স্বৈরতন্ত্র ফেরানোর অপকৌশল
- খন্দকার হাসনাত করিম
- ২০ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৩৯
দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখনো অনিশ্চিত। নির্বাচনের রোডম্যাপ এখনো তৈরি হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার সংস্কার। এ জন্য বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদরা নির্বাচনের ওপর পূর্বাপর গুরুত্বারোপ করে আসছেন। এরই মধ্যে সংবিধান সংস্কারের গণদাবি দিনকে দিন প্রবল হয়ে উঠছে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রস্তাব এমতাবস্থায় একটি নতুন দিক বা অভিমুখ উন্মোচন করেছে, যা সমর্থন করেছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, সিপিবি, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের সাথে আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এটা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ যে, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনীব্যবস্থার আগাগোড়া বিরোধিতা করে আসছে দেশের একটি বৃহত্তম দল বিএনপি, রাজনৈতিক ভাষ্যকার বøগার-ইনফ্লুয়েন্সারদের একটি বড় অংশ।
আনুপাতিক নির্বাচনীব্যবস্থায় রাজনীতির অংশীজনদের (স্টেকহোল্ডার) দলীয় হিসাব-নিকাশ এবং রাজনৈতিক ‘পাটিগণিত’ অবশ্যই নেপথ্যে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। যে দেশগুলোর সাধ অসীম; কিন্তু সাধ্য প্রশ্নবিদ্ধ, তারাই চাচ্ছেন এটা। কোনো দাবি বা প্রস্তাব কে করছে, কোন স্বার্থে করছে এবং এর নতিজা কেমন কী হবে, রাজনৈতিক গবেষক-ভাষ্যকারদের সেটিই ভাবিয়ে তুলেছে। অন্যতম একটি প্রধান বিবেচনা তো এটাই, দেশে আদৌ ব্রিটিশ ক্যাবিনেট পদ্ধতির ‘ওয়েস্টমিনস্টার’ ধরনের শাসনব্যবস্থা হবে নাকি শক্তিশালী নির্বাহী ক্ষমতার প্রতীক যুক্তরাষ্ট্র বা ফরাসি প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার হবে, এই সাংবিধানিক প্রশ্নটি। আমাদের দেশ যে ৩০০ শাসকসংবলিত বিধান সভা বা আইন সভা কাঠামোর জন্য উপযুক্ত নয় সেটি বিগত ৪৩ বছরে তো পর্যাপ্তভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কার্যত দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই অর্থাৎ ১৯৭৫ থেকেই রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা চালু ছিল। ‘এক মাথা এক ভোট’ এই ব্যবস্থা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের জন্য অনুপযোগী পার্লামেন্টারি পদ্ধতিতে এসেছিলেন। কিন্তু বিএনপির নীতি ছিল রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থা। সংসদীয় পদ্ধতির দাবি ছিল আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী ঘরানার রাজনীতির। মূলে এই সংসদীয় ব্যবস্থার কারণেই আজ আনুপাতিক বা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রসঙ্গটা উঠছে, যার মধ্য দিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক সর্বজনীন ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং সুফল অর্জনের সম্ভাবনা রাজনৈতিক পাটিগণিতের ফাঁদে আটকা পড়ার সমূহ শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। যদি এটা হয় তাহলে আমরা আবার আধিপত্যবাদ ও স্বৈরাচার কর্তৃক অধিকারহারা হবো।
আনুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থায় জনগণের সরাসরি ভোটে কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হবে না। কোনো একটি দল যদি ৪০ শতাংশ ভোট পায় তাহলে সংসদে সেই দলের আসনসংখ্যা হবে ১০০ আসনের মধ্যে ৪০টি। এই হিসাব ধরে আগামী নির্বাচনে বিএনপির আসন কমবে। আওয়ামী লীগের কথা বলা যাচ্ছে না। কেননা গণদাবি রয়েছে স্বৈরাচারী এই খুনি দলটি নিষিদ্ধ করা হোক। তবে মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে যে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে নাৎসি পার্টির মতো নিষিদ্ধ করার মতো রাজনৈতিক অঙ্গীকার রাখে না। নব্বই দশক থেকে সংসদীয় পদ্ধতি প্রবর্তনের পর থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘেঁটে দেখলে দেখা যাবে প্রধান দুটো বড় দল তাদের ভোটের তুলনায় আসন লাভ করেছে বেশি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৩০.৮১ শতাংশ।
অন্যদিকে শাসক দল আওয়ামী লীগও প্রায় সমহারে (৩০.০৮ শতাংশ) ভোট পায়। কিন্তু বিএনপি জয়ী হয় ১৪০টি আর আওয়ামী লীগ ৯৩টি আসন পায়। ১৯৯৬-এর ভোটে আওয়ামী লীগ ৩৭.৬১ শতাংশ ভোট পেলেও আসন পায় ১১৬টি। ২০০১ সালের ভোটেও দুই বড় দলের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল প্রায় সমান সমান। বিএনপি ৪০.৮৬ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ৪০.২১ শতাংশ। কিন্তু ভোটে জয়ী বিএনপি পায় প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আসন (১৯৩টি আসন)। আওয়ামী লীগ পায় ৬২টি আসন। আনুপাতিক নির্বাচন হলে দুই দল মিলিয়ে এতগুলো আসন পেত না, এটি নিশ্চিত করে বলা যায়।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে আর যাই হোক মানুষের নির্বাচনী ম্যান্ডেটের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে না। সংসদীয় শাসনব্যবস্থার সূতিকাগার খোদ যুক্তরাজ্যেই এই আনুপাতিক ভোটের ব্যাপারে কঠিন সমালোচনা হচ্ছে। ওরা এটাকে বলে Proportional Representation (বা আনুপাতিক জনপ্রতিনিধিত্ব)। এটি যখন ভোটের প্রত্যক্ষ প্রতিফলন নয়, তাহলে পরোক্ষ ভোটের মার্কিন বা ফরাসি ব্যবস্থায় দোষ কী? এই যে হাজার হাজার কোটি টাকার নির্বাচনীব্যবস্থা, তার প্রভাব পড়ে চাঁদাবাজি, কালোবাজারি, ঘুষ, উৎকোচ, মস্তান পালা, প্রশাসনকে খুশি করা, মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থপ্রবাহের ওপর। এ থেকে দরিদ্র দেশটির ততোধিক দরিদ্র জনগণকে মুক্তি দেয়া যায়। খুন খারাবি থেকেও মানুষকে নাজাত দেয়া যায়। ব্রিটিশরা এটা করে যাতে ক্ষুদ্র দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশি সংখ্যায় আইন পরিষদে আসতে পারে। যাতে ঝুলন্ত আইন সভার ঝুঁকি কমানো যায়।
ব্রিটিশদের যুক্তি বাংলাদেশের জন্য আদৌ প্রযোজ্য নয়। তারা আনুপাতিক ভোটব্যবস্থায় ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি, ভোট ব্যাংক দুর্বল করা এবং ভোটের ব্যাপারে জনগণের উদাসীনতা কাটিয়ে তোলার যুক্তি ব্যবহার করে। কিন্তু এ দেশে ভোটারের ক্রম-নিম্নগতি, ভোটের মাঠে গরু চরানো, প্রিসাইডিং অফিসারদের ঘুমানোর ব্যাপারটার নেপথ্যে ছিল স্বৈরাচারের অধীনে জাল ভোটার, ভোট ক্রয় এবং ভোটদানে বাধ্য করার হিংস্র অসাধুতা ও শঠতা। ওই শাসনামলে মানুষ নিরাপদে ভোট দিতে পারবে না এবং ভোট কারচুপি, অর্থাৎ আজকের ভোট গত রাতেই ভোট বাক্স ভর্তি হবার মতো নির্লজ্জ ডাকাতির কারণেই ভোটদানে বিরত থেকেছে। আনুপাতিক ভোটের সমালোচনায় ব্রিটিশ গবেষকরা বলেছেন, এই পদ্ধতি নৈরাজ্যবাদী দলগুলো রাজনীতির মূল প্রবাহে অংশ নেয়ার হাতিয়ার হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতি দুর্বল কোয়ালিশনকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয় শক্তিশালী বিরোধী দলের পরিবর্তে এমন সব গৌণ ও অযোগ্য প্রার্থীদের জেতার পথ করে দেয় যা, তাদের ভাষায়,Legislative Paralysis-এ পর্যবসিত হয়। এই পদ্ধতি প্রার্থীদের নিজস্ব নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে জবাবদিহিতা থেকে অনেকখানি অব্যাহতি দেয় এবং নির্বাচিত প্রার্থী ও তার নির্বাচকমণ্ডলীর মধ্যকার সম্পর্ককে অপ্রাসঙ্গিক এবং নিরর্থক করে তোলে। এরকম আরো অনেক যুক্তিতে তার আনুপাতিক ভোটব্যবস্থার বিপক্ষে। আমরা যেখানে অতি নগণ্য ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থে এই কপট ব্যবস্থা প্রত্যাবর্তনের সুপারিশ করছি। এই দাবিটি বাংলাদেশের নাস্তিকদের দুর্গ সিপিবির থেকে আসায় আমাদের সন্দেহটা পয়লা প্রহর থেকেই মনে জাগে। তাই এতগুলো কথা বলা।
ধরুন, কোনো আসনে আলাদাভাবে যারা জিততে পারছে না, তারা যদি সব মিলিয়ে ১ শতাংশ ভোটও পায় তাতেও তারা তিনটি আসনের দাবিদার হবে। যদি ০.৫ শতাংশ (বা আধা শতাংশ) ভোট পায় তাতেই তারা একটি আসন দাবি করবে। ছোট ছোট দলগুলোর জন্য এ হলো এক মহার্ঘ্য ব্যবস্থা।
যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের আরো কয়েকটা দেশে এ ব্যবস্থা আছে। এটিকেই পরিহাস করে বলতে ইচ্ছা করে এই গাণিতিক ব্যবস্থা May not be national, but is rational. আনুপাতিক ভোটপদ্ধতির এই দাবি প্রথম তোলে সিপিবি। এরপর এই দাবিতে সুর মেলায় যাবতীয় Nuisance Value বিশিষ্ট জি এম কাদেরের জাতীয় পার্টি অনুবিভাগ বা খারিজি জাতীয় পার্টি। একই সাথে কণ্ঠ মিলিয়েছে চরমোনাই। এবার কণ্ঠ মিলালো জামায়াত। এই দলের আমির আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা দেন। কথাটা শুনে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলাম। জামায়াতে ইসলামীর নীতি, সততা এবং অসাধারণ সৌজন্য ও বিনয়ের যারা অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন তারা অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন এই ‘ক্ষমা ঘোষণার’ ঘটনায়। অনেক প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ মানুষকেও বলতে শুনেছি, নৌকা-ধানের শীষ-লাঙ্গলে তো অনেকবার ভোট দিলাম, এবার ভোট হলে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবো। এ দলটি নীতি আদর্শ নিয়ে চলে, এরা মত এবং লেখাপড়া করে রাজনীতি করা দল। এবার সিপিবি-জাতীয় পার্টি-চরমোনাইয়ের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলছেন আনুপাতিক ভোটব্যবস্থার কথা!
সংখ্যানুপাতিক ভোটব্যবস্থাটা হলো বাংলাদেশের শত্রুরাষ্ট্র আধিপত্যবাদী ভারতীয় চাণক্যদের এক সুপরিকল্পিত ফাঁদ বা ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল শক্তিশালী দল না থাকে এবং আওয়ামী লীগ যেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসে এ দুটোই হলো ভারতের সেই ষড়যন্ত্র এবং এক ঢিলে এই দুই পাখিই মারতে মোক্ষম কাজ করবে এই আলোচ্য আনুপাতিক নির্বাচনীব্যবস্থা। ধরুন আগামী নির্বাচনে বিএনপি কিংবা জামায়াত যদি ৩০০ আসনেই এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, অপর দিকে অন্য দলগুলো যদি জোট গঠন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সে ক্ষেত্রে বিএনপি পরাজিত হতেও পারে। কারণ ওই জোট আওয়ামী লীগে ভোট ব্যাংকের ফায়দা পুরোপুরি লাভ করবে। সংসদে অধিকাংশ আসনই তারা দাবি করবে। এর বিপরীতে বিএনপি এবং জামায়াত যদি ২০০১ সালের মতো যুক্তভাবে জোট গঠন করে, সে ক্ষেত্রে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সম্পর্কে সন্দেহের কোনো অবকাশ থাকবে না। তৃতীয় অপশনে যদি বিএনপি ও জামায়াত দুই দলই তাদের সমমনা দলগুলোকে সাথে নিয়ে দু’টি জোট গঠন করে, তাহলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট জামায়াত বা ছোট ছোট দলগুলো নিয়ে গঠিতব্য তৃতীয় জোটকে আসন সংখ্যায় হারিয়ে দিতে পারে, এমনকি তৃতীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত স্বৈরাচারের ভোটব্যাংক থাকা সত্ত্বেও। এই তিন জোটের নির্বাচনী লড়াইতে আওয়ামী বিরোধী ভোট প্রায় পুরোটাই যাবে বিএনপি জোটের ভোট বাক্সে। এই সুবিধাজনক অবস্থায় বিএনপির বিজয় এবং সরকার গঠন এক প্রকার অবধারিত।
১৯৯১ সালের ভোটে আওয়ামী লীগসহ তাদের আট দলীয় জোট এবং বিএনপির সাথে থাকা সম্মিলিত জোট পেয়েছিল মোট পড়া ভোটের ৬১ শতাংশ। যখন ১৯৯৬ সালে এই ভোটের পরিমাণ বেড়ে হলো ৭১ শতাংশ এবং ২০০১ সালেও সেই ৭১ শতাংশ ভোটই পড়েছিল। এ থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশে আমেরিকার মতো দুই দল কেন্দ্রিক (বাইপার্টিজান) পদ্ধতির দিকেই এগুচ্ছিল। এখন বিপ্লব-পরবর্তী রাজনীতির নতুন বিন্যাসে সেই দুই দল বা দুই মেরুভিত্তিক গণিত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। প্রস্তাবিত আনুপাতিক ভোটব্যবস্থা অনুসরণ করলে ঝুলন্ত সংসদে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বেজায় মার খাবে। কোয়ালিশনের মধ্যে বাড়বে প্রতিযোগিতা এবং এর পরিপূর্ণ সুযোগ বা ফায়দা লুটবে পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ ও তাদের সীমান্ত পাড়ের প্রভুরা। কেননা আনুপাতিক ভোটের হিসাবে ছদ্মাবরণে থাকা স্বৈরাচারী দলটির ৮৫ থেকে ৯০টি সংসদীয় আসন এবং স্বতন্ত্রদের নিয়ে শতাধিক আসনে অপশক্তি প্রধান বিরোধী সংসদীয় আসনে জাঁকিয়ে বসবে। সরকারকে কাজ করতেই দেবে না। সংস্কার ও নতুন গণমুখী আইন প্রণয়নকে পদে পদে বাধা দেবে আর নতুন বাস্তবতায় নির্বাচিত প্রধান দল ও জোটকে নাস্তানাবুদ করাই তো পতিত স্বৈরাচারের পহেলা নম্বর দিল মকসুদ। সেই অর্থে আনুপাতিক ভোটের প্রস্তাব একটি চমৎকার ফন্দি, যা দ্বারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার সংসদীয় প্রকৌশলের ছকপট সাজানো হয়েছে।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট
hasnatkarimpintu@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা