যেসব বিচার হতে দেয়নি আওয়ামী লীগ
- জিয়া আহমদ, এনডিসি
- ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২১:০০
১. ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম তার চার সঙ্গীসহ একটি মামলার হাজিরা শেষে বাসায় ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডের র্যাব চেকপোস্ট থেকে অপহৃত হন। অপহরণের ঘটনা দেখে ফেলায় সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালককেও অপহরণ করা হয়। অপহরণের তিন দিন পরে শীতলক্ষ্যা নদীতে নজরুল ইসলামের লাশ ভেসে উঠলে ঘটনাটি সবার নজরে আসে।
অপহরণের পরদিন নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। অপহৃত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল আরেকটি মামলা করেন।
কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের সাথে আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনের দ্ব›দ্ব অনেক পুরনো। তাদের দ্ব›দ্ব মূলত এলাকার প্রভাব ও নানা ছোটখাটো ব্যবসায় নিয়ে। এই দ্ব›দ্ব আরো বেড়ে যায় যখন নজরুল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ‘প্যানেল মেয়র’ পদের নির্বাচনে নূর হোসেনকে মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। এ ছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় নূর হোসেনের মাদক ব্যবসায়ের পথে বড় বাধা ছিলেন জনপ্রিয় কাউন্সিলর নজরুল। কিন্তু পেশা ও নেশায় সন্ত্রাসী নূর হোসেন কিছুতেই নজরুলকে কাবু করতে পারছিলেন না তার সতর্কতা ও জনপ্রিয়তার কারণে। এ অবস্থায় নূর হোসেন র্যাবের দ্বারস্থ হলেন তার পথের কাঁটা নজরুলকে সরিয়ে দেয়ার জন্য।
দেশের সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর চৌকস সদস্যদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা এলিট বাহিনী ‘র্যাব’ সরকারের ভিন্নমত দমন ও সন্ত্রাস নির্মূলে ‘খুনে বাহিনী’ হিসেবে দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি পেলেও এই বাহিনীর নৈতিকতাও যে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল, তা প্রমাণ হলো এই নজরুল অপহরণ ও পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে। নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলামের বক্তব্য অনুযায়ী, র্যাব-১১-এর কর্মকর্তারা ছয় কোটি টাকার কন্ট্রাক্টে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। এখানে বলা অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে, র্যাবে-১১ এর অধিনায়ক লেফট্যানেট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ছিলেন তৎকালীন ত্রাণ ও খাদ্যমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা। দেশের অর্থে প্রতিপালিত একটি সুশৃঙ্খল ও তথাকথিত এলিট বাহিনী যে ‘ভাড়াটে খুনিতে’ পরিণত হতে পারে, তা এর আগে আর কখনো দেখা যায়নি। বস্তুত বিরুদ্ধ মত দমনে যথেচ্ছ ব্যবহার, মন্ত্রী শ্বশুরের প্রভাব এবং জবাবদিহির অভাবই র্যাব-১১-এর এই অধঃপতনের কারণ।
১৭ মে পুলিশের ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ র্যাবের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে। তার আগে এদেরকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ৮ এপ্রিল ২০১৫ অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পরে নূর হোসেন, বরখাস্তকৃত লে. কর্নেল তারেকসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। নিম্ন-আদালত জানুয়ারি ১৬, ২০১৭ তারিখ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও অন্য ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়। পরে হাইকোর্ট ডিভিশনে আপিল করলে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে; এছাড়া ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অবশিষ্ট ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের তিন বছরের মধ্যে হাইকোর্টে এই মামলার নিষ্পত্তি হলেও গত সাত বছর ধরে মামলাটি আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে।
২. গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন গত মে ১১, ২০২০ রহস্যজনকভাবে খুন হন। তিনি ওই দিন সকালে অফিস যাওয়ার জন্য করপোরেশনের গাড়িতে রওনা দিলেও আর অফিস পৌঁছাতে পারেননি। রাস্তার ধার থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেলোয়ারের লাশ উদ্ধারের পর তার স্ত্রী খোদেজা আক্তার ‘তুরাগ থানায়’ একটি হত্যা মামলা করেন।
বুয়েট থেকে ১৯৯৪ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর দেলোয়ার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। বুয়েট গ্রাজুয়েটরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যেখানে বিদেশে পাড়ি দেন, ব্যতিক্রমী দেলোয়ার দেশকে ভালোবেসে দেশেই তার ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সিটি করপোরেশনে চাকরি শুরু করেন। ২০১৫ সালে তাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে বদলি করা হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়, যার মূল তদারকির দায়িত্ব দেলোয়ারের ওপর বর্তায়। অত্যন্ত সৎ ও নির্ভীক দেলোয়ার তার কাজের মানের ক্ষেত্রে আপসহীন ছিলেন। তার কর্মকালে তিনি গাজীপুর অঞ্চলে সিটি করপোরেশনের বিশাল পরিমাণ জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করেন। তিনি কর্মরত থাকা অবস্থায় ওই এলাকার প্রভাবশালী ঠিকাদাররা কাজ না করেই বিল নেয়ার চেষ্টা করলে প্রকৌশলী দেলোয়ারের বাধার মুখে তা করতে ব্যর্থ হয়। ২০১৯ সালের মে-জুলাই সময়কালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৪ জন কর্মচারী বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার কারণে বরখাস্ত, সাময়িক বরখাস্ত ও কৈফিয়ত তলবের সম্মুখীন হন, যার পেছনে দেলোয়ারের মুখ্য ভ‚মিকা ছিল। পরে এই দুর্বৃত্ত ঠিকাদার ও কর্মচারীদের তদবিরে দেলোয়ারকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়। পরে ফেব্রæয়ারি ২০২০-এ দেলোয়ারকে কোনাবাড়ি অঞ্চলের দায়িত্ব দিয়ে পুনর্বহাল করা হয় এবং তাকে হত্যার নীলনকশা প্রণয়ন করা হয়।
তিনি প্রতিদিন যে গাড়িতে অফিস যেতেন, ঘটনার দিন তাকে অফিসে নেয়ার জন্য ভিন্ন একটি গাড়ি আসে, যার ড্রাইভারও ছিল তার অপরিচিত। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র জাহাঙ্গীর মেয়র হওয়ার আগে স্বনামে ও বেনামে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ঠিকাদারির কাজ করতেন। তিনি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তার কলেজ জীবনের সহপাঠী মনিরুলকে তার কাজ সুপারভিশনের দায়িত্ব দেন। গোপালগঞ্জের অধিবাসী মনিরুল সিটি করপোরেশনে একজন কর্মকর্তার মতো চলাফেরা ও আচরণ করতেন এবং মেয়র জাহাঙ্গীরের পক্ষে সব ধরনের কাজ পরিদর্শন করতেন। দেলোয়ার হত্যাকাণ্ডের পর মনিরুল দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল। দেলোয়ারের পরিবারের দাবি অনুযায়ী মনিরুলসহ যে তিনজনকে তারা এই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত বলে সন্দেহ করেন, তাদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদই করেনি। ১৪ অক্টোবর, ২০২০-এ প্রকাশিত ‘দৈনিক প্রথম আলো’র এক রিপোর্টে পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়, তারা দেলোয়ার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। দেলোয়ারের মতো একজন সম্মানিত মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে অনেক উপরতলার মানুষ। সাধারণ মানুষের এমনটাই বিশ্বাস।
এই প্রেক্ষাপটে গত মে ২০২৩ সালে বিচারক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী সেলিম (যিনি হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক), ড্রাইভার হাবিব ও কথিত খুনি শাহীন হাওলাদারের বিরুদ্ধে প্রকৌশলী দেলোয়ার হত্যার অভিযোগে চার্জ গঠন করেন। স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেয়া যায় যে, এটি একটি সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করার প্রয়াস।
৩. জুলাই ৩১, ২০২০ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে রাত ৯টার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান অত্যন্ত চৌকস সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। তার যোগ্যতা ও দক্ষতার কারণে তাকে প্রেষণে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সে পদায়ন করা হয়। সে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৮ সালে নিজ উদ্যোগে সৃজনশীল ব্যবসায় করার জন্য তিনি সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছা অবসর নেন। ২০২০ সালের জুলাই মাসে তিনি টেলি-ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য কক্সবাজার যান, সাথে তিনি নিয়ে যান আরো তিনজন সহকারীকে। ঘটনার দিন টেকনাফ অঞ্চলে সারাদিন কাজ করে কক্সবাজার ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী তার গাড়ি থামাতে আদেশ দেন। মেজর (অব:) সিনহা গাড়ি থামিয়ে হাত উঁচু করে গাড়ি থেকে বের হওয়া মাত্র ইন্সপেক্টর লিয়াকত পরপর আট রাউন্ড গুলি করেন। এতে সিনহা পড়ে যান; তারপর তিনি ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাসকে টেলিফোন করে ডেকে আনেন। ওসি প্রদীপ কুমার দাস এসে নিজ হাতে মেজর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
ওসি প্রদীপ ওই এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায় পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই ব্যবসার কারণেই ওই থানায় দুই বছর কর্মকালে ওসি প্রদীপ ৮৭ জন মানুষকে তথাকথিত ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করেন। মেজর (অব:) সিনহাকে হত্যা করার পর তারা গতানুগতিক ধারায় পুলিশ এনকাউন্টারের গল্প সাজানোর চেষ্টা করেন। তারা মেজর (অব:) সিনহার সহকর্মী ‘সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে’ আসামি করে হত্যা ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন। সিনহার অন্য সহকর্মী ‘শিপ্রা দেবনাথের’ বিরুদ্ধে তার কাছে ও তার কক্ষে মদ পাওয়া গেছে মর্মে মামলা দায়ের করে। ওসি প্রদীপ ভেবেছিল যে, অন্য ৮৭টি কেসের মতো এটিও ধামাচাপা পড়ে যাবে। কিন্তু মেজর (অব:) সিনহার ব্যাকগ্রাউন্ড, তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সংযোগের জন্য বিষয়টি সবার নজরে চলে আসে। সেনাবাহিনীতে কর্মরত সিনহার সহকর্মীসহ অন্যান্যরা এটি মেনে নিতে পারেননি। এছাড়া খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দেশের সাধারণ জনগণও বিষয়টিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তাদের সম্মিলিত চাপে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২ আগস্ট চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ১২ আগস্ট, ২০২০ তারিখে সরেজমিন ঘটনার স্থান পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দী নেন। এর মধ্যেই নিহত মেজর (অব:) সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ৫ আগস্ট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানির পর বিচারক গত ৩১ জানুয়ারি ২০২২ জনাকীর্ণ আদালতে মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ ও ইন্সপেক্টর লিয়াকতকে ফাঁসি ও ছয়জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। এরপর ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকতের পক্ষ থেকে এবং সরকারের তরফ হতে আপিল আবেদন করা হয় হাইকোর্টে। এই আপিল দায়েরের পর দুই বছর সময় পার হয়ে গেলেও এখনো কোনো শুনানি হয়নি।
এই তিনটি মামলা ‘কেসস্টাডি’ মাত্র। এ রকম আরো হাজার হাজার ঘটনা ঘটেছে যেখানে আওয়ামী পুলিশ, র্যাব ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বহু সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। অনেক ক্ষেত্রে মামলাই রজু হয়নি আর যেসব ক্ষেত্রে মামলা হয়েছে, তার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মামলাগুলো হয় ধামাচাপা পড়ে গেছে নয়তো আদালতেই ঝুলে আছে বছরের পর বছর। খুনি সমর্থকদের বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগ এই নীতি গ্রহণ করেছিল। বর্তমানে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারকে এই মামলাগুলোর প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পুনঃতদন্ত করতে হবে (যেমন- প্রকৌশলী দেলোয়ার হত্যা মামলা); অন্যান্য ক্ষেত্রে দ্রুত আপিল শুনানি করে রায় কার্যকরের ব্যবস্থা নিতে হবে। আওয়ামী লীগের আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রে কখন কোনো খুনি লক্ষীপুরের গডফাদার তাহেরের ছেলে বিপ্লব, জোসেফ-হারিস বা পুরান ঢাকার দরিদ্র দর্জি বিশ্বজিতের খুনিদের মতো আবার মুক্ত হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করে ফেলে, তা বলা মুশকিল। আমরা এত রক্ত দিয়ে এই গণ আন্দোলন সফল করার পর তা আর হতে দিতে পারি না।
লেখক : সাবেক সরকারি কর্মচারী, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা