জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : প্রেক্ষাপট ও অতঃপর
- শায়রুল কবির খান
- ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:১২
সময়টি ছিল ১৯৭০ সাল। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। কথা ছিল পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু সেটি হলো না। যা হয়েছিল তা কল্পনাতীত। ভোটের অধিকার দমন করল পাকিস্তান সামরিক বাহিনী। স্বাধীন দেশের পূর্বাঞ্চলে -আজকের বাংলাদেশে- নাগরিকদের ওপর নির্মম গণহত্যা শুরু হলো। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। সেদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। হেলিকপ্টারে তারা দেশের অন্যান্য সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসেন।
ঢাকার ইপিআর সদরদফতর পিলখানায় থাকা ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার কয়েকটি স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা সদর দফতর, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, নীলক্ষেত ও দৈনিক ইত্তেফাকসহ ঢাকার প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আক্রমণ করে। এরপর তারা ট্যাংক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখলে নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাংক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় আলোকিত হয়ে ওঠে রাতের নগরী, যা পরে পরিণত হয় গণহত্যায়।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজির জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গ্রন্থে এর বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সব ব্যবস্থা চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ছেড়ে করাচি চলে যান।
মধ্যরাতে সেনা অভিযান শুরুর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের বাসায় যান তাজউদ্দীন আহমদ, ড. কামাল হোসেনসহ তখনকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা। তারা স্বাধীনতার ঘোষণাসংক্রান্ত কোনো লিখিত বক্তব্য কিংবা অডিও বক্তব্য তৈরি করে নিতে চাইলেন। কিন্তু তিনি তা দেননি।
১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত সারাদেশে স্বাধীনতার আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে ধাবিত হতে থাকে। বিশেষ করে ১ মার্চ জাতীয় সংসদ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণায় ঢাকা স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা বন্ধ হয়ে যায়। শহরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। ৩ মার্চ রঙিন ‘স্বাধীনতার পতাকা’ উত্তলন করেন ছাত্রনেতা আ স ম রব। ৪ মার্চ স্বাধীনতা ইশতেহার পাঠ করেন ছাত্রনেতা শাহজাহান সিরাজ। ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণে দেবেন। চারদিকে প্রচার হতে থাকল যে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন। লাখ জনতা তার ভাষণ শুনতে ছুটে আসেন। উৎসুক জনতা নেতার ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনতে পাননি। ভাষণটি পরের দিন পাকিস্তান বেতারেও সম্পূর্ণ প্রচার করা হয়। ১৪ মার্চ জুলফিকার আলী ভুট্টা ঢাকায় আসেন। ১৫ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আসেন। তিনি আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ও পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টাসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। ২৪ মার্চ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বৈঠক চলে। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর এই বৈঠকের আড়ালেই অপারেশন সার্চ লাইট চূড়ান্ত করে। পরে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাক বাহিনী চালায় গণহত্যা। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। আওয়ামী লীগ নেতারা পলায়ন করেন। সাধারণ মানুষ হয়ে পড়ে দিশেহারা। শহরে আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলছে। এহেন পরিস্থিতিতে নিজ কর্তব্য পালন করলেন মেজর জিয়াউর রহমান। জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণে জীবন ও পরিবারকে উৎসর্গ করে প্রথমে ‘উই রিভল্ট’ এবং এরপর চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তিনি। তিনি বেতারকেন্দ্র থেকে বলেন, ‘আমি মেজর জিয়া বলছি। আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ ঘোষণা করছি।' এরপর তিনি মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সামরিক কর্মকর্তা জানজুয়ারসহ তার নিয়ন্ত্রণে সবাইকে গ্রেফতার করেন।
মুক্তিযুদ্ধে প্রথম ব্রিগেড কমান্ডার ‘জেড ফোর্স’ এবং ১ নম্বর ও ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন জিয়াউর রহমান। এরপর রংপুর অঞ্চলে প্রথম ৫০০ বর্গ মাইল স্বাধীন ভূখণ্ড ঘোষণা করে বেসরকারি প্রশাসনিক কাঠামো শুরু করেন। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে পূর্ব পাকিস্তান। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।
১৯৭১ সালের ১৯ ডিসেম্বর পাকিস্তান কারাগার থেকে শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পান। তিনি বৃটেন ও ভারত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আসেন ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সাল। ১২ জানুয়ারি প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে বাদ দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হোন। এরপরের ইতিহাস অনেকই জানেন। দ্রুতই নাগরিকদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ক্রমাগত দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে থাকে। দুর্নীতি, লুটপাট, হত্যা, হামলা-মামলা, গ্রেফতার, ভোট কারচুপি, চারদিকে সীমাহীন অরাজকতা শুরু হয়। এভাবেই দেশ টালমাটাল অবস্থায় চলতে থাকে। ১৯৭৪ সালে দেখা দেয় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। প্রতিষ্ঠিত হয় একদলীয় শাসন বাকশাল। মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়। পরে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ পটপরিবর্তন হয়।
৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি পর্ব আলোচনার আগে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তন নিয়ে কিছুটা আলোকপাত দরকার। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশটির রাষ্ট্রনৈতিক অবস্থানে বিশাল পরিবর্তন আসে। বছরটি ছিল ১৯৭৫ সাল। এ বছর আগস্টের ১৫ তারিখ এক সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। এতে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। আগস্টের ১৫ তারিখে পটপরিবর্তনে বাংলাদেশের রেডিও থেকে মেজর ডালিম ঘোষণা করেন, খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে। রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হয়েছেন। ’৭৫-এর পটপরিবর্তনের ফলে দেশের রাজনীতিতে বাঁক বদল হয়।
’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে পটপরিবর্তন ঘটে, তাকে অনেকটা ব্রহ্মপুত্র নদীর খাত পরিবর্তনের সাথে তুলন করা যেতে পারে। ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পে ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাদেশে যমুনা নামে পরিচিত হতে শুরু করে। ব্রহ্মপুত্র নদের পুরোনো খাতটি ময়মনসিংহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতো। পরে খাত পরিবর্তনের কারণে ময়মনসিংহের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদের অংশটি মৃত্যুবরণ করে। এত পানির প্রবাহ শূন্যের কোঠায় চলে যায়। নদীটির নামকরণ করা হয় পুরোনো ব্রহ্মপুত্র। নিঃসন্দেহে ব্রহ্মপুত্র নদের খাত পরিবর্তন শক্তিশালী ভূমিকম্প না হলে হতো না।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পের মতোই বিশাল পরিবর্তনের সূচনা করেছিল। ১৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের ফলে ‘এক নেতা এক দেশ’ স্লোগানের মৃত্যু ঘটে। প্রায় তিন মাসের মাথায় ১৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ সামরিক ক্যু’র ঘূর্ণাবর্তে পড়ে যায়। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ তার অনুগতদের নিয়ে ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে আরেকটি অভ্যুত্থান ঘটায়। পরে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে বন্দি করা হয়।
ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ নিজে নিজেই মেজর জেনারেলে উন্নীত হন। পরে তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তাকে নৌবাহিনী প্রধান এম এইচ খান ও বিমানবাহিনী প্রধান এম জি তাওয়াব মেজর জেনারেলের র্যাংকব্যাজ পরিয়ে দেন। প্রায় একই সময়ে বঙ্গভবনে বসে খালেদ মোশাররফ প্রয়াত সাংবাদিক এনায়েত উল্লাহ খান থেকে টেলিফোনে জানতে পারেন, তার মা ও ভাই আওয়ামী লীগের মিছিলে যোগ দিয়েছেন। এতে তিনি অত্যন্ত বিচলিত হয়ে বলতে থাকেন, আমার মা ও ভাই আমার সর্বনাশ করে দিয়েছে। ওই সময় জনগণের দৃষ্টিতে আওয়ামী লীগ ছিল দেশদ্রোহীর দল।
সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ এস এম সায়েম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে বেতার ও টেলিভিশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি সায়েম। তিনি দেশবাসীকে জানান, সংসদ ভেঙে দেয়া হয়েছে। এতেও খালেদ মোশাররফের শেষ রক্ষা হয়নি। ৬ নভেম্বর মধ্যরাতে ক্যান্টনমেন্টে জওয়ানরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তারা দলে দলে অস্ত্রসজ্জিত হয়ে ঢাকার রাজপথে নেমে আসে। রাজপথে ট্যাংক ও কামানসজ্জিত হয়ে বিদ্রোহী সিপাহিরা বিপ্লবের স্লোগান দিতে থাকে। তারা স্লোগান দিচ্ছিল, ‘সিপাহি বিপ্লব জিন্দাবাদ, জিয়াউর রহমান জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’
রাজপথে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে সিপাহি বিপ্লবের সমর্থনে সংহতি প্রকাশ করে। এ অভ্যুত্থানকে চিহ্নিত করা হলো সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতিরূপে। জিয়াউর রহমানকে খালেদ মোশাররফের বন্দিশালা থেকে সৈনিকরা মুক্ত করে আনল। সূচিত হলো বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়।
জিয়াউর রহমান বন্দি হয়েছেন জেনে সাধারণ মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিল। ৩ থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে কোনো রকমের সরকার আছে কিনা, তা নিয়ে দারুণ উৎকণ্ঠায় পড়ে গেল সাধারণ মানুষ। এ থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশের জনগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন। দেশকে তারা কত ভালোবাসেন। সেনা প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্ত হয়ে জাতির উদ্দেশে একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিলেন।
তিনি জনগণের প্রতি শান্ত থাকার আহ্বান জানালেন। সেনাবাহিনী আপনাদের পাশে আছে। আপনারা নিজ নিজ কাজে যোগদান করুন। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
জিয়াউর রহমান সাহস ও ধৈর্যের সাথে সিপাহীদের ধ্বংসাত্মক পথ থেকে নিরস্ত্র করতে সক্ষম হলেন। সেনাবাহিনীতে নিয়ম-শৃঙ্খলা ফিরে এলো। জিয়াউর রহমান যদি সেনাবাহিনীতে নিয়ম-শৃঙ্খলা উদ্ধারে সফল না হতেন, তাহলে বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার শঙ্কা থেকে যেতো।
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। এই দিন বাংলাদেশের জনগণ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র শপথ গ্রহণ করে। জিয়াউর রহমানের মতো ব্যক্তির নেতৃত্বের ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। বিশ্ব দরবারে জাতি রাষ্ট্র হিসেবে ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ দর্শন প্রতিষ্ঠিত হয়। ‘১৯-দফা’ কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে উৎপাদনের জোয়ার সৃষ্টি হয়। জিয়াউর রহমান দেশের নারী-পুরুষ, কিশোর-যুবক, শিশু ও প্রৌঢ়সহ সব মানুষকে নিয়ে জাতি গঠনের মহান ব্রত গ্রহণ করেছিলেন। তলাবিহীন ঝুড়ি রাষ্ট্রের বদনাম গুছিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে আধুনিক স্বনির্ভর বাংলাদেশ নির্মাণ করেন। তার নিখুঁত দেশপ্রেম ও জাতি গঠনে সঠিক কর্মপন্থা গ্রহণের জন্য জিয়াউর রহমান যুগ-যুগান্তরে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই নিয়ে আছেন ও থাকবেন।
জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্য গড়ার প্রয়াস আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র গোষ্ঠীর মেনে নেয়া সম্ভব ছিল না। ফলে তাদের চক্রান্তে ১৯৮১-এর ৩০ মে একদল বিপদগামী সামরিক অফিসারের হাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জিয়াউর রহমান শহীদ হোন। এরপর দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তার দায়িত্ব গ্রহণ করে রাজনৈতিক দল ও শক্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। যার প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। তার রাজনৈতিক ও আর্দশিক উত্তরসূরী আমরা কোটি কোটি জনতা। রক্তের, রাজনৈতিক এবং আর্দশিক উত্তরসূরী বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২০২৪ আগস্ট পট-পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে তার নেতৃত্বে ‘উন্নত ও কল্যাণ বাংলাদেশ’ গড়ে উঠবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা