইন এবং প্রতিবেশী দেশের পানির অধিকার রক্ষা হয়।
আইসিজের মাধ্যমে আইনি পদক্ষেপের সুবিধা
আন্তর্জাতিক সমর্থন : আইসিজের রায় আন্তর্জাতিকভাবে শাসিত এবং তার সিদ্ধান্ত পৃথিবীজুড়ে আইনগতভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পানির অধিকার বৈধভাবে স্বীকৃতি পেতে পারে।
আইনগত শক্তি : আইসিজের রায় বাধ্যতামূলক, অর্থাৎ এটি ভারতকে তার একতরফা পদক্ষেপ সংশোধন করতে বাধ্য করতে পারে। আইসিজের রায় বাস্তবায়নের শক্তি কম হলেও আন্তর্জাতিক চাপ এবং কূটনৈতিক পন্থার মাধ্যমে তা কার্যকর করা সম্ভব।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি : আইসিজের রায় বাংলাদেশের পানির অধিকার রক্ষা করতে সহায়তা করবে এবং এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ককে কূটনৈতিক এবং আইনি কাঠামোয় স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে।
আইসিজেতে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া
প্রাথমিক পদক্ষেপ : বাংলাদেশকে প্রথমে ভারতকে একটি অফিসিয়াল নোটিশ দিতে হবে, যেখানে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলতে হবে। যদি ভারত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে সম্মত না হয়, তবে বাংলাদেশ আইসিজেতে পানি ব্যবস্থাপনার চুক্তি লঙ্ঘন বা বিরোধপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মামলা দায়ের করতে পারে। আইসিজে সাধারণত দুই দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় রায় প্রদান করে। এটি আইনি এবং ন্যায্য উপায় হিসেবে পানির অধিকার এবং পানির সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করার একটি শক্তিশালী প্রক্রিয়া।
বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ এবং সমর্থন প্রাপ্তির পথ
জাতিসঙ্ঘ (UN) : জাতিসঙ্ঘ আন্তর্জাতিক পানি ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত ন্যায্যতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের উচিত জাতিসঙ্ঘের পানি কমিটি বা জাতিসঙ্ঘ পরিবেশ কর্মসূচির (UNEP) মাধ্যমে পানি সঙ্কট এবং প্রতিবেশগত ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরা।
জাতিসঙ্ঘের পানি চুক্তি (UN Watercourses Convention) অনুযায়ী, দুই বা ততোধিক দেশ একটি নদী শেয়ার করলে তাদের মধ্যে একমত হয়ে পানি বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ এই চুক্তির আওতায় চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা
বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং পানি সঙ্কট মোকাবেলায় অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়। বাংলাদেশ এসব সংস্থার মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য ও প্রযুক্তিগত সমর্থন পেতে পারে। এছাড়া এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বিশ্ব জলসম্পদ ইনস্টিটিউট (IWRM)-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সাহায্যেও নদী সংরক্ষণ, পানি ব্যবস্থাপনা ও সেচব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব।
এশীয় পরিবেশ সংস্থা এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলো
SAARC (South Asian Association for Regional Co-operation) এবং বঙ্গোপসাগর সঙ্ঘ (Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation- BIMSTEC)-এর মতো আঞ্চলিক ফোরামগুলোতে বাংলাদেশের সমস্যা তুলে ধরতে পারলে তা আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং রাজনৈতিক সমাধান পেতে সহায়ক হতে পারে।
এমনকি, গঙ্গা সেচ ও পানি বণ্টন সম্পর্কিত আঞ্চলিক সংস্থা তৈরি করা যেতে পারে, যেখানে ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পানি ব্যবস্থাপনায় একমত হয়ে সমাধান খুঁজে বের করা হবে।
বিশ্বজুড়ে সচেতনতা তৈরি : পরিবেশগত আন্দোলন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতে সাহায্য করতে পারে। পানি সঙ্কটের গুরুতর প্রভাব এবং নদী ব্যবস্থাপনায় ভারতের একতরফা কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বাংলাদেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা যেতে পারে।
পরিবেশ বিপর্যয়ের কিছু দিক
পরিবেশগত প্রভাব : বাঁধ নির্মাণ এবং নদী ব্যবস্থাপনায় একতরফা হস্তক্ষেপের ফলে পরিবেশগত ভারসাম্য গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
১. নদীর প্রবাহ ও পানির পরিমাণে পরিবর্তন : বাঁধের ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে। তিস্তার ক্ষেত্রে, ভারতের বাঁধ নির্মাণ ও পানি সংরক্ষণের কারণে বাংলাদেশের অংশে পানির প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। বর্ষাকালে ভারত তিস্তা ব্যারাজ সম্পূর্ণ খুলে দেয়, আকস্মিক বন্যার পানি বৃদ্ধি পায়, যা স্থানীয় জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
২. জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি : নদীর প্রবাহে বাধা তৈরি হলে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর প্রজনন ব্যাহত হয়। এটি স্থানীয় পেশাজীবী ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর। পানি কমে যাওয়ায় নদী ও তার আশপাশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে ।
৩. কৃষি ও মাটির উর্বরতা হ্রাস : সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষত তিস্তা অববাহিকায় কৃষিকার্যক্রমে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। নদীর স্বাভাবিক বন্যা চক্র না থাকায় পলি জমা কমে যায়, যা মাটির উর্বরতা কমিয়ে দেয়।
৪. পানির মানের অবনতি : পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় দূষণ জমতে শুরু করে, কারণ নদীর পানির পুনর্জীবন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। এটি মানব স্বাস্থ্য ও কৃষি উভয়ের জন্য বিপজ্জনক।
৫. জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে আন্তঃসম্পর্ক : নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পরিবর্তিত হলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আরো তীব্র হয়ে পানিসঙ্কট এবং খরার মতো সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে।
উপসংহার : ভারতের বাঁধ এবং সীমান্ত অবকাঠামো নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য বড় কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে কোটি কোটি লোক কর্মসংস্থান হারিয়েছে এবং উত্তরাঞ্চল সব সময় মঙ্গাতে থাকে। বাংলাদেশের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যেখানে কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক : সিনিয়র ফেলো, এসআইপিজি, নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি
e-mail : [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা